কিউবার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে
কিউবার উপর আরোপিত মার্কিন অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের পক্ষে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে। ৬০ বছর ধরে কিউবার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ভোটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেছে সাধারণ অধিবেশন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন কিউবার বিরুদ্ধে নেয়া আরো কঠোর পদক্ষেপগুলোর প্রতিও নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এখানে উল্লেখ্য, সাধারণ অধিবেশনে পাস হওয়া প্রস্তাবনার কোনো আইনি ক্ষমতা নেই। এই প্রস্তাবনা কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এতে বিষয়টি নিয়ে বিশ্বনেতাদের অবস্থান জানা যায়। এ নিয়ে বিগত ২৮ বছর ধরে নিষেধাজ্ঞাটির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়ে আসছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে। বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার কিউবার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘে। এতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দেয় ১৮৭টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় কেবল ৩টি দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও ব্রাজিল। এই প্রথম ব্রাজিল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এ ছাড়া, ভোট দেয়নি কলম্বিয়া, ইউক্রেন ও মলদোভা।১৯৫৯ সালে কিউবায় মার্কিন-সমর্থিত স্বৈরশাসক ফুলজেনসিও বাতিস্তার দীর্ঘদিনের শাসনের অবসান ঘটে। ১৯৬০ সালে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে রাজধানী হাভানায় প্রবেশ করে বিদ্রোহী দল। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইজেনহাওয়ার কাস্ত্রোর বিরুদ্ধে মার্কিন সম্পত্তি ও প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তখন থেকে আজ অবধি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে। জারি রয়েছে মার্কিন অর্থনৈতিক অবরোধ। সময়ের সঙ্গে তা আরো জোরদার হয়েছে।কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ বৃহস্পতিবার বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য দেশকে কিউবার উপর আরোপিত অবরোধ মেনে চলতে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিউবায় পণ্যবাহী জাহাজের প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, এই প্রশাসন কিউবাকে অর্থনৈতিকভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে রাখতে চায়। এই ইচ্ছা লুকিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাও নেই তাদের। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেন, সকল দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও পছন্দসই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার স্বাধীনতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিউবার সার্বভৌমত্ব রক্ষার নামে এই অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক। তবে তার চেয়ে উদ্বেগজনক হচ্ছে প্রতি বছর জাতিসংঘ কিউবা সরকারকে নিষেধাজ্ঞাটির প্রতিক্রিয়ায় তাদের জনগণকে ব্যবহারের অধিকার দিচ্ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.