
ছবি সংগৃহীত
পৃথিবীর ভয়ঙ্কর অভিশপ্ত ৬ স্থান (পর্ব-২)
আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:২৯
কুঠুরিটি আবিষ্কারের সময় প্রায় এক গাড়ি কঙ্কাল পায় শ্রমিকেরা সেখানে। । ছবি: সংগৃহীত
(প্রিয়.কম) ভূত, ভূতুড়ে স্থান, রহস্যময় এলাকা- এই শব্দগুলোর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সাথেই জড়িয়ে আছে এমন ভৌতিক কিছু ঘটনা, ভূতুড়ে কিছুর সাথে পরিচয় আছে আমাদের সবারই। তবে সেসব তো আমাদের ব্যাক্তিগত অনুভূতি। কিন্তু এবার আপনাদেরকে যে স্থান আর ভৌতিক ঘটনাগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব সেগুলো কেবল কারো একার ভেতরে নয়, ভয়ের আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছে পৃথিবীর সবখানে, সব মানুষের ভেতরে। চলুন তাহলে দেখে আসি সেই ভূতুড়ে স্থান আর তাদের ভৌতিক ঘটনাগুলোকে।
৪। হাম্বারস্টোন ও লানোরিয়া
১৮৭২ সালের কথা। সল্ট পিটার খনি হিসেবে জেগে ওঠে চিলির দুইটি খনি শহর হাম্বারস্টোন ও লানোরিয়া। খুব দ্রুত এর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। মানুষ দলে দলে ভিড় করতে থাকে খনির আশেপাশে। কিন্তু একটা সময় শেষ হয়ে যায় সব উৎসাহ। ১৯৫৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় হাম্বারস্টোন। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে বন্ধ হয় লানোরিয়া। তার পর থেকেই জনমানবশূন্য ভৌতিক স্থান হিসেবে দাড়িয়ে আছে এই দুই শহর। তবে শহর দুইটির ভূতুড়ে হওয়ার কারণ কিন্তু এটা না। কারণ হল এর আদি অধিবাসীরা। বলা হয় মানুষ এই শহরকে ছেড়ে চলে গেলেও শহরের আদি অধিবাসীরা কখনই একে ছাড়তে পারেনি। তাই এখনো রাতের বেলায় দুইটি শহরেই মৃতদের আত্মা ঘুরে বেড়ায়। রাতের বেলা শিশুদের খেলার শব্দ, হাসি, মানুষের কথা শুনতে পাওয়া যায় এই দুটো শহর থেকে। আশেপাশের শহর থেকে কেউ পারতপক্ষে প্রবেশ করতে চায় না হাম্বারস্টোন ও লানোরিয়াতে। শুধু তাই নয়, এই দুটো শহরে অবস্থিত সমাধিগুলোর ঢাকনা সবসময়েই খোলা থাকে। কেন সেটা? ডাকাতের কাজ, নাকি অন্য কিছু? কারণটা কী? আজ অব্দি জানা যায়নি।
৫। লিপ ক্যাসেল
আইরিশ এই প্রাসাদ আর একে নিয়ে মানুষের মনে থাকা ভৌতিক অনুভূতির কথা কে না জানে? ১৫ শতকে ও’ব্যানন তৈরি করেন এই প্রাসাদ। পরবর্তীতে ও’ক্যারল এই প্রাসাদটি ছিনিয়ে নেন। তবে তারপরেও বেশকিছু রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটে যায় এই প্রাসাদে। অনেক মানুষকে স্বাভাবিকভাবেই কারাবরণ করতে হয়। বর্তমানে প্রাসাদে প্রায় সময়েই পাওয়া যায় মানুষের কণ্ঠ আর চলাফেরার আওয়াজ। খুব খারাপ থেকে খুব ভালো- সব রকমের আত্মার দেখা পাওয়া যায় লিপ ক্যাসেলে। প্রাসাদটি নবায়ন করার সময় এর ভেতরে থাকা শ্রমিকেরা একটি চোরা কুঠুরি খুঁজে পায়। কুঠুরিটি কয়েদীদেরকে ছুড়ে ফেলার জন্যে ব্যবহার করা হত। একবার কাউকে ছুড়ে ফেললে সে সেখানেই না খেতে পেয়ে মারা যেত ধীরে ধীরে। কুঠুরিটি আবিষ্কারের সময় প্রায় এক গাড়ি কঙ্কাল পায় শ্রমিকেরা সেখানে।
৬। টুওল স্লেং জেনোসাইড মিউজিয়াম
কম্বোডিয়ার নম পেনে অবস্থিত এই স্থানটি আগে একটি বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে এটি একটি কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হওা শুরু করে। কম্বোডিয়ার মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মানুষকে আনা হয় এই কারাগারে। ভয়ংকরভাবে অত্যাচার করা হয় তাদেরকে। একটু একটু করে মেরে ফেলা হয়। প্রায় ১৭ হাজার মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর না বলা গল্প লুকিয়ে আছে এই স্থানটিতে। অনেক নিরপরাধ মানুষের চিৎকার লুকিয়ে আছে। মাত্র ১২ জন বাদে এখানে আসা সব কয়েদিই মারা যায় একটা সময়। এই মৃত সৈনিক ও মানুষদের আত্মা এখনো জাদুঘরটিতে আছে বলেই মনে করে সবাই। তাই হঠাৎ করে কোন অদ্ভুত কিছু ঘটলেও সেটা খুব একটা আমলে নেওয়া হয় না। তবে ভূতুড়ে স্থানের ভেতরে ফেলতে চাইলে, এটাকে অবশ্যই ভূতুড়ে বলাই যায়।
সুত্র: লিস্ট ভারস
সম্পাদনা: কে এন দেয়া