বেতন-ভাতা বাড়ার অপেক্ষায় ক্রিকেটাররা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

গত সোমবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ক্রিকেটাররা। শুরুতে ১১ দাবি ছিল। বুধবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩টিতে। শেষ পর্যন্ত ১৩ দাবির ৯টি বিসিবি মেনে নিলে নিরসন হয় এই সংকট। ক্রিকেটারদের এসব দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল বেতন-ভাতা বৃদ্ধি। যা তিন-চার দিনের মধ্যেই পূরণ করার আশ্বাস দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বলা চলে, তার আশ্বাসেই সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ডাকা এই ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়। ধর্মঘট শেষে জাতীয় লীগ খেলতে ক্রিকেটাররা পৌঁছান নিজ নিজ ভেন্যুতে। আর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আজ যোগ দেবেন ক্যাম্পে। তবে সবার মনেই প্রশ্ন- কবে বাড়বে তাদের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা দ্রুত বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে তো? জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের চেয়ে দেশের প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়রা এ নিয়ে বেশি চিন্তিত। এই বিষয়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া তিন ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফীস ও জহুরুল ইসলাম অমি কথা বলেছেন দৈনিক মানবজমিনের সঙ্গে। তাদের কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-বিশ্বাস রাখতে চাই- রাজ্জাকআমরা আসলে দীর্ঘদিন ধরেই এসব দাবি করে আসছিলাম। কিন্তু কখনো সবাই একসঙ্গে বলিনি। তাই মনে হচ্ছিল দাবি আদায়ের জন্য একত্র হওয়া প্রয়োজন। আমরা সেটাই করেছি। বিসিবিও আমাদের দাবিগুলো মেনেছে। কিছু দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের সুযোগ আছে। যেমন বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়টা। এসব দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাসও দিয়েছে বিসিবি। আমরা তাদের কথায় বিশ্বাস রাখতে চাই। আর এখন যেটা হয়েছে যে, সবাই মিলে বলায় বিষয়টি বেশ দৃঢ়ভাবে উত্থাপিত হয়েছে। কেউ বলতে পারবে না এগুলো কারো ব্যক্তিগত দাবি। আর বিসিবিও সবার সমানেই আশ্বাস দিয়েছে। এখন যদি তারা পূরণ না করে, তাহলে কিন্তু কিছু বলার সুযোগ থাকবে আমাদের। ভালো কিছুর আশায় আছি- শাহরিয়ার নাফীসপ্রথমেই বলতে চাই, আমাদের আন্দোলন কিন্তু কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা খেলা বন্ধ করে দেয়ার জন্য ছিল না। আমরা দীর্ঘদিন যেসব যায়গায় বঞ্চিত হয়েছি, ওসব বিষয় বিসিবিকে জানানোর জন্যই একত্রিত হয়েছিলাম। বোর্ড সভাপতিও আন্তরিকতার সঙ্গে তা মেনে নিয়েছেন। প্রথম যেটা পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছে সেটি হল বেতন-ভাতা বাড়ানো। এই দাবি বাস্তবায়ন হলেই বুঝতে পারবো তারা আমাদের অন্য সব দাবিও পূরণ করবে। অবকাঠামো তো আর দুদিনে ঠিক হবে না। সময় লাগবে। আমরা তাদের কথার উপর আস্থা রেখেই মাঠে এসেছি। কাল থেকে খেলা শুরু করবো। আসলে মাঠই আমাদের জীবন।অপেক্ষায় ছিলাম, এখনো আছি- জহুরুল ইসলাম অমিযারা জাতীয় দলে নিয়মিত খেলে তাদের ব্যাপারটা ভিন্ন। আমরা অনেক অনেক ক্রিকেটার আছি যারা জাতীয় দলে খেলারও সুযোগ পাই না। তাই আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। পরিবারও চলে আমাদের ক্রিকেট খেলার আয়ে। আমরা অনেকেই আছি ক্রিকেট খেলা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারবো না। তাই এখান থেকে হওয়া আয়ের ওপরই নির্ভর করে থাকি। অনেক দিন থেকেই আমাদের কোনো বেতন বা অন্যান্য অর্থিক সুবিধা বাড়ছিল না। আমি বলবো, সবাই এবার এক হয়ে সেই দাবিটি জানাতে পেরেছি। বিসিবিও আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। এখন তারা যদি না করে তাহলে দেশবাসীকে বলার সুযোগ থাকবে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, তারা আমাদের মঙ্গল চান। আর একটা কথা- আন্দোলন দীর্ঘ হয়নি তাতে আমরাই সবচেয়ে খুশি। কারণ আমাদের জন্য মাঠের বাইরে থাকা খুব কঠিন ছিল। আসলে অপেক্ষায় ছিলাম, এখনো আছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও