একবিংশ শতাব্দীতে একটি রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম দর্শন হবে একটি জ্ঞাননির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রগামী হওয়া। সেই অগ্রযাত্রায় রাষ্ট্র প্রচেষ্টা পাবে তার নিজস্ব জাতির জন্য নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে ওই সৃষ্ট জ্ঞান মূলধনে পরিণত করে বিশ্বায়নের যুগে জাতি হিসেবে নিজের স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠিত করার। সেই বিবেচনায় আমরা এখনও যুদ্ধ করছি শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনের জন্য। আনুষ্ঠানিক, উপানুষ্ঠানিক কখনও-বা বেসরকারি ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান সর্বমুখী প্রচেষ্টা চালিয়েও আমরা পৌঁছতে পারিনি আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। কিন্তু আশার কথা হলো, এ রাষ্ট্র সাংবিধানিক ধারামতে (১৭ ক, খ, গ) দায়বদ্ধতা গ্রহণ করেছে যে, বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে বসবাসরত বৈধ সব নাগরিককে নূ্যনতম মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র নির্ধারিত একটি সময়সীমার মধ্যে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে বহু আন্তর্জাতিক প্রত্যাশা ও চুক্তিপত্রে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- শতভাগ সাক্ষরতা
- সাক্ষরতার হার