ছবি সংগৃহীত

ইছামতির পারে দু’দিনের সাধুসঙ্গ

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৭:৫৬
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৭:৫৬

রব ফকিরের দোতারায় সুরের জাদু ছিল। ছবি: সংগৃীত  

(প্রিয়.কম) 'চোখ বুজলেই দোতারার সুর শুনতে পাই। দোতারার সুরের সঙ্গে দেহের সুর মিশে গেছে। যত দিন বাঁচব, দোতারার সুর বাজিয়েই বাঁচব।' কথাগুেলা লালন সাধক রব ফকিরের। গত ৬ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান এই শিল্পী। তাকে উৎসর্গ করে মুন্সিগঞ্জের পদ্মহেম ধামের দুদিনের সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইছামতি নদীর পারে। 

১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর সিরাজদিখানের দোসরপাড়ায় এই সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় পদ্মহেম ধামে লালন সাঁইজির বাণীর মধ্য দিয়ে আসর শুরু করবেন কুষ্টিয়ার হেমাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা দরবেশ নহির শাহ।

এখানে দুই বাংলার সাধুগুরুরা লালনসংগীত ও লালনের বাণী পরিবেশন করবেন। বাংলাদেশের লালন শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন দরবেশ নহীর শাহ, রাজ্জাক বাউল, রিংকু, বাউল তকবির হোসেন, বজলু শাহ, বুড়ি ফকিরানী, সমীর বাউল, আরিফ বাউল, গোলাপী ফকিরানী প্রমুখ।

সাধুসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবির হোসেন বলেন, ‘লালনের গান ও বাণী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের এ আয়োজন। অন্য বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবেই সাধুসঙ্গ পালন করতে পারবো আশা আছে।’

আবদুর রব ফকিরের জন্ম ১৯৫৫ সালের ২০ জানুয়ারি। তিনি নিজ হাতে বানাতেন দোতারা। ১৯৭২ সালের দিকে বাবা সিরাজ জোয়ার্দারের হাত ধরে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন সাঁইয়ের আখড়ায় যেতেন। সেই শুরু। লালনের প্রতি ভক্তি আর ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন। একই সময়ে বেতারে আব্বাসউদ্দীনের গানের সঙ্গে দোতারার সুর শোনেন। প্রথমে বাদ্যযন্ত্রটি কিনে বাজাতে শুরু করেন। তাতে রব ফকিরের মন ভরে না। কেনা যন্ত্রে মনের মতো সুর তুলতে পারেন না। পরে নিজেই দোতারা তৈরি শুরু করেন। বানালেন দোতারা। নিজেই সেই দোতারা বাজিয়ে লালন, রবীন্দ্র ও নজরুলের গানের সুর তুলতেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করেছেন আবদুর রব ফকির। তাঁর প্রকাশিত অ্যালবামের মধ্যে আছে ‌'শব্দের ঘরে' ও ‌'শিকড়'।