নাগেশ্বরীতে স্কুলভবনে ফাটল আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
নাগেশ্বরীর উত্তর পন্থাবাড়ী বেসরকারি রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেলেও বিদ্যালয় ভবনটির করুণ অবস্থা। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন। দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয় ভবনটির দরজা, জানালা ভাঙা। বর্ষার সময় উপরের ছাদ বেয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। তাছাড়া ছাদের বীম ধসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শরীরে পড়ে। বীমগুলোতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের উত্তর পন্থাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটির সামনে একটি ডেরায় কোমলমতি শিশুদের নিয়ে শিক্ষকগণ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। বিদ্যালয় ভবনটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ২০০০-২০০১ সালে ৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয় ভবনটির ভেতর ও বাইরে খণ্ড খণ্ড ভাবে ভেঙে পড়ছে পলেস্তারা। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদের ফাটল দিয়ে পানি বেয়ে মেঝেতে পড়ে। এতে ক্লাস করতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পানিতে লাইব্রেরিতে থাকা কাগজপত্র, টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উত্তর পন্থাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আমিন হোসেন, আকবর আলী, মোস্তফা, নজু মেম্বার ও আঃ হামিদ, কমলা বিবি জানান, বিদ্যালয়ের ছাদে পলিথিনের কাগজ দিয়েও বৃষ্টির পানি ঠেকানো যাচ্ছে না। তাছাড়া ছাদের বীম ধসে পড়ার আশঙ্কায় আমরা অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকি। তারা আরো বলেন, বিদ্যালয়টি গ্রামাঞ্চলে হলেও শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর ভালো ফলাফল করে পাস করে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসলেম উদ্দিন শাহ্র সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন খোলা পাওয়া যায়নি।