কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

রোজা অবস্থায় রমজানের দিনের বেলা স্ত্রীকে চুম্বন বা আলিঙ্গন করলে কী হবে?

মিরাজ রহমান
সাংবাদিক ও লেখক
প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০১৫, ০৩:৪২
আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৫, ০৩:৪২

যদি সাওম অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে সহবাস ব্যতীত চুমো দেয় বা আলিঙ্গন করে তবে তা জায়েয। এতে সাওমের কোন অসুবিধা হয় না। কেননা নবী করীম সাল¬ল¬হু আলাইহি ওয়াসাল¬ম সাওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করতেন, আলিঙ্গন করতেন। আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. রোযা অবস্থায় (স্ত্রীকে) চুমু দিতেন এবং আলিঙ্গন করতেন। কিন্তু আপন (জৈবিক) চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন তোমাদের মধ্যে সবচে’ বেশি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকারী। [বুখারী ১৮৪১ মুসলিম ১১২১] তবে এতে যদি সহবাসে লিপ্ত হয়ে পরার আশঙ্কা থাকে তবে তা মাকরূহ হবে। আর জুম্বন বা আলিঙ্গনের কারণে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তবে দিনের বাকি অংশ সাওম অবস্থায় থেকে পরে সাওমের কাজা আদায় করবে। কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না। এটা অধিকাংশ আলেমদের মত। চুমো বা আলিঙ্গনের কারণে যদি মজী বের হয় তবে এতে সাওমের কোন ক্ষতি করে না। এটা অধিকতর বিশুদ্ধ মত। আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞাত। রোজাদারের জন্য চাই সে যুবক হোক বা বৃদ্ধ স্ত্রীকে চুমো দেয়া এবং আলিঙ্গন করা জায়েজ যদি যৌন তাড়নার বশবর্তী হয়ে সহবাসে লিপ্ত বা বীর্যপাত হবে না বলে নিজের ওপর দৃঢ় আস্থা থাকে। চাই তার রোজা নফল হোক বা ফরজ, রমজানে হোক বা অন্য কোন মাসে। আলিঙ্গন দ্বারা উদ্দেশ্য গায়ে গা মিলানো। যেমন- স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা। আলিঙ্গন এখানে স্ত্রী সহবাস উদ্দেশ্য নয়। কারণ স্ত্রী সহবাস অবশ্যই রোযাভঙ্গকারী। রমজান মাসে কোন রোজাদার যদি আপন স্ত্রীকে চুমু দেয় অথবা স্পর্শ করে কিংবা আলিঙ্গন করে আর এতে তার বীর্যস্খলন হয় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। তবে এরপরও তাকে সারাদিন রোজাবস্থায় থাকতে হবে। এবং রোজা কাজা করতে হবে তাওবা-ইস্তেগফারসহ। কারণ আল্লাহ তায়ালা হাদীসে কুদসীতে বলেন, একজন রোজাদার তার চাহিদা এবং খানা-পিনা আমার কারণেই ছাড়ে। অপর এক বর্ণনায় রাসূল সা: বলেন, সে তার স্বাদ গ্রহণ আমার জন্যই ত্যাগ করে এবং তার স্ত্রী আমার জন্যই ছাড়ে। তবে যদি ‘মজি’ বের হয় তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না। আলেমদের বিশুদ্ধ মতানুসারে এতে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না তবে তার জন্য উচিত হলো যৌন উত্তেজক আচরণ যেগুলো হারামে পতিত করার সম্ভাবনা রাখে তা হতে বিরত থাকা। [আহসানুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়া দারুল উলুম, ইমদাদুল ফাতাওয়া, বেহেশতি যেওর, মিনহাতুল বারী ৩৬৪/৪] গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান