ছবি সংগৃহীত

রম্য রাজ্যের রানী অনামিকা মন্ডল

সাদিয়া ইসলাম
লেখক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:৫৩
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:৫৩

অনামিকা মন্ডল। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) অনামিকা মন্ডল। ২০১১ সালে লেখালেখির শুরু। ছোটবেলা থেকেই নিজের নামটা ছাপা অক্ষরে দেখার শখ ছিল তার। কালের কন্ঠে সেবার ক্যাম্পাস পাতায় এতদিনের শখ পূরণের একটা সুযোগ পেয়ে যান অনামিকা। তাহলে লেখালেখি না, পত্রিকায় নিজের নামটা ছাপা অক্ষরে দেখার জন্যেই এত কিছু? জানতে চাওয়া হয়েছিল অনামিকা মন্ডলের কাছে।

'আসলে আমি সবসময় যেটা দেখি, যেটা শুনি, সেটাই করতে চেষ্টা করি। এই যেমন- কখনো নচিকেতার গান শুনলে মনে হয় ওরকম কোন গান লিখি, কখনো কারো ভালো কোন লেখা পড়লে মনে হয় এরকম একটা লেখা আমারও লেখা উচিৎ। তাই বলা ভাল যখন যেটা ভাল লাগে সেটাই করি আমি।'

তবে লেখালেখির ক্ষেত্রে অনামিকাকে সবসময় একটু বেশি টেনেছে রম্য লেখাগুলো। এমন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা খুব কমই আছে যেটার রম্য পাতায় অনামিকা লেখেন নি। তাহলে মাঝখানে হঠাৎ থেমে গেলেন কেন রম্য লেখক অনামিকা মন্ডল?

'চাকরি করি। সারাদিন চাকরি করে আর ইচ্ছে করে না লিখতে। ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তবে আসলে আমি চাইলে এখনো আগের মতন লিখতে তো পারতামই। না লেখা আমারই গাফিলতি।'

গত মেলাগুলোতে রম্য বই প্রকাশিত হলেও সামনের বই মেলায় নতুন কোন লেখা লিখতে পারেননি অনামিকা। তবে ইচ্ছে আছে কিছুদিন পর আবার পুরোদমে লিখে যাওয়ার। 

মাঝখানে কিছু সময় স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন অনামিকা। প্রায় ৫-৬ টি নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখার পর সেই কাজেও টেনেছেন বিরতি। তবে লেখালেখির ক্ষেত্রে বিরতিটা একটু অন্যরকম এই লেখকের।

বর্তমানে প্রথম আলোর সোশ্যাল মিডিয়াতে এ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। সেই সাথে টুকটাক লিখে চলেছেন। ইচ্ছে আছে খুব তাড়াতাড়ি আর জোরেশোরে কাজে নামার।

সম্পাদনা: শামীমা সীমা