সিলেটে বিএনপি’র মিছিলে পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জ উত্তেজনা, আহত ৩০
সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শোডাউনে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ নগরীর নাইওরপুল, নয়াসড়ক, সোবহানীঘাট, ধোপাদিঘীরপাড়, জেল রোড সহ কয়েকটি স্থানে ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। সংঘর্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩০ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের নগরীর বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সিলেটে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন- পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আর পুলিশ বলছে- অনুমতি না থাকায় মিছিলে বাধা দেয়া হয়েছে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল দুপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে নগরীর মীরাবাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মীরাবাজারে জমায়েত হয়। এ সময় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া ও সোবহানীঘাট পুলিশের ইনচার্জ অনুপ কুমার দেবের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মীরাবাজারে জমায়েতকৃত নেতাকর্মীদের মিছিলে দফায় দফায় বাধা দেয়। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের নিয়েই অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মীরাবাজার থেকে শহীদ মিনার অভিমুখী মিছিল শুরু করে। পথিমধ্যে নাইওরপুল, নয়াসড়ক, সোবহানীঘাট, ধোপাদিঘীরপাড়, জেলরোডসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলের ওপর দফায় দফায় লাঠিচার্জ করে। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতরা হলেন- রিনুক আহমদ, মুহিবুর রহমান মুহিন, নুরুল আমিন, রনি আহমদ, সেলিম আহমদ, ইমন আহমদ, মুর্শেদ আলম, জুনেদ আহমদ, সাবের আহমদ প্রমুখ। বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা দাবি করেছেন- তাদের অনুষ্ঠানের কথা আগে পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ শোডাউনের উপস্থিতি দেখে ভয় পেয়ে যায়। এ কারণে তারা দফায় দফায় হামলা চালিয়ে শোডাউনকে পণ্ড করে দিতে চেয়েছিলো। তবে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া জানিয়েছেন- তাদের কোনো অনুমতি ছিলো না। তারা জড়ো হয়ে মিছিল করতে চাইলে নাইওরপুলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের ওপর তারা হামলা করলে পুলিশ সদস্য রফিক আহমদ আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে- সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর সিলেটে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর নয়াসড়ক পয়েন্টে সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন রায়হানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা অবিলম্বে যুবদলের বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেছেন- সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী এজেন্টদের ইশারায় পুলিশ আজকের এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে সিলেট বিএনপি পরিবারকে অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, বিএনপি নেতা সৈয়দ জয়নুল হক, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাকিল মুর্শেদ, জেলা বিএনপি’র সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মতিউল বারী খুর্শেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মওদুদুল হক মওদুদ, মহানগর বিএনপি নেতা আবদুস সামাদ, যুবদল নেতা কুহিনুর আহমদ, যুবদল নেতা আবদুশ শুকুর, আলা উদ্দিন আলাই, দিলোয়ার হোসেন দিলু, মন্তাজ হোসেন মুন্না, মহানগর বিএনপি’র সদস্য শফিকুর রহমান টুটুল, জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান দীপু, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহিদুল ইসলাম কাদির, আবুল খায়ের, রিনুক আহমদ, মিফতাউল কবীর মিফতা, জয় দেব চক্রবর্তী জয়ন্ত, রুজেল আহমদ চৌধুরী, ফয়জুল ইসলাম পীর, জয়নাল আবেদীন, শাকিল আহমদ, নুরুল হুদা দিপু, আলতাফ হোসেন বিলাল, খালেদুর রশীদ ঝলক, আজিজুল হোসেন আজিজ, তছির আলী, আবদুল হান্নান, রাহাত রখত রাক্কু, হাজী মামুন আল রশিদ হেলাল, ইকবাল কামাল, মুহিবুর রহমান মুহিত, আবু আহমদ আনসারী, আবদুর রউফ, শফি আহমদ খান, মাহবুব আলম, আলী আব্বাস, মুহিন আহমদ, সুহেল রানা, দিলদার হোসেন শামীম, আবুল কালাম, সিদ্দেক আলী, মিজানুর রহমান ডিপজল, নাজিম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, দেওয়ান নিজাম খান, আবদুল খালিক মিল্টন, টিটন মল্লিক, একরাম হোসেন, ইন্তেজার আলী, জাসাস নেতা রায়হান আহমদ পাবন, ছাত্রদল নেতা বদরুল আজাদ রানা, লাহিন চৌধুরী, ইমরানুল হক জাসিম, দেলোয়ার হোসাইন, আবু ইয়ামিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান, আফজল হোসেন মুন্না, আনোয়ার হোসেন খান, মনির মুন্সী, মুহাইমিনুল ইসলাম সুহেল, সাহেদ আহমদ, নুরুল আলম বাবলু, প্রিন্স আহমদ, খালেদ আহমদ, রুমেল আহমদ, নুরুল আমিন, আবদুল মজিদ, আফজাল হোসেন, সেলিম মিয়া, সাকিল আহমদ খান, আহমদ শাহীন, রায়হানুল হক, রুশন খান, জাহেদ আহমদ, সেলিম আহমদ, আলী আহমদ, মন্টু কুমার নাথ, বাবুল মিয়া, আঙ্গুর আলম, চমক আলী, জাহাঙ্গীর আহমদ চৌধুরী, দুলাল আহমদ, ইসমাইল হোসেন শিপার, মিজান আহমদ প্রমুখ।