র‌্যাবের অভিযান, ফুওয়াং ক্লাবে মিললো বিপুল বিদেশি মদ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

পুলিশি অভিযানের দুই দিনের মাথায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের শিল্পাঞ্চল এলাকার ফু-ওয়াং ক্লাবে ফের অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর সোমবার একই ক্লাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, একই ক্লাবে এবার মিলল আমদানী নিষিদ্ধ অবৈধ ১০ হাজার বোতল বিদেশি মদ, অবৈধ ৭ লাখ টাকা। এছাড়াও আমদানি নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ সিগারেট পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব পরে ক্লাবটি সিলগালা করে দেয়। গত বুধবার রাত ১২টায় অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায়। একই ক্লাবে অভিযানে দুই ভিন্ন চিত্র কেন এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি ওই ক্লাবে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া র‌্যাবের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, ‘আমাদের অপারেশন ভিন্ন।’ এ বিষয়ে তেজগাঁও জোনের পুলিশের ডিসি আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব। ১২ ঘণ্টার অভিযান শেষে সেখান থেকে র‌্যাব দুই হাজার বোতল বিদেশি মদ, ১০ হাজার ক্যান হান্টার বিয়ার ও মাদক বিক্রির ৭ লাখ টাকা উদ্ধার করে। উদ্ধার শেষে সেখানে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মো. সারোয়ার বিন কাশেম জানান, রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া অভিযানে ফু-ওয়াং ক্লাব থেকে নগদ সাত লাখ টাকা, দুই হাজার বোতল বিদেশি মদ, ১০ হাজার ক্যান হান্টার বিয়ার জব্দ করা হয়। এসময় ক্লাবটির তিন কর্মচারী জাহিদ, জেভিয়ার জেরি ডি কস্টা ও চঞ্চলকে আটক করা হয়।তিনি আরও জানান, জব্দ বিদেশি মদের বোতলের মধ্যে ৩ পার্সেন্ট অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। জব্দ বিয়ারের ৫০ শতাংশও অননুমোদিত। ক্লাবটি তার সদস্যদের বাইরেও মদ ও মাদকদ্রব্য বিক্রি করতো। এছাড়া আমদানি নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ সিগারেট পেয়েছি। সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের মদ ক্লাবে রাখার অনুমোদন থাকে। জব্দ করা মদ সেই তালিকায় নেই। ফু-ওয়াং ক্লাবের মালিক শেখ মনিরুল ইসলাম। অভিযানের সময় তাকে পাওয়া যায়নি। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে। পুলিশের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমাদের অপারেশনটি ভিন্ন।  অভিযানের সময় র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট আনিসুর রহমান ও মো. নিজাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শেষে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) মিজানুর রহমান ভুঁইয়া জানান, ক্লাবটি সিলগালা করে দেয়া হবে। ক্লাবে অনুমোদনের চেয়ে তিনগুণ বেশি ছিল মদ ও বিয়ার। গত সোমবার বিকালেও ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। চলমান ক্যাসিনো, জুয়া, হাউজি ও মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে অভিজাত এলাকার এ ক্লাবটিতে অভিযান চালানো হলেও অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি বলে তখন তেজগাঁও জোনের ডিসি আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, ফু-ওয়াং ক্লাবে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। এখানে একটি বার রয়েছে, তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ওই বারের অনুমতিপত্র দেখাতে পেরেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও