কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগে কোনো ইঁদুর থাকবে না: মোক্তাদির

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

দলের কুচক্রীদের ‘ইঁদুর’ আখ্যায়িত করে তাদেরকে দলে না রাখার ঘোষণা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এতো এতো প্রাণী আছে, কিন্তু তাদেরকে মারার জন্য কোনো উৎসব হয় না। শুধু ইঁদুর মারার জন্য জাতীয়ভাবে উৎসব হয়। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে ইঁদুর মারার উৎসবের সম্মেলন। ইঁদুর আমরা মারবোই। দলে কোনো ইঁদুর থাকতে দেব না। কারণ তারা ঘরের খেয়ে ঘরের বেড়া কাটে। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এরআগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার তার বক্তব্যে দলকে আগাছামুক্ত করার ঘোষণা দেন। বিজয়নগর, সদর উপজেলার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও  জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল আলমসহ আরো কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব উঠেছে। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। তার প্রতিবেদনে দলের ওই নেতাদের বিশৃঙ্খলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সহকারী কমিশনার-ভূমি মো. কামরুজ্জামান দলের নেতাকর্মীদের ওপর কিভাবে হামলা চালিয়েছেন সে বিষয়টিও স্থান পায় এই প্রতিবেদনে। মোকতাদির চৌধুরী তার বক্তব্যে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্নীতি, ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযানের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ একাত্ব আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে রশিদ মার্কেট ও পিয়ারা মিয়ার টাওয়ারে জুয়া চলে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান। তারা যদি এটি করতে ব্যর্থ হন তাহলে জনগণ এই দায়িত্ব পালন করবে। যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্যে সুখকর হবেনা।ওলিও কি শেখ হাসিনার পদত্যাগ চান :  নৌকা বিরোধীদের পদ না দেয়া, বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কারের  বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকদের পদক্ষেপের সমালোচনা করে দু-দিন আগে ফেসবুকে লাইভ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদে দলের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। এতে তিনি বলেন- ‘অনেকেই বলতেছে, আওয়ামী লীগের যে কমিটি হবে সারা দেশে যারা নৌকার বিরুদ্ধে গেছে তাদের বাদ দিয়ে দিবে। কিন্তু যারা  নৌকার বিরুদ্ধে মেইন তাদের কিছু বলে না, বলে নিরীহ লোকজনকে । যারা বিদ্রোহ করেছে তারা বিজয় লাভ করছে। তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক।  লোকজন নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি, ব্যক্তির বিরুদ্ধে দিয়েছে। তাহলে যারা পাশ করছে তাদের বাদ দেবেন কেন? যারা ক্ষমতায় বসেও ফেইল করেছে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। আপনারা বলেন, বিদ্রোহীদের আপনারা বরখাস্ত করবেন। এগুলো করে আপনারা আমাদের প্রাণ প্রিয় দলকে নষ্ট করতেছেন। যারা বিদ্রোহী হয়ে পাস করেছে তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক। তাহলে আপনারা বড় বড় পদে বসে সঠিক সিদ্ধান্তটা  নিতে পারেননি কেন? যারা ক্ষমতায় থেকেও ফেল করেছেন তারা পদত?্যাগ করে আপনাদের ভাষায় বিদ্রোহীদের ক্ষমতায় বসান।’ গতকাল পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ওলিও’র এই বক্তব্যের জবাব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নের জন্যে ৩ জনের নাম সুপারিশ করেছিলো। কেন্দ্র থেকে ৩ নম্বরে যার নাম ছিলো তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা নির্বাচন করেছি। ফিরোজুর রহমান সেই নির্বাচনে অংশ নেন। তার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য দেইনি। কারন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই মনোনয়নের অঙ্গীকার যারা রক্ষা করেনি তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরো বলেছেন, দলের প্রার্থী যারা মনোনয়ন দিয়েছে সেই প্রার্থীর পরাজয়ের দায় নিয়ে যারা পদে আছেন তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। আল মামুন সরকার বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টারি বোর্ড। তাহলে ওলিও কি শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাইছেন সেই প্রশ্ন আমার। তিনি ওলিওকে এ ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে বলেন- এ ধরনের অসাংবিধানিক বক্তব্য দেয়া হলে ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রে প্রেরণ করবে। উপজেলা নির্বাচনে জেলা, শহর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ওলিওর পক্ষে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি সম্মেলনে তার সমর্থক ওইসব নেতাদের পদ হারানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় তাদের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে ওই লাইভটি করেন ওলিও।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও