
ছবি সংগৃহীত
প্রিয় গন্তব্য: এক সন্ধ্যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৩৯
আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৩৯
আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৩৯
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্ত। ছবি: আল-মাসুদ আবদুল্লাহ।
(প্রিয়.কম): পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এমন একটা জায়গা, সপ্তাহের যে কোন দিনই সেখানে মানুষের সমাগম দেখা যায়। শহরের কাছেই অল্প দূরত্বে এরকম একটি সমুদ্র সৈকত থাকার কারণে চট্টগ্রামের মানুষ সুযোগ পেলেই চলে আসেন এখানে। বাইরে থেকে যারা চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন, তারাও চেষ্টা করেন এখানে একবার ঘুরে যেতে।

পরিবার নিয়ে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন একটা দিন। ছবি: শাহেদ আরেফিন।
কোথায়: পতেঙ্গা সৈকতটি চট্টগ্রাম শহরের ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত। এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এটি। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এই সৈকতটি ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এর পরে দীর্ঘ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে সমুদ্র সৈকতে সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা বেড়ি বাঁধ দেয়া হয়েছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ঘাটি বিএনএস ঈসা খান পতেঙ্গার বেশ কাছেই রয়েছে।

ঠিক এই সময়টায় চারদিক হয়ে ওঠে সোনা রঙে রাঙ্গানো। ছবি: নাসের ইয়ামিন মিঠু।
কিভাবে: ঢাকা থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত যেতে হলে আগে আপনাকে চট্টগ্রাম শহরে যেতে হবে। কমলাপুর বাস টার্মিনাল থেকে বিআরটিসি করে আর সায়দাবাদ বাস ষ্টেশন থেকে সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক প্রভৃতি বাস করে আপনি চট্টগ্রাম যেতে পারেন। এরপরে পতেঙ্গা যেতে হলে চট্টগ্রাম শহর থেকে অটো রিক্সা নিতে হবে আপনাকে। ঘণ্টা খানিক মত সময় লাগে অটোতে। ভাড়া নেবে ২৫০-৩০০ টাকার মত আর বাসে গেলে আরও কম সময় লাগবে, ভাড়াও কম লাগবে। বহদ্দার হাট, লালখান বাজার মোড়, জিইসি মোড়, নিউ মার্কেট, চক বাজার মোড় থেকে সরাসরি বাস পাবেন। পতেঙ্গা-গামী বাসগুলোতে সাধারণত সী-বীচ লেখা থাকে।

অপুর্ব সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দল বেধে আসেন মানুষজন। ছবি: শৈবাল রুদ্র।
কি দেখবেন: ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এর প্রচুর ক্ষতি হয়, বর্তমানে বাঁধ দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করায় সৈকতের সৌন্দর্য অনেকটা বেড়েছে। জোয়ারের সময় ঢেউয়ের আঁচড় যেন নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করে। যাওয়ার পথে শাহ আমানত (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিএনএস ঈশাঁ খা (বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটি) সহ দেখবেন চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি। সবগুলো কাছাকাছি হওয়ায় আলাদা করে যাওয়ার ঝামেলা নেই। সৈকতে আছে বার্মিজ মার্কেট, সেখানেও ঘুরে ফিরে পছন্দের কেনাকাটা সেরে নিতে পারেন। পতেঙ্গা বীচে সন্ধ্যার দিকে সূর্যাস্তের দৃশ্য মনকে আরও বেশি পুলকিত করবে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের প্রস্থ খুব বেশি নয় এবং এখানে সমুদ্রে সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সেটা থেকে বিরত থাকাই ভাল হবে। ঘোড়ার পিঠে চড়ার সুযোগ পাবেন ২০ টাকায়। সেই সাথে আছে স্পিডবোড কিংবা কাঠের তৈরি নৌকায় ওঠার সুযোগও। সাধারণত বিকেল গড়াতে থাকলে জোয়ার আসতে শুরু করে। জোয়ার শুরুর আগে বাঁধ অনেকটা তলিয়ে যায়।
যদি চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে থাকেন আর একদিনের মাঝে একটা ভ্রমণ সেরে নিতে চান, তাহলে এই সমুদ্র সৈকতটি হতে পারে চমৎকার একটি গন্তব্য। সন্ধ্যা হয়ে গেলে সূর্যাস্ত দেখে ফিরে আসা ভাল হবে। বর্তমানে সৈকতটির উন্নয়নের কাজ চলছে, এটাকে আরও টুরিস্ট-বান্ধব করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাও অদূর ভবিষ্যতে জোরদার হবে বলে জানা গেছে। তার আগ পর্যন্ত একটু সতর্ক থাকাই ভাল।
প্রিয় ট্রাভেল/ সম্পাদনা ড. জিনিয়া রহমান।
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।
১ ঘণ্টা, ২৩ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ২৬ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ২৬ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ২৯ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ৩২ মিনিট আগে