কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এক বছরে শতাধিক সিনেমা হল বন্ধ, সিনেপ্লেক্সই এখন ভরসা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

সিনেমা হলের সুদিনের কথা যেন এখন ইতিহাস। বর্তমান সময়ে মুক্তি পাওয়া বেশির ভাগ নতুন ছবির দর্শক সিনেমা হলে বড়জোর সপ্তাহে তিনদিন ভিড় করে। তারপরও সব শো হাউজফুল হয় না। সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই সিনেমা হলে দর্শক সমাগম কমতে শুরু করে। নতুন ছবি মুক্তি দিয়ে লাভের আশা করলেও বেশির ভাগ সিনেমা হলের মালিকরা এখন লোকসান গুনছেন। সিনেমা হলের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের প্রযোজকেরও একই দশা। ছবিতে লগ্নি করা টাকা বেশির ভাগ প্রযোজকরা ফেরত পাচ্ছেন না। নতুন প্রযোজকরা দু’একটা সিনেমায় লগ্নি করলেও নিয়মিত হচ্ছেন না। এদিকে দর্শকশূন্যতার কারণে দেশজুড়ে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক বছরে শতাধিক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। পুরান ঢাকার ‘গুলিস্তান’, ‘নাজ’, সদরঘাটের ‘রূপমহল’, ‘স্টার’, আরমানিটোলার ‘শাবিস্তান’, ইসলামপুরের ‘লায়ন’, চকবাজারের ‘তাজমহল’, পোস্তগোলার ‘মেঘনা’, ‘যমুনা’, ‘ডায়না’, রাজশাহীর ‘উপহার’, নারায়ণগঞ্জের ‘আশা-মাসার’, কারওয়ান বাজারের ‘পূর্ণিমা’, বংশালের ‘মানসী’ এবং সবশেষে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ‘রাজমনি’ সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে রাজমনির পাশের রাজিয়া সিনেমা হলও ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি ও সিনেমা প্যালেসের মালিক আবুল হোসেনের দেয়া তথ্যমতে, গত দুই দশকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে গেছে ২০টি সিনেমা হল। হারিয়ে গেছে অলংকার, লায়ন্স, সানাই, নূপুর, জলসা নামের সিনেমা হলগুলো। বিভাগীয় শহর রাজশাহী ও কুমিল্লায় কোনো সিনেমা হল নেই। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন জানান, নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সারা দেশে সিনেমা হল ছিল ১ হাজার ৪৩৫টি। এরপর থেকে হলের সংখ্যা কমতে কমতে এক সময় এসে দাঁড়ায় ২৮০টি। বর্তমানে তা ভাঙতে ভাঙতে দুইশ’র মতো সিনেমা হল রয়েছে। এরমধ্যে রাঙ্গামাটি শহরে নেই সিনেমা হল। নরসিংদী জেলা শহরের তিনটি সিনেমা হলের একটিও এখন চালু নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তিনটি হলের সব ক’টিই এখন বন্ধ। সিনেমা হল নেই ঝালকাঠি, নড়াইল, পঞ্চগড়সহ অনেক জেলা শহরে। তবে নতুন কিছু সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে। যেমন, পুরান ঢাকার ইসলামপুরের ঐতিহ্যবাহী লায়ন সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জে চালু করেছে নতুন চারটি সিনেমা হল। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘লায়ন সিনেমাস’। এখানকার প্রতিটি হলে ২০০টির বেশি আসন করে মোট ৯৪০টি আসনের হল রয়েছে। সিনেপ্লেক্সই এখন ভরসা বলে দাবি বেশির ভাগ চলচ্চিত্র নির্মাতার। চলচ্চিত্র পরিচালক ও বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া সোসাইটির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, ৩০০ নির্বাচনী আসনে ৩০০ সিনেপ্লেক্স চাই আমরা। এ দাবির পক্ষে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। সারা দুনিয়ায় এখন সিনেপ্লেক্স কালচার শুরু হয়েছে। সেগুলোতে ডিজিটাল সব সুযোগ-সুবিধা থাকায় দর্শকরা মজা পাচ্ছে। ভালো ব্যবসাও হচ্ছে। বাংলাদেশের সর্বত্র সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠলে চলচ্চিত্রের ব্যবসা আবারও চাঙ্গা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের পান্থপথ, ধানমন্ডিতে হল রয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে মিরপুরের সনিতেও তিনটি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স চালু করতে যাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে যমুনা ব্লকবাস্টার, মধুমিতা, শ্যামলী সিনেমা হল, চট্টগ্রামের মিনি সিনেপ্লেক্স নামের আধুনিক হল রয়েছে। বেশকিছু জায়গায় নতুন করে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের কথা ভাবছেন অনেক সিনেমা হল মালিক। চট্টগ্রামের সুগন্ধা সিনেমা হলটির জায়গায় নতুন করে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এ সিনেমা হলের কর্ণধার আবুল হোসেন। তিনি চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস হলটিরও মালিক। গতকাল আবুল হোসেন বলেন, প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে আমাদের। সিনেমা হলের ব্যবসা আগের মতো নেই। এরমধ্যে কোনো ছবি ব্যবসা করলে তা পাইরেসি হয়ে যায়। ৪০ বছর ধরে সিনেমা ব্যবসায় আছি। সুগন্ধা সিনেমা হলটি আধুনিকায়ন করে সিনেপ্লেক্স করার কাজ শুরু করেছি। ৩০০ আসনের একটি আধুনিক সিনেমা হলটি নিয়ে অনেক আশা রয়েছে আমার। খুব শিগগিরই সকলকে জানিয়ে এর উদ্বোধন করার ইচ্ছা আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও