কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দিরাইয়ে দাপিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিরাই পৌর শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা ও ইজিবাইক। যার ফলে শহরে অহরহ যানজট সৃষ্টিসহ প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। ব্যাটারি চার্জ দিয়ে বিদ্যুতে অপচয় ও লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি করছে এমন অভিযোগ রয়েছে। পৌরসভায় ব্যাটরিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এর কোনো কার্যকরি ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। সাধারণ রিকশা (পায়ে চালিত) চালক শ্রমিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন এবং মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, দিরাই পৌরসভায় অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা,ইজিবাইক ও টমটম বন্ধে আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করি, এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলাপ্রশাসক,পুলিশ সুপার, ইউএনও, পৌরমেয়র ও অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিাযোগ দেই, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। সব শেষে আদালতের শরণাপন্ন হলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিটপিটিশন নং ৮৬৩৮/১৯ এর রুলনিশি অনুযায়ী দিরাই পৌরসভার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক বন্ধের জন্য জেলাপ্রশাসক, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অবগত করানো হলেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। পৌরসভার জনৈক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, আদালতের একটি কাগজ পেয়েছি, এতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের নিষেধাজ্ঞার কিছু নেই, পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত রিকশার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় স্থানীয় সরকার শাখা থেকে সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন স্বাক্ষরিত ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৯, রিটপিটিশন নং ৮৬৩৮/১৯ এর রুল নিশি অনুযায়ী দিরাই পৌরসভার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইজিবাইক বন্ধের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনাক্রমে অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিরাইকে। এর আগে গত ২৫শে জুন জেলাপ্রশাসক বরাবরে দিরাই পৌর শহরে ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা বন্ধ ও দিরাই বাসস্ট্যান্ড হতে দিরাই বাজারের ভেতরে ইজিবাইক দ্বারা যাত্রী আনা-নেয়া বন্ধে লিখিত অভিযোগ করেন চালক শ্রমিক সমিতি ও মালিক সমিতি। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাক্রমে অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বরাবরে সহকারী কমিশনার শাকিল আহমদ স্বাক্ষরিত একটি পত্র প্রেরণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত দেব বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসি সাহেবের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। নিষেধ থাকার পরও পৌরমেয়র কীভাবে লাইসেন্স দিলেন, উনি বলতে পারবেন, কিন্তু বিধি সম্মতভাবে না দিয়ে থাকলে তা আইনগতভাবে দেখা হবে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মালিক কালা মিয়া বলেন, আমার ৪টা রিকশা আছে, তা নিষিদ্ধ জানি, আমরা সমিতি করছি, অনুমোদন নেই, তবে মেয়র সাহেবের সঙ্গে বুইজ্জা সমিতি করা হইছে, আমরার শুধু নাই এখন দিরাইয়ে দুইশতরও বেশি চলছে, লাইসেন্স মেয়র সাব বুইজা দিছইন।আনোয়ারপুর গ্রামের নোমান মিয়া বলেন, আমার একটিসহ ৬৩টি ব্যাটারিচালিত রিকশা একসঙ্গে সমিতির সভাপতি নিয়াজ মাহমুদ রিপন ও সম্পাদক আবদাল ভাইয়ের মাধ্যমে পৌরসভা থেকে ২ হাজার ৩শ’ টাকা করে লাইসেন্স করা হয়।সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদাল মিয়া বলেন, সমিতির রেজিস্ট্রেশন নেই, নতুনভাবে করেছি, আমার ৪টা আছে, প্রতি গাড়ির জন্য লাইসেন্স ফি ২ হাজার ও ভ্যাট বাবদ ৩শ’ টাকা ও সমিতির খরচ হিসেবে ৬০০ টাকা কর নেয়া হয়েছে, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মেয়র সাব ‘তাইন কইছন দেইক্কা নিবা।’ দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, পৌরসভায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আগামী উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার পর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত মেয়র বিশ্বজিৎ রায় বলছেন, আমার জানামতে পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আদালতের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনো পত্র বা কাগজের ব্যাপারে পৌর সচিব বলতে পারবেন। দিরাই পৌরসভার সচিব মলয় ভট্টাচার্য বলেন, পৌরসভার অভ্যন্তরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলার আইন পৌরসভায় রয়েছে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোনো কাগজ আমরা পাইনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও