ছবি সংগৃহীত

গ্রীষ্মে ফোটে যেসব ফুল

শিবলী আহমেদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২ মে ২০১৭, ১০:১০
আপডেট: ১২ মে ২০১৭, ১০:১০

গ্রীষ্মের ফুল। ছবি সংগৃহীত।

(প্রিয়.কম) গ্রীষ্মের অনেক দোষ। তাপদাহ, তৃষ্ণা, খরা, ঘামাচি আরও কতকি! কিন্তু এর মাঝেও দর্শনেন্দ্রীয় শীতল করে তোলে এ ঋতুতে ফোটা কিছু ফুল। সে সব ফুলের চিত্রকথন রইল নিচে। ফুলের ছবি ও তথ্য-উপাত্ত ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

বরুণ ফুল।

বাংলাদেশে জলাভুমি ও নদীর তীরে সহজে দেখা মিলে। বসন্তে নতুন পাতার পরে গ্রীষ্মের শুরুতে বড় বড় থোকা থোকা সাদা বা বেগুনি আঁচযুক্ত ফুল ফোটে।

গুস্তাভিয়া ফুল।

ঢাকায় রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বিভিন্ন পার্ক ও উদ্যানে এই ফুলের দেখা মেলা। গ্রীষ্ম থেকে শরৎ কাল পর্যন্ত এ ফুল ফোটে।

হিজল ফুল।

হিজল ফুল ফোটে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে। ১০-১২ সেমি লম্বা পুষ্পদণ্ডের মাঝে অসংখ্য ফুল ঝুলন্ত অবস্থায় ফোটে।  এ ফুল গভীর রাতে ফোটে, সকালে ঝরে যায়। এতে এক ধরনের মিষ্টি মাদকতাময় গন্ধ আছে।

হিমচাঁপা।

গ্রীষ্মের জনপ্রিয় ও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর একটি ফুলের নাম  হিমচাঁপা। সবুজ লম্বাটে গড়নের বৃক্ষ জাতীয় ফুল গাছ এটি। বসন্তের শেষদিকে গাছে ফুলের কলি আসে এবং গ্রীষ্মের শুরু থেকে গাছের শাখায় শাখায় ফুলের দেখা মেলে। এর ফুলের সুবাস বেশ মিষ্টি।

হলুদ কৃষ্ণচূড়া।

এটি সচারচর দেখা যায় না। ঢাকায় বৃটিশ কাউন্সিলের ভিতরে দুইটি গাছ আছে, যাতে হলুদ কৃষ্ণচূড়া ফোটে।

জারুল।

অসম্ভব সুন্দর এ ফুলটি গ্রীষ্মকালে ফোটে। জারুল ফুলগুলো থাকে শাখার ডগায়, পাতার ওপরের স্তরে। প্রতিটি ফুলের থাকে ছ'টি করে পাঁপড়ি, মাঝখানে পুংকেশরের সাথে যুক্ত হলুদ পরাগকোষ। শরতের শেষ পর্যন্ত এ ফুল দেখা যায়।

জ্যাকারান্ডা ফুল।

জ্যাকারান্ডা ফুলের আদিনিবাস হলো মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, কিউবা, হিস্পানিওলা এবং জ্যামাইকা ও বাহামার উষ্ণ ও উপউষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে। একে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে।

জিনিয়া ফুল।

জিনিয়া ফুল মূলত সাদা , হলুদ , লাল , বাদামী , বেগুণী , কমলা , সবুজসহ হরেক রঙের হয়ে থাকে । এযাবৎ প্রায় ২০ প্রজাতির জিনিয়া চিহ্নিত হয়েছে।

কাঠ-গোলাপ।

ফুলটির নাম কাঠ-গোলাপ। বিশাল বিশাল আকারের পাতাদের মাঝখানে জবুথবু হয়ে একগুচ্ছ ফুল ঘাপটি মেরে বসে থাকে। আর সুঘ্রাণ ছড়িয়ে মাদকতা তৈরি করে রাখে তার চারপাশ জুড়ে।

কৃষ্ণচূড়া।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উজ্জ্বল লাল। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার হয়।

নাগালিঙ্গম।

নাগালিঙ্গম দেখতে পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, ঢাকার বলধা বাগানসহ গুলিস্তানের কাছে মহানগর নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গন। তাছাড়া পুর্তমন্ত্রণালয় ভবনের সামনে, নটরডেম কলেজ ও রমনা উদ্যানেও রয়েছে এই গাছ। ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনটি নাগলিঙ্গম গাছ রয়েছে।

সোনালু ফুল।

গ্রীষ্মে গাছের শাখা-প্রশাখা জুড়ে ঝুলন্ত মঞ্জুরিতে এ ফুল ফোটে এবং এর ব্যাপ্তি থাকে পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়ে।

গ্রীষ্মের আরও কিছু ফুল:

গুলাস ফুল।

মধুমঞ্জুরী ফুল।

পলান ফুল।

পেল্টফরাম ফুল।

সম্পাদনা: গোরা