
ছবি সংগৃহীত
দুপুরে খাওয়ার টাকা ছিল না : এ মিজান
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০৬:১২
এ মিজান। ছবি: সংগৃহীত
(প্রিয়.কম) এ মিজান। ‘রোদেলা আকাশ’-কাজী শুভ- পুজা, আল্লাহ মালিক জানে’-কাজী শুভ, ‘ তোকে চাই’-ইমরান ও ন্যানসি, এফ এ সুমনের ‘জানেরে খোদা জানে’ জনপ্রিয় গানসহ অডিও’র পাশাপাশি চলচ্চিত্রে নিয়মিত গান লিখেছেন। সম্পতি প্রিয়.কম এর সঙ্গে কথা হয় তার। যা প্রিয় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো...
প্রিয়.কম: কেমন আছেন? কী করছেন?
মিজান: ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
প্রিয়.কম: বছরের শুরুটা ব্যস্ততা কী নিয়ে?
মিজান: সাংবাদিকতা ও গান লেখা নিয়েই সময় যাচ্ছে। দিনের বেলা সাংবাদিকতা করি আর রাত জেগে জেগে গান লিখি। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সালমা, কণা, বেলাল খান, এফ এ সুমনসহ আরো কয়েকজনের জন্য গান লিখেছি। আমার লেখা দুটি গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ পাবে আসছে ভালোবাসা দিবসে। এছাড়া বর্তমানে দু’টি চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখছি।
প্রিয়.কম: কী ধরনের গান লিখতে ভালো লাগে?
মিজান: সব ধরনের গান লিখি আমি। শুধু এক টাইপের গান লেখার মাঝে বিশেষ কোনো কৃতিত্ব নেই। সব ধরনের গান লেখাই উচিত।
প্রিয়.কম: সাংবাদিকতা নিয়ে কিছু বলেন।
মিজান: সাংবাদিকতা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। ভীষণ শ্রদ্ধা ও সম্মান করি এই পেশাটাকে। পড়াশোনা শেষ করে অন্য পেশার অনেক অফার আসে আমার, কিন্তু আমি সাংবাদিকতাই বেছে নেই।
প্রিয়.কম: সাংবাদিকতার প্রতি এতো দুর্বলতা কেন?
মিজান: দুর্বলতাই বলেন আর অনুপ্রেরণা আসে আমাদের গ্রামের একজন কবি-সাংবাদিক কে দেখে। তিনি হলেন কবি আল মুজাহিদ। তার ব্যক্তিত্ববোধ, আচার-আচরণ, মানুষ তাঁকে যে ভাবে সম্মান করতো তা দেখে এই পেশার প্রতি আমার দুর্বলতা জন্মে। গ্রামে তাঁকে সবাই মান্য করতো, শ্রদ্ধা করতো, কেউ বিপদে পরলে তার কাছে সমাধান চাইতে আসতো। এই ব্যাপারগুলো আমি ছোট বেলা থেকেই খেয়াল করতাম। তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নেই, আমাকে সাংবাদিক হতেই হবে।
প্রিয়.কম: আপনার প্রিয় সাংবাদিক কে?
মিজান: নিউ এজ-এর এডিটর নুরুল কবির।
প্রিয়.কম: ভবিষ্যত পরেকল্পনা কী?
মিজান: পরিকল্পনা হল সাংবাদিকতা করতে চাই। আর নিয়মিত গান লিখতে চাই।
প্রিয়.কম: প্রিয় গীতিকার কে?
মিজান: গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও প্রিন্স মাহমুদ।
প্রিয়.কম: জীবনে চাওয়া-পাওয়ার জায়গাটাতে কী বলবেন?
মিজান: আসলে তেমন ভাবে ভাবিনা। যতদিন বেঁচে আছি, আমি এই মাধ্যমটিতে থেকে যা করা যায় তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমি মনে করি যদি আমি একটি কাজকে ভালবেসে আন্তরিকতার সাথে করতে পারি। তাহলে প্রত্যাশা এবং সাফল্য দুই জায়গাতেই আমি সফল হতে পারবো।
প্রিয়.কম: এই পর্যায়ে এসে জীবনকে কীভাবে দেখেন?
মিজান: আমি এখন জীবনকে দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করি। প্রথমত, জীবনে মানুষের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি। দ্বিতীয়ত, আমি নিজেকে খুশি রাখতে কী কী করছি। আমি এখন যে পেশায় আছি, সেখানে নিজে শতভাগ খুশি। কিন্তু প্রথমটাতে এখন থেকে জোর দিতে চাই। এই জায়গাটাতে আমি অনেক বেশি উৎসাহবোধ করি। কারণ আমি নিজেও অন্যের থেকে অনেক উপকার পেয়েছি। যেমন গোলাম রাব্বানী। আমি ঢাকায় আসার পর থেকেই তিনি আমার পাশে ছিলেন। তিনি তখন কালের কণ্ঠে কাজ করতেন, এখন প্রিয়.কম-এ। আমাকে পথ চিনিয়েছেন। আমার ক্যারিয়ারের পেছনে তাঁর অবদান অন্যতম। আমি আরো অনেক মহান প্রাণ মানুষের সান্নিধ্য আমি পেয়েছি। সবাইকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বরণ করি।
প্রিয়.কম: সাংবাদিকতা জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
মিজান: দেখেন ভাই ঘটনা তো অনেক আছে। তবে একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। কষ্ট ছাড়া সাফল্য আসেনা। যে সাফল্য আপনা-আপনি পাওয়া যায়, তা থেকে সেলফ সেটিসফেকসন পাওয়া যায় না। গড গিফটেড অথবা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া কিছু জিনিস থাকে সেটা আলাদা। বাকিটা পরিশ্রম। অসম্ভব পরিশ্রম করেছি। এখনো মনে আছে, এমন সময় গেছে দুপুরে খাওয়ার টাকা ছিল না। পায়ে হেঁটে অফিস করেছি।
প্রিয়.কম: এ মিজান কে, এক কথায় কী বলবেন?
মিজান: ঠোঁটকাটা স্পষ্টভাষী মানুষ। এজন্য অনেকে আমাকে পছন্দ করে না।
প্রিয়.কম: ধন্যবাদ আপনাকে সময় দে’য়ার জন্য।
মিজান: আপনাকেও ধন্যবাদ।
সম্পাদনা: গোরা
- ট্যাগ:
- সাক্ষাৎকার
- গান
- এ মিজান
- এ মিজান