আবাসিক হল সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হলে থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই থাকতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বা শহরে ভাড়া বাসায় ও মেস করে। এতে একদিকে যেমন বাড়তি খরচ হচ্ছে, অন্যদিকে ছাত্রীদের মধ্যে একধরনের নিরাপত্তাহীনতাও কাজ করে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মোট হল রয়েছে ৫টি। এই ৫টি হলে আসন সংখ্যা মাত্র ২ হাজার ২শ’। সংকট রয়েছে ৪ হাজারের অধিক সিটের। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন আবাসন সুবিধা থেকে।শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,প্রথম বর্ষে সিট পাবার সম্ভাবনা অনেক কম। অনেক ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষেও সিট পায়না শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের গুনতে হয় অতিরিক্ত খরচ। তবে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রথম বর্ষে সিট পাবার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বিজয় দে বলেন, তৃতীয় বর্ষ প্রায় শেষের পথে। এখনও সিট পায়নি। ফলে অতিরিক্ত খরচসহ বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।এ ব্যাপারে খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ বলেন, আমাদের হলের সংকট রয়েছে। নতুন হল না হলে আবাসন সমস্যা সমাধানের উপায় খুব একটা নেই। ছাত্রীদের অনেকেই প্রথম বর্ষে সিট পেলেও তাদের জায়গা হয় গনরুমে। আর এসব হলে সিট খালি হওয়ার ভিত্তিতে সিট পান তারা। ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী শতাব্দী মন্ডল বলেন, কষ্ট করে বেশ কিছুদিন ধরেই গনরুমে থাকছি। জানিনা কবে সিট পাবো। সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হল দুই তলা বর্ধিত করেছি। যার মাধ্যমে কিছুটা আবাসিক সমস্যার সমাধান হবে। আর ভবিষ্যতে ছেলেদের জন্য একটি ও মেয়েদের জন্য একটি হল পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.