কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মির্জাগঞ্জে ভাঙ্গা সেতু, ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৫০

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছেন পটুয়াখালীর দুই উপজেলার হাজারও মানুষ। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা।মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ডোনরাবাদ এলাকায় বেড়েরধন খালের ওপর নির্মিত ডোনরাবাদ - জলিশা সংযোগ সেতুর এ বেহাল দশা । সেতুটি যেন এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ২০০৬ সালে ৭ এপ্রিল মাসে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুটির পশ্চিম পারে পাশ্ববর্তী উপজেলার জলিশা ও পূর্ব পারে মির্জাগঞ্জ। সেতুটি দিয়ে উপজেলার ডোনরাবাদ, উত্তর আমড়াগাছিয়া, মধ্য আমড়াগাছিয়া ও ওপারের জলিশা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। বিপদজনক এ সেতুটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ডোনরাবাদ, দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া সরকাসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জলিশা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার প্রায় সব কটি স্কুলের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া আসা করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ঝুকিপূর্ণ এ সেতুর কয়েক স্থান দেবে গিয়ে বিপদ জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, খালটি দিয়ে বড় বড় ইঞ্জিন চালিত মালবাহী ট্রলার চলাচল করায় এসব ট্রলারের ধাক্কায় সেতুটির নিছ দিয়ে বিভিন্ন স্থান ভেঙে নিচের দিকে হলে পরেছে । এছাড়াও সেতুটির কয়েক স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং এক পাসের রেলিং ও ভেঙ্গে গেছে। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ সমুহ বিপদের আশংকার কথা নিশ্চিত যেনেও প্রতিনিয়ত জানমালের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে। ডোনরাবাদ এলাকার নুরুল ইসলাম সিকদার জানায়, যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে প্রাণহানী সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনাতো ঘটবেই সাথে সেতুটি ভেঙ্গে গেলে দুই উপজেলার যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এতে ওইসব এলাকাগুলোর কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসা বাণিজ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেও জানান তিনি। আমড়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ জানান, ‘দুই উপজেলার ৪ গ্রামবাসী ঝুকি নিয়ে এ সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করে।’ এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শেখ আজিজুর জানান, ঝুকিপূর্ণ এই সেতুটি জন গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা বন্ধ করতে পারছিনা, তবে যত দ্রুত সম্ভব এই সেতুর পাশে নতুন একটি সেতু নির্মান করে ঝুঁকিপূর্ন এই সেতুটি সরিয়ে ফেলা উচিৎ। এদিকে মাত্র ১৩ বছর আগে নির্মত এই সেতুটি এই বেহাল দশা ও সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্ছার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও কর্তা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়াসহ দ্রুত সেতুটি পূননির্মানের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও