আকামা থাকার পরও ফেরত পাঠাচ্ছে বাংলাদেশিদের, ৯ মাসে ফিরেছেন ১০০০০
মাত্র ৮ মাস আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন সিলেটের আবু বক্কর। যেতে খরচ হয়েছিলো ৫ লাখ টাকারও বেশি। কাজের বৈধ অনুমোদনও ছিলো তার। কিন্তু তারপরও সৌদি পুলিশ তাকে ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। গতরাতে একবোরেই শুন্যহাতে ফিরেছেন তিনি। রাত ১১ টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। আবু বক্করসহ ওই ফ্লাইটে ফিরেছেন ১৬০ বাংলাদেশি। এ নিয়ে গত তিনদিনে ফিরলেন ৩৮৯ জন। এর আগে রোববার দেশটি থেকে ফিরেছিলেন ১৭৫ বাংলাদেশি। ব্রাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমবাজারের এই দেশটি। রোববারের মতো গতকাল রাতেও দেশে ফেরা কর্মীদেরকে বিমানবন্দরের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম খাবার সরবরাহ করে। একইসঙ্গে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা দেয় সংস্থাটি। গতকাল ফেরত আসা চাঁদপুরের জামাল বলেন, সাড়ে চার হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা করার দু’মাসের মাথায় তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে। কেনো তাকে ফেরত পাঠানো হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর ডিপোর্টেশন সেন্টারে রাখে কয়েকদিন। পরে দেশে পাঠিয়ে দেয়। কেনো তাকে দেশে পাঠানো হলো তা জানেন না তিনি। পটুয়াখালীর বায়জিদ, মানিকগঞ্জের আবু সাইদ, মাদারীপুরের নাসিম, কুমিল্লার জামাল, মুন্সিগঞ্জের মিজান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিপু সুলতান, মাদারীপুরের সিরাজ, কুষ্টিয়ার জহুরুলসহ ১৬০ বাংলাদেশির প্রত্যেকের একই অভিযোগ। তারা বলছেন, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর জেলখানাতে কিছুদিন রেখে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।কয়েকজনের অভিযোগ, কফিল (মালিক) তাদের আকামা নতুন করে নবায়ন করেনি বা আকামা বাতিল করে তাদের দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোন সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ করেন তারা। কর্মীরা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে নিকট ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়বে বৃহৎ এ শ্রমবাজার। দুর্ভোগ বাড়বে বাংলাদেশিদের।