
ছবি সংগৃহীত
পৃথিবীর ভয়ঙ্কর অভিশপ্ত ৬ স্থান (পর্ব-১)
আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:২১
পৃথিবীতে অবস্থিত নরকের সাতটি দরজার একটি এখানে আছে বলে মনে করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
(প্রিয়.কম) ভূত, ভূতুড়ে স্থান, রহস্যময় এলাকা- এই শব্দগুলোর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সাথেই জড়িয়ে আছে এমন ভৌতিক কিছু ঘটনা, ভূতুড়ে কিছুর সাথে পরিচয় আছে আমাদের সবারই। তবে সেসব তো আমাদের ব্যাক্তিগত অনুভূতি। কিন্তু এবার আপনাদেরকে যে স্থান আর ভৌতিক ঘটনাগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব সেগুলো কেবল কারো একার ভেতরে নয়, ভয়ের আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছে পৃথিবীর সবখানে, সব মানুষের ভেতরে। চলুন তাহলে দেখে আসি সেই ভূতুড়ে স্থান আর তাদের ভৌতিক ঘটনাগুলোকে।
১। রিডেল হাউজ
ফ্লোরিডার পাম বীচ প্রদেশে অবস্থিত রিডেল হাউজটি আগে ব্যবহৃত হত শেষকৃত্যের কাজে। তবে সেটা অনেক আগের কথা। এরপর সময় অনেক গড়িয়েছে। বাড়িটি সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে, ১৯২০ সালে সেটা কিনে নিয়েছেন কার্ল রিডেল। কিন্তু তবু এই বাড়ির ওপরে থাকা অভিশাপ, রহস্যময়তা আর আতঙ্কের প্রলেপ এখন মোছা সম্ভবপর হয়নি। বাড়িটির সবখানেই ছড়িয়ে আছে ভূতুড়ে ছায়া। একটু পরপরই ঘরের আসবাবপত্রগুলো সরে যায় এদিক থেকে ওদিক। বিশেষ করে চিলেকোঠার কথাটা তো না বললেই নয়। বর্তমানে রিডেল হাউজের চিলেকোঠায় কারো যাওয়াটা নিষিদ্ধ। অনেকদিন আগে বাড়ির এক কর্মচারী আত্মহত্যা করে এই চিলেকোঠায় ঝুলে। এরপর থেকে চিলেকোঠাটি যেন একটু বেশিই ভয়ঙ্কর হয়ে গিয়েছে। কেউ এই চিলেকোঠায় গিয়েছে, অথচ কোন ভূতুড়ে কর্মকাণ্ড দেখেনি তা কখন হয়নি।
২। স্টাল সিমিট্রি
বলছি ডগলাস প্রদেশের ক্যানসাসে অবস্থিত স্টাল সিমিট্রির কথা। লরেন্স আর টপেকার মাঝে অবস্থিত স্টালকে আদতে একদমই অন্যরকম মনে না হলেও, বাস্তবে এর ভেতরে লুকিয়ে আছে ভয়ানক কিছু গল্প। অদ্ভুত বিষয় হল, স্টাল স্থানটির আশেপাশে অনেক মানুষ থাকলেও এর ভেতরে বাস করে মাত্র ২০ জন মানুষ। একে তো এতো কম জনসংখ্যা, তার উপরে স্টালে আছে বিখ্যাত স্টাল সিমিট্রি। একটা সময় অপঘাতে অনেক মানুষ মারা যায় স্টালে। তাদের সবার জায়গা হয় এই সমাধিক্ষেত্রে। তাছাড়া, এই সমাধিক্ষেত্রকে নিয়ে কম গুজব প্রচলিত নেই মানুষের ভেতরে। এই সিমিট্রি উপর দিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিলেন পোপ জন দ্বিতীয় পল। পৃথিবীতে অবস্থিত নরকের সাতটি দরজার একটি এখানে আছে বলে মনে করা হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই, স্টাল আর স্টালের সমাধিক্ষেত্র এখনো মানুষের কাছে হয়ে আছে অনেক বেশি ভয়ের একটি স্থান।
৩। দ্যা রিজেস
অ্যাথেন্স লুনেটিক অ্যাসাইলাম ছিল এই স্থানটি এর আগে। পরবর্তীতে ওহিও কর্তৃপক্ষ জায়গাটির দখল নিয়ে নেয় আর এর নাম রাখে দ্যা রিজেস। কিন্তু নাম বদলালে কি হবে? জায়গাটির সাথে জড়িয়ে থাকা ভৌতিক ছায়া এখনো ঠিক আগের মতনই রয়ে গিয়েছে। মানসিক রোগীদের উপরে করা অত্যাচার জায়গাটির ভেতরে এক ধরণের কালচে ছায়া তো এনেছেই, সেই সাথে ৫৪ বছর বয়সি এক রোগীর হারিয়ে যাওয়া আর অকাল মৃত্যু জায়গাটিকে করে তুলেছে আরও ভূতুড়ে। মৃত্যুর সময় লুকিয়ে ছিল রোগীটি। নিজের সব কাপড় খুলে ভাঁজ করে পাশে রেখে মেঝেতে শুয়ে পড়ে সে। সেখানেই তার মৃত্যু হয় আর সেখানেই পচে যায় সে। মেঝেতে পাকাপাকি একটা দাগ রেখে যায় তার শরীর। পরে শরীর সরিয়ে নিলেও দাগটা আর সরানো যায়নি। আজ পর্যন্ত সেই মৃতের আত্মা এখানে ঘুরে বেরায় বলে গুজব আছে। ব্রিটিশ সোসাইটি ফর ফিজিক্যাল রিসার্চ অনুসারে পৃথিবীর সবচাইতে ভূতুড়ে জায়গাগুলোর তালিকায় ১৩ নাম্বার স্থানে আছে দ্যা রিজেস।
সুত্র: লিস্টভারস
সম্পাদনা: কে এন দেয়া