কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইরানবিরোধী জোট গঠনের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের, জবাবে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ইরানি হুমকির বিরুদ্ধে লড়তে জোট গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহসপতিবার দুবাইতে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পমেপও। ইতিমধ্যে এ জোটে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও বৃটেন। ইরাক জানিয়েছে, ইরানবিরোধী জোটে তারা যোগ দেবে না। আঞ্চলিক সংঘাত উস্কে দেবে এমন আশংকা থেকে বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশও এ জোটে যোগ দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।এদিকে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। দেশটি ওই হুঁশিয়ারি বার্তায় বলেছে, ইরানের ওপর যদি সৌদি আরব কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের আক্রমণের চেষ্টা চালায় তা একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের সূচনা করবে। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বৃহসপতিবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেন, সৌদি আরবের বোঝা উচিত তারা এর মধ্য দিয়ে কী অর্জন করতে চায়। তারা ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ যোদ্ধা হিসেবে লড়বে। এটাই কী তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তারা নিশ্চিত থাকতে পারে ইরান এটি হতে দেবে না। ইরান নিজেকে রক্ষা করবেই। এরপরই তাকে প্রশ্ন করা হয়, যদি এ মুহূর্তে সৌদি আরব বা যুক্তরাষ্ট্র ইরানে কোনো হামলা চালায় তাহলে ইরানের প্রতিক্রিয়া কী হবে? উত্তরে জারিফ সপষ্ট করে বলেন, একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ। আমাদের হয়ত অনেক রক্ত ঝরাতে হবে। কিন্তু নিজেদের দেশ রক্ষায় ইরানিরা দুইবার ভাববে না। গত শনিবার সৌদি আরবের সর্ববৃহৎ তেলক্ষেত্রে ইরানপন্থি হুতি যোদ্ধাদের ভয়াবহ ড্রোন হামলার পরই এই জোট গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়। যদিও মাইক পমেপও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। কিন্তু এর মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে। একইসঙ্গে তিনি ইরানকে তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য দায়ী করে তিনি সৌদি ও আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। হামলার পর থেকেই এর সঙ্গে সমপৃক্ততার দায় অস্বীকার করে আসছে ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই অবস্থাকে আখ্যায়িত করেছে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ তেল রপ্তানিকারক দেশের বিরুদ্ধে ইরানের যুদ্ধের উস্কানি হিসেবে।বৃহসপতিবার পমেপও আবু ধাবির ডি ফ্যাক্টো ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইরানের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপে সৌদি আরবের সবসময়ের মিত্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে আরব আমিরাত। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের পমেপও বলেন, আমরা এখানে এসেছি শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি জোট গঠন করতে। এটিই আমার মিশন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রামপ চান আমি যেন সেটি গঠনে সফল হই। তবে এ সময় তিনি জোট গঠনের বিষয়ে কোনো বিস্তারিত জানাননি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও