
বিশ্বের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর ঘোড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেডেরিক দ্যা গ্রেট। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন ঘোড়া ‘ফ্রেডেরিক’
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:২৯
(প্রিয়.কম) অনানুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন ঘোড়ার খ্যাতি অর্জন করেছে ‘ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট’ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফ্রিজিয়ান স্ট্যালিয়নটি। চিকন ঘন কালো লম্বা কেশের কালো রঙের এ ঘোড়াটি সত্যিকার অর্থেই যেনো ব্ল্যাক বিউটি।
অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রুশিয়া ইউরোপের একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তখন এই সাম্রাজ্যের রাজা ছিলেন ফ্রেডেরিক ২ (১৭৪০- ১৭৮৬)। সেই শাসকের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ঘোড়াটির নাম রাখা হয়েছে।
সবচেয়ে দ্যুতিময় ঘোড়া ফ্রেডেরিক। ছবি: সংগৃহীত
১৬ বছর বয়সের আকর্ষণীয় এই ঘোড়াটির জন্ম নেদারল্যান্ডসে। কিন্তু ৬ বছর বয়সকালে ফ্রেডরিখকে আমদানি করেন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসের একটি ঘোড়ার ফার্মের মালিক স্টাসি নাজারিও।
ঘোড়াটি আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, ঘোড়াটিকে প্রথম দেখার পর বিশেষ কিছু বিষয় আমি লক্ষ্য করি। বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অতি চিত্তাকর্ষক প্রাণী হিসেবে আবির্ভূত হতে শুরু করে সে। ঘোড়াটির সৌন্দর্য দেখে মানুষেরও ঈর্ষান্বিত বোধ জাগতে পারে। ফ্রেডেরিকের ছবি ও দৌড়ানোর ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হাজারো বন্ধুও জুটে যায়।
ঘোড়াটির চিকন কালো ফ্রেডেরিকের উজ্জ্বল কালো সুগঠিত দেহ। ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুকে ছবিগুলো অতি অল্প সময়েই ভাইরাল হয়ে পড়ে। বাতাসে আছড়ে পড়া তার চুলের দুলুনি আর দুরন্ত গতি সত্যিই সবাইকে মুগ্ধ করার মতো। ফেসবুক পেজে তার ফলোয়ার সংখ্যা বর্তমানে ৭২ হাজারের বেশি। প্রতিদিনই বাড়ছে তার ভক্তের সংখ্যা। তার নিজ নামে একটি ব্লগও রয়েছে। যেখানে রয়েছে তার বেশ কিছু অন্ধভক্ত।
ভক্তদের একজন ব্লগে লেখেন, 'আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়া তুমি। একমাত্র ঈশ্বরের পক্ষেই সম্ভব এমন শৈল্পিক, উত্তেজনাকর আর অপূর্ব কিছু তৈরি করা।' অন্যজন লিখেছেন, এমন সৌম্য, সুদর্শন ঘোড়া পৃথিবীতে আর নেই। আমি যদি একবার তাকে ছুঁতে পারতাম, একবার তার গন্ধ নিতে পারতাম!
ফ্রেডেরিকের চুলের পরিচর্যা করছেন দুজন নারী। সংগৃহীত ছবি।
বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগামী রেসের ঘোড়া ফ্রাঙ্কেলের পরিপালনে মাসে খরচ হয় আড়াই লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বেশি। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকারও বেশি। সেই তুলনায় ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট-এর পরিপালনের জন্য অশ্বালয়ের ফি লাগে ৭,৫০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা।
সূত্র :অডিটি সেন্ট্রাল ও টেলিগ্রাফ।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন