কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জয়ের অভ্যাস নিয়ে ফাইনাল খেলতে চায় শফিউলরা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল  খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে লীগ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ আফগানদের মুখোমুখি হচ্ছে সাকিব আল হাসানের দল। ম্যাচটিতে হেরে গেলেও কোনো ক্ষতি নেই বাংলাদেশের। তবে ডানহাতি পেসার শফিউল ইসলাম আত্মবিশ্বাস বাড়াতে জয়ের বিকল্প দেখছেন না। গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শফিউল বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো। কালকের (শনিবার) ম্যাচটা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভালো খেলে জিততে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এই জয়ের অভ্যাসটা আমাদের ফাইনালে অনেক সাহায্য করবে।’২০১৪ সালে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে নবী-রশিদদের পাত্তাই দেয়নি টাইগাররা। ৯ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। কিন্তু পরের গল্প উল্টো। শেষ চার দেখায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা হারের স্মৃতি টাইগারদের। গত বছর ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচ সিরিজে আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলেন সাকিব-মুশফিকরা। আর চলতি সিরিজে প্রথম দেখায় রশিদদের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। মিরপুরে আফগানিস্তানের ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ রানের হার দেখে সাকিব বাহিনী। সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবশ্য দুই সাক্ষাতেই জয় কুড়ায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের সঙ্গে কেন পেরে উঠছে না টাইগাররা? তাদের কাছে হারার প্রধান কারণ আফগান স্পিন ঠিকমতো খেলতে না পারা। পরিসংখ্যান তাই বলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ ম্যাচে আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান নিয়েছেন ১০ উইকেট। অফস্পিনার মুজিব উর রহমানের শিকার ৬টি আর মোহাম্মদ নবী নিয়েছেন ৪ উইকেট। মিরপুরে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল মুজিব আর রশিদের কাছে। মুজিব ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। রশিদ ২৩ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। শফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো  শোধরাতে পারি এবং নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করে শতভাগ দিতে পারি তাহলে ওদের হারানো সম্ভব।’আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোন ধরনের উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ তা বরাবরই ভাবনার বিষয়। টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টে টার্নিং উইকেটে খেলে আফগান স্পিনে পর্যদুস্ত হয় বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশকে স্পোর্টিং উইকেটের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। তবে উইকেট যেমনই হোক দায়িত্ব নিয়ে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শফিউল। তিনি বলেন, ‘বোলিং আক্রমণে কাদের প্রাধান্য থাকবে, এটা টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বলতে পারবে। পেসাররা খেলুক বা স্পিনাররা, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সবারই দায়িত্ব। সবার উচিত হবে নিজের শক্তির জায়গায় থেকে ঠিক জায়গায় বল করা। তাহলেই আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখা সম্ভব হবে।’জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত ম্যাচ দিয়ে দুই বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তন হয় শফিউলের। ফেরার ম্যাচে দলের হয়ে সেরা বোলিং করেন এই পেসার। ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার সেরা বোলিং ফিগার। শফিউল ছাড়া ওই ম্যাচে ভালো বোলিং করেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এক উইকেট নিলেও ৪ ওভারে সাইফ দেন মাত্র ১৪ রান। আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৩৮ রানে নেন দুই উইকেট। আফগানদের বিপক্ষে সামনের দুই ম্যাচে পেস বোলারদের ভূমিকা নিয়ে শফিউল বলেন, ‘আমাদের সাধারণত যে পরিকল্পনা থাকে, সেটাই। আমরা যত ভালো বোলিং করবো, ব্যাটসম্যানদের জন্য তত চাপ কম থাকবে। আমরা যেন ওদের কম রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারি, পেস বোলারদের যে দায়িত্ব সেটা যেন পালন করতে পারি। এটাই মূল চাহিদা।’জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন শফিউল। তার অনিয়মিত হওয়ার বড় কারণ চোট। শফিউল বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি যেন ইনজুরি মুক্ত থাকা যায়। সব সময় চাই- যখনই ফিরি, দেশের জন্য যেন কিছু করতে পারি। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আর ইনজুরিতে যেন না পড়ি সেই চেষ্টাও থাকে।’আর নতুন কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টের সঙ্গ কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে শফিউল বলেন, টুর্নামেন্ট চলার সময় কোচরা খুব বেশি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন না। আমার লেন্থ যেন ভালো হয় এবং যেটা করি তা যেন নিখুঁত থাকে সেটায় জোর দিয়েছেন তিনি (ল্যাঙ্গেভেল্ট)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও