ছবি সংগৃহীত

প্রিয় গন্তব্য: কুমিল্লার ধর্মসাগর পাড়

খন্দকার ইশতিয়াক মাহমুদ
লেখক
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৭, ১২:৫৬
আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭, ১২:৫৬

ধর্মসাগরের পাড়ে বিকেল বেলায় মানুষের আনাগোনা। ছবি: উইকিপিডিয়া।
 
(প্রিয়.কম): কুমিল্লা এককালে ছিল প্রাচীন জনপদ, এখানে ছিল বিভিন্ন রাজবংশের উত্থান পতন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজারা গড়েছেন রাজ প্রাসাদ, মন্দির, বিহার। কখনও প্রজাদের সুবিধার জন্য তারা খনন করেছেন বিশাল দিঘি। ধর্মসাগর ঠিক এরকম একটা খননকৃত দিঘি।
 
কোথায়: ধর্মসাগর কুমিল্লা শহরে অবস্থিত একটি বিশাল জলাধার। এটি একটি প্রাচীন দিঘি। এটি কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ধর্মসাগরের আয়তন ২৩.১৮ একর। এটির পূর্বে কুমিল্লা স্টেডিয়াম ও কুমিল্লা জিলা স্কুল, উত্তরাংশে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যান ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত।
 
সকালের জাদুকরী আলোয় ভেসে যায় ধর্মসাগরের প্রবেশপথ। ছবি: মির্জা গালিব রিমো।
 
কীভাবে: ঢাকা থেকে গেলে কুমিল্লা শহরে যেতে হবে আগে। এ জন্য সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে আছে অনেক বাস। বাস ভেদে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা নেবে কুমিল্লা শহরে আসার জন্য। তার পর রিকশা অটোতে ভাদুরতলা/ধর্মসাগর যেতে হবে। ভাড়া পড়বে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
 
ইতিহাস: ত্রিপুরার অধিপতি মহারাজা প্রথম ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে ধর্মসাগর খনন করেন। এই অঞ্চলের মানুষের জলের কষ্ট নিবারণ করাই ছিল রাজার মূল উদ্দেশ্য। রাজমালা গ্রন্থ অনুসারে মহারাজা সুদীর্ঘ ৩২ বৎসর রাজত্ব করেন (১৪৩১-৬২ খ্রি:)। মহারাজা ধর্মমাণিক্যের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় ধর্মসাগর। ধর্মসাগর নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে বহু উপাখ্যান ও উপকথা। ১৯৬৪ সালে দীঘিটির পশ্চিম ও উত্তর পাড়টি তদানীন্তন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের উদ্যোগে পাকা করা হয়। বর্তমানে ধর্মসাগরের আয়তন ২৩:১৮ একর। কুমিল্লার শহরবাসীর নিকট এই দীঘিটি একটি বিনোদন-কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এখানে অবকাশ উদযাপনের নিমিত্ত প্রতিদিন বিপুল জন সমাগম হয়ে থাকে। শেষে সাগর নামে যে কটি দিঘি আছে, তার মাঝে ধর্মসাগর সারা দেশে বিশেষ প্রসিদ্ধ।
 
বিকেলের মায়াবী আলোয় ধর্মসাগর। ছবি: মেহেদী হাসান।
 
বর্তমানে কুমিল্লাবাসীদের বৈকালিক ভ্রমণের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে এই ধর্মসাগর। ধর্মসাগরের তীরে সারি সারি গাছ আর পাথরের বেঞ্চ মানুষকে এখানে বসে অলস সময়ের হাতছানি দেয়। চাইলে নৌকা ভাড়া নিয়ে দিঘির চারপাশে ঘুরে আসা যায়। অনেকেই সকালের মর্নিংওয়াকটা সেরে নেন এখানেই। 
 
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
 
সম্পাদনা: ড. জিনিয়া রহমান।
 
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।