গ্রীনলাইন বাসসার্ভিস। ছবি- গ্রীনলাইন।

বাংলাদেশ থেকে ভারত যাতায়াতের বিস্তারিত: বাস যাত্রা

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১০:০৯
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১০:০৯

(প্রিয়.কম) মোহনীয় স্বর্গসম সুন্দর দেশ ভারত। নিজ দেশের অপরূপ সুন্দর জায়গাগুলো দেখার পর বেশিরভাগ ভ্রমণপ্রিয় বাংলাদেশির মনেই স্বপ্ন জাগে ভারত ভ্রমণের। কখনো ভারতের মেঘালয়, আবার কখনো দার্জিলিং, শিলং। কেউ যেতে চান প্রেমের অমর নিদর্শন তাজমহল দেখতে। কারও স্বপ্নে বাসা বাধে ভূস্বর্গ কাশ্মির। সম্প্রতি ট্রেকারদের মাঝে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সান্দাকফু। পর্যটক প্রিয় এই জায়গাগুলো ছাড়াও ভারতে দেখার আছে অনেক কিছুই। যেমন স্থাপনা ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ দেশ ভারত তেমনি প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যেও খুব ধনী দেশ এটি।
 
তবে বাংলাদেশ থেকে আপনার গন্তব্য ভারতের যে অঞ্চলই হোক না কেন স্থলপথে সরাসরি যেতে পারবেন শুধু কলকাতায়। এই লেখার আগের পর্বে আমরা বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী মৈত্রী ট্রেন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছি। এবার জানব কোন কোন বাস কলকাতা পর্যন্ত যায়, ভাড়া কত এবং অন্যান্য।
 
 বাস
 
গ্রীনলাইন বাস ঢাকা থেকে কলকাতা যাবে শনি, মঙ্গল এবং বৃহস্পতিবার। কলকাতা থেকে ঢাকা আসবে সোম, বুধ এবং শুক্রবার। বাসটি খুলনা হয়ে যাবে। খুলনা থেকে যাত্রীরা এই বাসে সরাসরি কলকাতা যেতে পারবেন। শ্যামলী বাসের মতো গ্রীনলাইনেও বাস পরিবর্তনের ঝামেলা পোহাতে হবে না। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আরেকটি বাস সার্ভিস ছিল সৌহার্দ্র পরিবহন। চুক্তি শেষ হওয়ায় এই সার্ভিস এখন বন্ধ। রয়েল কোচ, সৌদিয়া এবং সোহাগ পরিবহনের বাস সরাসরি বলা হলেও এগুলো মূলত ট্রানজিট সিস্টেমে চলে। অর্থাৎ, বর্ডারে মালামাল নিয়ে বাস পরিবর্তন করতে হয়। তবে গ্রীনলাইন ছাড়া প্রতিটি বাসই সপ্তাহের প্রতিদিন ঢাকা-কলাকাতা রুটে চলাচল করছে।
 
যোগাযোগঃ
রয়েল কোচ- ০১৯১৭১৩৯৬৩৫০
সৌদিয়া পরিবহন- ০১৯১৯৬৫৪৯৩৫
সোহাগ পরিবহন- ০১৭১১৬১২৪৩৩
শ্যামলী পরিবহন- ০২- ৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫
গ্রীনলাইন পরিবহন- ০২- ৮৩১৫৩৮০
 
কলকাতা ছাড়াও ভারত প্রবেশের আরও অনেক পথ আছে। তবে সেসব পথে সরাসরি বাস বা ট্রেন নেই। কলকাতার সব বাস সম্পূর্ণ পথ একেবারে না নিয়ে গেলেও এক বাসের টিকিটেই আপনি পরের বাসটিতে চড়তে পারছেন। কিন্তু অন্য পথগুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে এমন কোনো সুবিধা কোনো বাস কোম্পানি দেবে না। তবে দেশের আভ্যন্তরীন রুটের বাস বা ট্রেন ব্যবহার করে বর্ডার পর্যন্ত যেয়ে সেখানে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে ওপারে যেতে পারবেন। আপনার সুবিধার্থে জানিয়ে দিচ্ছি ভারত-বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলো কোথায় কোথায় আছে।
 

 

স্থলবন্দর

 

ভ্রমণ হোক প্রকৃতিকে জানার জন্য, সুন্দরের কাছে যাওয়ার জন্য। একজন দায়িত্বশীল ভ্রমণকারী হিসেবে পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, জীবজন্তু এবং গাছ-গাছালির ক্ষটি করা থেকে বিরিত থাকুন। শুভ ভ্রমণ।
সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান
প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post।