
ছবি সংগৃহীত
সময়টা এখন খুব খারাপ যাচ্ছে: লুৎফর রহমান জর্জ
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৫০
অভিনেতা লুৎফর রহমান জর্জ। ছবি: সংগৃহীত
(প্রিয়.কম) নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘কোথাও কেউ নেই’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক নাটক কোথাও কেউ নেই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছিল। নাটকের প্রধান চরিত্র বাকের ভাইয়ের দুই সহযোগির অন্যতম ছিল মজনু। আদালতে বাকের ভাইয়ের বিপক্ষে সাক্ষী দিয়ে বদি যেমন সকলের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিল, তেমনি বাকের ভাইয়ের সাথে থেকে যাওয়া মজনু পেয়েছিল ভালোবাসা।
কোথাও কেউ নেই নাটকের সেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মজনুর অভিনেতাই লুৎফুর রহমান জর্জ, একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ দিয়েই লুৎফর রহমান জর্জের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ছোট পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করলেও বেছে বেছে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। বর্তমানে আসন্ন অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে সাংগঠানিক সম্পাদক পদে লড়ছেন। এই নির্বাচন ও তার বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন প্রিয়.কম এর সঙ্গে।
প্রিয়.কম: কেমন আছেন আপনি?
জর্জ: ভালো আছি এখন।
প্রিয়.কম: আসন্ন নির্বাচনে প্রস্তুতি কেমন?
জর্জ: প্রস্তুতি বলতে এটা তো আর কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নির্বাচন নয়। এটা অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন। সবাই একসঙ্গে হতে পারছি এটাই বড় পাওয়া। সবাই মিলে যাতে অভিনয়শিল্পীদের মর্যাদা নিয়ে লড়তে পারি এটাই হচ্ছে চাওয়া। আমাদের এখন বড় খারাপ সময় চলছে। যে কারণে কোন কিছুই ঠিক ভাবে হচ্ছে না। এর থেকে বের হবার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রিয়.কম: এখন আপনার কাছে কেন খারাপ মনে হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা?
জর্জ: আমার কাছে মনে হচ্ছে কোন কিছু সুষ্ঠু নিয়মের মধ্যে নেই। চ্যানেলের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়াটাও বোধয় ভালো হচ্ছে না। যদি নিয়মের মধ্যে থাকে সব কিছু তাহলে এগিয়ে যাওয়া যাবে। আমাদের আসলে কেউ তো পর না। সবাই কিন্তু একই সুতোয় গাঁথা। অনেকটা পরিবারের মতো। তাই আসলে আমাদের প্রথমেই যা করা উচিত তা হলো সবাই একত্রিত হওয়া।
প্রিয়.কম: একত্রিত হয়ে আপনারা কী করতে চান?
জর্জ: আমাদের আরও একটি সংগঠন আছে সেটি হলো ডিরেক্টর গিল্ড। অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন শেষ হলে পরে যারা জয়ী হবে তাদের কে নিয়ে ডিরেক্টর গিল্ডের সঙ্গে বসে বর্তমান সময়ের যে খারাপ অবস্থা যাচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আর যেহেতু চ্যানেলে আমাদের নাটকসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো প্রচার হয় তাই আমরা তাদের সঙ্গেও বসব। সবাই এক হয়ে যাতে সামনে সুষ্ঠু ভাবে একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে যাতে যেতে পারি সেই চেষ্টাই করা হবে।
প্রিয়.কম: নির্বাচনটা হলে আসলে উপকারটা হবে কার?
জর্জ: উপকারটা সবারই হবে। আমরা যদি সবাই মিলে ভালো কিছুর জন্য লড়াই করি তাহলে সবারই ভালো হবে। যেমন এখন অভিনয় করছেন অনেকে অনেক মাধ্যম থেকে এসে। যার ফলে ভিন্ন ভিন্ন অভিনয় শিল্পী তৈরি হয়েছে। তাই কোন নাটক বেশি ভালো হচ্ছে আবার কোন নাটক বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা চ্যানেলের সঙ্গে বসে কথা বলব তারা আসলে কী চায়। তারপর আমাদের যে অভিনয়শিল্পী সংঘ হবে সেখানে অভিনয় শিক্ষার কোর্স করা হবে। যারা যে মাধ্যমে অভিনয় করতে চান সেই মাধ্যমে তাদের অভিনয় শেখানো হবে। এভাবে করে যদি আমরা কিছুটা আগাতে পারি তাহলে আমার বিশ্বাস ভালো খারাপের দিকটা তখন সমান সমান হবে।
প্রিয়.কম: কতদিন সময় লাগতে পারে আপনাদের?
জর্জ: আগে নির্বাচনের ফলাফল আসুক। তারপর আমরা বসব একসঙ্গে। আলোচনা করতে করতে হয়তো কোন ভালো ফলাফল চলে আসবে। তবে সেক্ষেত্রে ২বছরের মধ্যেই আমরাই একটা ভালো কিছু দেখতে পাবো বলে আমি আশা করি।
প্রিয়.কম: ধন্যবাদ আপনাকে সময় দেওয়ার জন্য।
জর্জ: আপনাকে ও প্রিয়.কমকেও অনেক ধন্যবাদ।
সম্পাদনা: গোরা