পুলিশের বিরুদ্ধে ভিন্নখাতে নেয়ার অভিযোগ
রাজশাহী মহানগরীর বিলসিমলা এলাকায় মোজাম্মেল হক তালুকদার (৬২) নামের এক নিঃসন্তান আইনজীবীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের মরদেহ তার স্ত্রী, বেগম রোকেয়া, ভাগ্নে কনক ও ভাগ্নি রিটা নিজেরাই পুলিশ হাতে সোপর্দ করে পুলিশ দরজা ভেঙে উদ্ধার করেছে বলে চালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের আইনজীবীর স্ত্রীর ভাগ্নে কনক পালাতক রয়েছে। এমনকি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। এরপরও রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন হত্যার মামলা নিতে অস্বীকার করেছেন।গতকাল দুপুরে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নিহতের ভাই মইনুল ইসলাম, নিহতের খালাতো ভাই শরিফুল ইসলাম ও ভাগ্নে শফিকুর রহমান। এ সময় তারা পুলিশ ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে চেষ্টা করছে বলেও দাবি করা হয়।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকালে নগরীর বিলসিমলা এলাকায় স্ত্রীর বাড়ি থেকে নিহত আইনজীবরীর লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। পরে শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। অথচ পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টে ঘটনাকে স্বাভাবিক আত্মহত্যা বলে দেখানো হয়। ময়নাতদন্তে যার কোন সত্যতা মেলেনি বরং অস্বাভাবিক মৃত্যু বা হত্যা বলে চিহ্নিত করা হয়। লিখিত বক্তব্যে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত ২৭শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে নাটোর জেলা বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক তালুকদারের মরদেহ তার স্ত্রী বেগম রোকেয়ার নতুন বিলসিমলার বাসভবনে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উনার স্ত্রীর ভাষ্যমতে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়। খবর পেয়ে রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা বন্ধ বা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাননি। অথচ স্ত্রীর মৌখিক কথার উপর ভিত্তি করে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মৃত ব্যক্তি গলায় যে দাগ পেছনের দিক হতে পরিলক্ষিত হয় তা হত্যার আলামত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। নিহতের স্ত্রীপক্ষের আত্মীয়স্বজন হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা চলে চালানোর অপচেষ্টা করছে। আমরা আশঙ্কা করছি, মোজাম্মেল হকের স্ত্রীর বাড়ি রাজশাহীতে হওয়ায় এবং আত্মীয়স্বজন প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাল্টে দেয়া হতে পারে। সংবাদ সম্মেলন থেকে সজ্জন আইনজীবী মোজাম্মেল হককে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেনের মোবাইলে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।