কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিলুপ্তির পথে বিজেএমসি’র ফুটবল!

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

বিজেএমসি নারী দল নিয়ে অনেক দিন ধরে অনিশ্চয়তা চলছে। নারীদের ঘরোয়া আয়োজন না থাকায় ফুটবলাররা বসে বসে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। ঘরোয়া কার্যক্রম শুরু না হলে নারী ফুটবলাররা চাকরি হারাতে পারেন। এবার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বিজেএমসি পুরুষ ফুটবল দল নিয়ে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ থেকে অবনমিত হওয়া ক্লাবটি আবারো হারিয়ে যাওয়ার হুমকিতে।দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে ২০১০ সালে ঘরোয়া শীর্ষ লীগে ফেরা বিজেএমসি এবার অবনমন ফাঁদ এড়াতে পারেনি। লীগের ২৪ ম্যাচের মাত্র দুটি জিতেছে বিজেএমসি, এবং ড্র পাঁচটি। ১১ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের তলানিতে থেকে লীগ শেষ করেছে ক্লাবটি। আগামী মৌসুমে পেশাদার লীগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে খেলার কথা দলটির। কিন্তু কর্মকর্তারা আশার কথা শোনাতে পারছেন না। সংস্থাটির সহকারী অফিসার (ক্রীড়া) আবদুল কুদ্দুস বলেন, টিম বিজেএমসি কোন পথে হাঁটবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সংস্থাটির নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি যোগ করেন, ‘আমরা মনেপ্রাণে চাই টিম বিজেএমসি তার নিজের অবস্থান নিয়ে থাকুক। আবারো শীর্ষ লীগে ফিরে আসুক। কিন্তু বিষয়টি তো আমাদের হাতে নেই। শীর্ষ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ স্বল্প সময়ের মধ্যেই টিম বিজেএমসির ভাগ্য নির্ধারণে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন আবদুল কুদ্দুস।স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান আইডিসি নামে খেলত দলটি। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত নাম ছিল বাংলাদেশ জেআইসি। পরবর্তীতে বিজেএমসি নাম ধারণ করে ক্লাবটি। একসময় ঢাকা লীগের পরাশক্তি ছিল এই দল। ১৯৬৭, ১৯৬৮, ১৯৭০, ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে শীর্ষ লীগের শিরোপাও জয় করে তারা। ১৯৮১ সালে বিজেএমসির ফুটবল কার্যক্রম বিলুপ্ত করা হয়। প্রায় ২৯ বছর পর ২০১০ সালে তৎকালিন বিজেএমসির পরিচালক আরিফ খান জয়ের  কারণেই শীর্ষ লীগে ফিরে আসে টিম বিজেএমসি নামে। শীর্ষ লীগে ফেরার পরের মৌসুমেই ফেডারেশন কাপ ফাইনাল খেলে দলটি। সে যাত্রায় অবশ্য শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে হেরে রানার্সআপ ট্রফিতে সান্ত্বনা খুঁজতে হয় তাদের। পরবর্তীতে প্রিমিয়ার লীগের মাঝারি দল হিসেবে খেলে আসছিল টিম বিজেএমসি। চলতি মৌসুমের আগে দল গড়া নিয়েই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তা পেছনে ফেলে দল গড়া হয়েছে বটে, নানা জটিলতার কারণে মাঠে পুরনো সেই বিজেএমসিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শীর্ষ লীগ থেকে ছিটকে যাওয়ার মাধ্যমে তার মাশুলও দিতে হয়েছে। ‘মৌসুমের শুরুতে বিজেএমসির দল গড়া নিয়েই অনিশ্চয়তা ছিল। জয় ভাই (সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়) পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং বিজেএমসির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে অনিশ্চয়তা দূর করেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ফুটবল দলের বিষয়ে খুব আগ্রহী নন। ফুটবলের শীর্ষ দল হিসেবে টিকে থাকা কঠিন’ বলছিলেন টিম বিজেএমসির কর্মকর্তা অমিত খান শুভ্র। শুভ্রের মতে বিজেএমসির কর্মকর্তাদের ফুটবলের প্রতি অনীহার কারণেই দলটির এই অবস্থা। এখান থেকে উত্তরনে আরিফ খান জয়ের মতো ফুটবলপ্রেমী কাউকে পাশে চান তিনি। এদিকে নারী ফুটবলাররা বছরজুড়ে আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকলেও ঘরোয়া কার্যক্রম শুরু করার কোনো লক্ষণ নেই। সাবিনা খাতুনসহ ২১ নারী ফুটবলার রয়েছেন বিজেএমসি দলে, যার ১১ জন নিকট অতীতে জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছেন। এ বছরের মধ্যে বাফুফে লীগ শুরু না করলে নারী ফুটবলারদের অন্য চিন্তা করার কথা বলেছেন বিজেএমসির কর্মকর্তারা। তবে ফুটবল দল না রাখলেও অন্যান্য খেলাধুলায় আগের মতোই বিজেএমসির অংশগ্রহণ থাকবে বলে জানান তারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও