ত্রিশাল উপজেলায় নির্দিষ্ট কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ডের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকছে। মহাসড়কের ওপর সারি সারি গাড়ি রাখার কারণে চার লেনের মহাসড়ক দুই লেনে পরিণত হয়েছে। সরজমিন দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল চৌরাস্তা এলাকায় ময়মনসিংহগামী আর ঢাকাগামী বাসগুলো থামে। এখান থেকেই যাত্রী উঠানামা করে। আর এখান থেকেই ময়মনসিংহগামী ত্রিশালের স্থানীয় গেটলক সার্ভিস শালবনের বাস চলাচল করে। মহাসড়কের ওপর শালবন সার্ভিসের প্রায় শতাধিক বাস দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করে। এই লাইন থেকেই বাস ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফলে চৌরাস্তা এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। একই জায়গায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিসি)-এর দোতলা বাস ময়মনসিংহ হয়ে মুক্তাগাছায় যাতায়াত করে। যদিও রাতের বেলায় এই বাসগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের গোডাউন এলাকায় চলে যায়। ত্রিশাল চৌরাস্তা এলাকায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়েই যানজট থাকে। কারণ এখান থেকে শুধু শালবন সার্ভিস নয় অটো সিএনজি, ট্রাক, মিনিট্রাক চলাচল করে এবং থেমে থাকে। মহাসড়কে বাস থাকার কারণে দূরপাল্লার যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এই দুই দিনই ত্রিশালের সাপ্তাহিক বড় হাট বসে। সে জন্য ত্রিশাল পৌর এলাকায় ব্যাপক লোকের সমাগম ঘটে। এ দুইদিন চরম দুর্ভোগ হয়। ত্রিশালের কৃষি পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক কৃষিবিদ নিতাই চন্দ্র রায় বলেন, দুর্ভোগের আরেক নাম ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড। যদিও ত্রিশালে কোনো নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড নেই। মহাসড়কের ওপর থেমে থাকা বাসগুলো যানজটের অন্যতম কারণ। যানজটের কারণে শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। রোগীদের নিয়ে চলাচল করা যায় না। ত্রিশালের চৌরাস্তার অদূরে নওধার এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গাসহ সরকারি অনেক খাস জমি রয়েছে। সেখানে বাস, ট্রাক ও সব ধরনের যানবাহন রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। একটু উদ্যোগ নিলেই স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ সম্ভব। ত্রিশাল পৌর মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান জানান, নির্দিষ্ট জায়গায় বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হলেও বাস মালিক ও শ্রমিকদের কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমরা অচিরেই বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেবো। ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল জাকির জানান, নির্দিষ্ট জায়গায় বাস ও ট্রাকস্ট্যান্ড হলে দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.