কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইতিহাসের সামনে মরিয়া বাংলাদেশ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

দিল্লির কালো ধুলোবালিতে বাংলাদেশও পেছনে রেখে এসেছে সব গুমোট হাওয়া। সেই সঙ্গে নিয়ে গেছে দিল্লি জয়ের লাড্ডুও। ভারতের মাটিতে প্রথম জয়ের উল্লাসে ধুয়ে গেছে দলের ভেতরে জমে থাকা বিষাক্ত হাওয়াও। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল তাই রাজকোটে নেমে নিয়েছে বুক ভরে নির্মল নিঃশ্বাস। দলের তরুণ সদস্যদের উচ্ছা্বস বলে দিচ্ছে কতটা স্বস্তিতে তারা। এখন শুধু ইতিহাসের অপেক্ষা। হ্যাঁ, রাজকোটেই রচিত হতে পারে টাইগারদের নতুন ইতিহাস। কিংবা বলা যেতে পারে এখানেই এখন রাজ মুকুটের অপেক্ষা। আজ রোহিত শর্মার দলে বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতলে সিরিজ জয়ের উল্লাসে মাতবে বাংলাদেশ। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সে জয় জায়গা করে নিবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও। টাইগাররাও প্রস্তুত ২২ গজের পিচে সেই ইতিহাস লিখতে। দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও মুখিয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা মরিয়া হয়ে আছে, আমরাও কিন্তু মরিয়া হয়ে আছি। এটা কিন্তু অনেক বড় একটা সুযোগ আমাদের জন্য, আমাদের ক্রিকেটের জন্য। আমরা প্রথমবারের মতো ভারতে একটা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছি। যদি আমরা ভালো খেলে সিরিজটা জিততে পারি আমাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন হবে।’তবে বাংলাদেশের স্বস্তির মাঝে শঙ্কার কালো মেঘ। গেল দুই দিন ধরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে সাইক্লোন হতে পারে। যদিও গতকাল সারা দিন কড়া রোদ ছিল সেখানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যাচের দিন বৃষ্টি হানা দিলে হয়তো কর্তিত ওভারে খেলা হতে পারে। কিন্তু পরিত্যাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে আগের ৮ দেখায় ছিল না কোনো জয়। তাই সেই বোঝা কমানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নিষিদ্ধ হওয়া, তামিম ইকবালের ছুটি নেয়া সব মিলিয়ে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ মনে হচ্ছিল। কিন্তু দিল্লিতেই বদলে গেছে ইতিহাস। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয়। শক্তিশালী দলটির বিপক্ষে শুধুমাত্র ওয়ানডেতেই সিরিজ জয়ের স্মৃতি ছিল টাইগারদের তাও নিজেদের মাটিতে। এবার আরেকটি ম্যাচ জিতলেই ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজয়ের নতুন মাত্রা যোগ হবে। দলের তরুণ সদস্য ও লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও মুখিয়ে সেই ইতিহাসের সঙ্গী হতে। তবে ভারত বলে কথা। তাই সাবধানি হয়েই তিনি বলেন, ওরা (ভারত) অনেক ভালো দল। আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য ওদের বিপক্ষে জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবাই দারুণ চেষ্টা করেছে, আমরা সবাই খুশি। প্রথম ম্যাচটা জিতেছি। এখন লক্ষ্য দিন দিন আরও উন্নতি করা। পরের ম্যাচে যদি ভালো খেলতে পারি, তাহলে জিতব ইনশাল্লাহ।’ মূলত দলের তরুণদের মধ্যেই উচ্ছ্বাসটা বেশি। তবে সিনিয়রদের ভূমিকাও কম নয়। প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহীমের বন্দনা এখন ভারতে। অধিনায়ক হিসেবে রিয়াদও দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলের মধ্যে ঝড়ই বয়ে গিয়েছিল। ক্রিকেটারদের হঠাৎ আন্দোলন। সেখানে ছিল মুশফিক, মাহমুদুল্লাহরাও। এরপর সাকিবের ফিক্সিংয়ের তথ্য গোপন করার জন্য শাস্তি। সব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে আতঙ্কই বিরাজ করছিল। তাদের ভয় ছিল ভারত সফরে হয়তো দাঁড়াতেই পারবে না টাইগাররা। কিন্তু প্রথম ম্যাচ জিতে আপাতত দারুণ অবস্থানেই আছে সাকিব-তামিমহীন বাংলাদেশ। তবে ঘুরেফিরে সাকিবের বিষয়টি আলোচনা হচ্ছেই। ক্রিকেটপ্রেমী থেকে ক্রিকেটার সবার কাছেই সাকিব না থেকেও আছেন। অন্যদিকে ভারতও মুখিয়ে আছে জয়ে ফিরতে। হারলেও তারা ভালো করে জানে নিজেদের সামর্থ্যের কথা। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে কোনো রাখঢাক না রেখেই তা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেমন ভালো ক্রিকেট খেলেছে, ওদের প্রশংসা করা উচিত। বাংলাদেশ শেষ দিকে প্রতিটি ম্যাচে আমাদের বিপক্ষে লড়াই করেছে। ওরা সত্যিই খুব ভালো খেলেছে। বিশেষ করে মুশফিক অসাধারণ খেলেছে। সে খুব হিসেবি ক্রিকেট খেলেছে। এটা তিন ম্যাচের সিরিজ, নক আউট ম্যাচ নয়। ম্যাচ তিনটি। চাপের কিছু নেই। দুটি দল যখন খেলে তখন কেউ হারে, কেউ জেতে। আমরা পিছিয়ে আছি, তবে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। ঘুরে দাঁড়াতে নিজেদের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা জানি, ওদের (বাংলাদেশ) চেয়ে আমরা ভালো দল।’ বাংলাদেশ অধিনায়কও বিষয়টি বুঝতে পারছেন ভালো ভাবেই। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারছি, তারা (ভারত) দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আরও বেশি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবে।’ দিল্লির পর রাজকোটের উইকেট নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কারা সুবিধা তুলে নিতে পারবে সে আলোচনাও হচ্ছে। কারণ দিল্লির চেনা উইকেটে টাইগার বোলারদের সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। উইকেট নিয়ে মাহমুদল্লাহ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমার মনে হয়, আপনি যদি উইকেট বুঝতে পারেন, সেই অনুযায়ী বোলিংয়ের লেংথ ঠিক করতে পারেন এবং ফিল্ড প্লেসিং করতে পারেন তাহলে আপনার জেতার ভালো সুযোগ থাকবে।’ টাইগার অধিনায়ক দারুণ আত্মবিশ্বাসী। এখন দেখার বিষয় রাজকোটে জয়ের ভাগ্য কার দিকে হেলে পড়ে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও