
কলকাতায় প্রচুর হোটেল ও গেস্ট হাউজ রয়েছে। যেগুলোতে আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য, দুটোই মেলে কম পয়সায়। ছবি: সংগৃহীত।
কোথায় কোন এলাকায় কলকাতার ভাল ও সস্তা হোটেল
প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৬
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৬
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৬
(প্রিয়.কম): বাংলাদেশ এর প্রতিবেশী একটি দেশ হবার কারণে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ গিয়ে থাকেন ভারতে। আর কলকাতা হয় প্রায় সবারই গন্তব্য, কেউ সেখান থেকে অন্যদিকে মোড় নেন, কেউ আবার সেখান থেকেই দেশে ফিরে আসেন। কলকাতায় ভাল থাকার হোটেল নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েন অনেকেই, আর তাই আজ আমরা এলাকার খোজ দেব, যেখানে ভালো ও তুলনামূলক সস্তা হোটেল পাওয়া সম্ভব।
সাধারণ সময়ে বেশি সমস্যা না হলেও বিশেষ করে উৎসবের সময়গুলোতে কলকাতায় হোটেলে জায়গা পাওয়া নিয়ে হয়ে যায় অনেক সমস্যা। এই সময়গুলোতে শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্য দেশ ও ভারতের অন্যান্য এলাকাগুলো থেকেও মানুষ বেড়াতে আসেন কলকাতায়। এর ফলে নিউমার্কেট, পার্ক স্ট্রিট, মার্কুইস স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, রফি আহমেদ রোডের হোটেলগুলো হয়ে যায় ভরপুর।
কলকাতায় আমরা যেহেতু বিদেশি, তাই সব হোটেলে থাকতে পারি না আমরা। যেসব হোটেলে বিদেশি রাখার অনুমতি আছে, কেবল সেগুলোতেই এই কাজটি করা যায়। কলকাতার সবচেয়ে বেশি হোটেল বা গেস্ট হাউজ আছে পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ও নিউমার্কেট চত্বরের আশপাশের রাস্তাগুলিতে। এখানে বিদেশিদের থাকার অনুমতি রয়েছে। ৬শ থেকে আড়াই হাজার রুপি প্রতি রাত হিসেবে ঘর ভাড়া পাওয়া যায়। চেক ইন-এর সময় সকাল ১২টা। এর মধ্যে কিছু কিছু হোটেলে ঢাকা থেকেও বুকিং দেওয়া যায়। তবে কলকাতায় এসে হোটেল নিলে, ঘরগুলি দেখে নেওয়ার এবং কিছুটা দরদাম করার সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে উৎসবের মৌসুমে পর্যটকদের চাপ বেশি থাকায় হোটেলগুলি অনেক সময় অগ্রিম বুকিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

সস্তা হলেও একটু খোজ করলেই ভাল রুম পাওয়া সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
বিমানে এলে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সিতে ৩০ মিনিট এর মধ্যে আপনি পৌঁছে যাবেন মুকুন্দপুর। মুকুন্দপুরে পৌঁছেই আপনি নিজেই দেখে নিতে পারেন গেস্ট হাউজ। এখানে ঘর ভাড়া ৩শ রুপি থেকে দেড় হাজার রুপি পর্যন্ত। ভালো করে ঘরগুলি দেখে পছন্দ করে নিতে পারেন। প্রথমত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসে থাকলে এই অঞ্চলে থাকলে হাসপাতালগুলোতে যাতায়াতে সুবিধা হবে এবং দ্বিতীয়ত খরচও কিছুটা কম পড়বে। উৎসবের মৌসুমে নিউমার্কেট অঞ্চলে যখন জায়গা পাওয়া যায় না তখন মুকুন্দপুরে অনায়াসে হোটেল বা গেস্ট হাউজে রুম পাওয়া যাবে।
যদি আপনি চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসে থাকেন তবে, আপনি হাসপাতালগুলির কাছাকাছি জায়গায়ও থাকতে পারেন। কলকাতার বেশিরভাগ প্রাইভেট হাসপাতাল কলকাতার পূর্ব দিক অর্থাৎ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দিকে। বাইপাস সেই রাস্তা যা দক্ষিণ দিকের সঙ্গে সোজা উত্তর কলকাতা হয়ে বিমান বন্দরের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে কলকাতাকে। এর পাশেই গড়ে উঠেছে কলকাতার প্রায় সমস্ত প্রাইভেট হাসপাতাল।
এছাড়া আছে দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুর-পুকুর অঞ্চল, এখানেও সস্তায় থাকতে পারেন পর্যটকরা। ৩০০-৭০০ রুপির মধ্যে বেশ ভাল ঘর পাওয়া যায়। রেল পথে এলে স্টেশন থেকে ট্যাক্সি করে চলে আসতে পারেন ঠাকুর-পুকুর এলাকার ক্যানসার হাসপাতাল বাসস্টপে। এখানেই কলকাতার বিখ্যাত সরোজ গুপ্ত ক্যানসার হাসপাতাল। এই হাসপাতালকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শতাধিক গেস্ট হাউজ। পার্ক স্ট্রিট থেকে মেট্রো-যোগে ১২ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায় টালিগঞ্জের মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে। সেখান থেকে ১৫ মিনিট অটোরিকশায় চড়ে ক্যানসার হাসপাতাল বাসস্টপে। এখানে রাস্তার উপরেই আছে অনেক গেস্ট হাউজ। এছাড়াও আশপাশের গেস্ট হাউজের বিজ্ঞাপনও দেখতে পাবেন এখানে।

ছোট ছোট হোটেলগুলো বিভিন্ন এলাকাতেই পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বড় দিনের সময় এই অঞ্চলের চার্চগুলিকে ঘিরে চলে উৎসব ও মেলা। খ্রিস্টধর্মের বেশ কিছু পরিবার এ অঞ্চলে থাকায় বাড়ি ও রাস্তাগুলি সেজে ওঠে রঙে রঙে। বড়দিনের সময় এই এলাকা প্রায় কার্নিভালের শহরে রূপ নেয়। সস্তায় কলকাতায় থাকতে এই এলাকা এক আদর্শ স্থান। তাই নিউমার্কেট এলাকায় ঘর না পেলে সহজেই এখানে চলে আসতে পারেন ভ্রমণকারীরা। তবে হোটেলে প্রবেশ করার আগেই জেনে নিতে হবে বিদেশি অতিথি রাখার অনুমতি আছে কি না।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের কলকাতায় হোটেল রুম নেবার সময় কিছুটা হলেও সহায়তা করবে। এছাড়াও এই লিংকটি দেখতে পারেন। এখানে অনেক গুলো হোটেল এর ঠিকানা রয়েছে।
প্রিয় ট্রাভেল/ সম্পাদনা ড. জিনিয়া রহমান।
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।
৪৬ মিনিট আগে