ভারতে অর্থপাচার ও জিহাদী কাযক্রমে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। গত তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন তিনি। সামপ্রতিক সময় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার। এর অংশ হিসেবে তারা মালয়েশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জাকির নায়েককে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে মালয়েশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা এখনি জাকির নায়েককে ফেরত দেবে না। এ নিয়ে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক বার্তা দেবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ জানান, তারা ভারত সরকারকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে একটি চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে। এটর্নি জেনারেল টমি থমাসের সঙ্গে আলোচনা করে চিঠির বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হবে। বৃহসপতিবার এক সভায় তিনি এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, জাকির নায়েককে ফিরিয়ে দেয়া নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সপষ্ট করে ব্যাখ্যা করেছেন কেনো তাকে এখনি ফেরত পাঠাবে না মালয়েশিয়া। জাকির নায়েক ইস্যুতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জানান, গত সপ্তাহে ব্যাংককে আসিয়ান সম্মেলন চলাকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ সময় জাকির নায়েককে কেন ফেরত পাঠানো হবে না তার কারণ ব্যাখ্যা করে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠাতে বলেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। সমপ্রতি তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তদন্ত করে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। তখন মাহাথির বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির কয়েকটি রাজ্যে তার বক্তব্য দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জাকির নায়েককে দেশে ফিরিয়ে আনতে আরও তৎপর হয়েছে দিল্লি। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.