ছবি সংগৃহীত

জীবজন্তু অধ্যুষিত ৯ টি দ্বীপ (ছবিতে)

সাবেরা খাতুন
লেখক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:৪১
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:৪১

দ্বীপে বাস করা উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলো ভিন্ন ধরনের হয়। ছবি: সংগৃহীত।   

(প্রিয়.কম)  দ্বীপে বাস করা উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলো ভিন্ন ধরনের হয়, পরিবেশগত স্থান পূরণের জন্য তারা বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়। দ্বীপপুঞ্জ বিবর্তনের অন্যতম স্থান। এটা কোন কাকতালীয় বিষয় নয় যে, প্রজাতির বিবর্তনের বিষয়ে চার্লস ডারউইন এর ধারণা দীপপুঞ্জের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছিলো। গ্যালাপেগাস দ্বীপটি ভিন্ন ধরনের নিখুঁত। কিন্তু এমন কিছু দ্বীপ আছে যারা নির্দিষ্ট  একটি প্রাণী প্রজাতির দ্বারা অধ্যুষিত। যা হতে পারে বিবর্তনীয় দুর্ঘটনা বা মানুষের অনধিকার চর্চার মাধ্যমে। আজকের ফিচারে জীবজন্তু অধ্যুষিত এমন ৯ টি দ্বীপের কথাই আমরা জানবো।   

১। খরগোশের দ্বীপ   

জাপানের একটি দ্বীপ ওকুনোশিমা, যেখানে একসময় রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করা হত। বর্তমানে এই দ্বীপটি শত শত ফুটফুটে খরগোশের আবাসস্থল। ইংল্যান্ড সাগরে অবস্থিত এই ছোট দ্বীপটিতে  কীভাবে খরগোশেরা প্রভুত্ব করে তা একটি রহস্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই দ্বীপটিতে রাসায়নিক অস্ত্রের পরীক্ষায় ব্যবহার করা হত খরগোশদের। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানী রাজনীতির অধ্যাপক এলিস ক্রস বলেন, সাম্প্রতিক এই খরগোশগুলোকে স্কুলের বাচ্চারা  বা পর্যটকরা ছেড়ে আসতে পারেন। এই দ্বীপে খরগোশদের জন্য কোন শিকারী নেই। তাই খরগোশেরা নিশ্চিন্তে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। দ্বীপের পর্যটন সাইটগুলোর হিসাব অনুযায়ী এখন সেখানে ৭০০ খরগোশ বাস করে।

২। শিম্পাঞ্জির দ্বীপ

লাইবেরিয়ার উপকূলে ৬ টি দ্বীপের সমন্বয়ে একটি দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে বাস করে বন্য শিম্পাঞ্জিরা। নিউইয়র্ক ব্লাড সেন্টার টিকা তৈরির জন্য এই বন্য শিম্পাঞ্জিদের ব্যবহার করা শুরু করেন ১৯৭০ সালে। ২০০৫ সালে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ৬৬ টি শিম্পাজিদের সেখানে মুক্ত করে দেয়া হয়। এখন এটি শিম্পাজিদের স্বর্গ রাজ্য।

৩। শূকরের দ্বীপ

বাহামার একজুমা জেলার ‘বিগ ম্যাজর ক্যা’ কে পিগ বিচ ও বলা হয়। ২০ টি শূকর বাস করে  এখানে। এরা পর্যটকদের আকর্ষণের বিষয়।

৪। ইঁদুরের দ্বীপ

আলাস্কার অ্যালুটিয়ান দ্বীপকে ইঁদুরের দ্বীপ বলা হয়। ১৭০০ সালে জাপানী জাহাজে করে এই দ্বীপে পৌঁছে এই ইঁদুরগুলো। ২০০৮ সালে আমেরিকার ফিস এন্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস বিভিন্ন সংরক্ষণ সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে সেখানে ইঁদুর মারার বিষ প্রয়োগ করে। ২০১০ সাল নাগাদ এই দ্বীপটি ইঁদুরমুক্ত হয়।

৫। বিড়ালের দ্বীপ

WIVB এর প্রতিবেদন অনুযায়ী নায়াগ্রা নদীর পাশে বাফেলোতে ছোট একটি দ্বীপ বিড়াল দ্বারা  অধ্যুষিত হয়ে আছে। ৮৫ একরের টোনাঅয়ান্ডা দ্বীপে শত শত বিড়াল বাস করে বলে হিসাব দিয়েছে স্থানীয়রা।

৬। রোগাক্রান্ত বানরের দ্বীপ

অনেক ক্যারাবিয়ান দ্বীপেই বানর বাস করে কিন্তু পোয়েরতো রিকোর কায়ো সান্তিয়াগো এর বিপরীত। গবেষণায় ব্যবহৃত বানরদের স্বর্গ রাজ্য এটি। NPR এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বানরগুলো রেসাস বানর। কিন্তু তারা প্রাকৃতিকভাবেই হারপিস বি ভাইরাসের বাহক। এই ভাইরাস বানরের জন্য ক্ষতিকর নয় কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জুর ইনফ্লামেশন তৈরি করতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা একে এড়িয়ে যেতে চান বলে তাদের এখানে বাস করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

৭।   কাঁকড়ার দ্বীপ

ভারত মহাসাগরে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান দ্বীপ ক্রিস্টমাস দ্বীপে মানুষের চেয়ে বেশি হচ্ছে লাল কাঁকড়ারা। তাই একে কাঁকড়ার দ্বীপ বলা হয়। প্রায় ২৫,০০০ লাল কাঁকড়া বাস করে এখানে।

৮। ড্রাগনের দ্বীপ

ইন্দোনেশিয়ার কমোডো ন্যাশনাল পার্ক বিপদজনক কমোডো ড্রাগনের জন্য বিখ্যাত। এরা মানুষকে আক্রমণ করে বলে জানা যায়। কিন্তু টাইম এর মতে, এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার গ্রামবাসী এই গিরগিটিগুলোর পাশাপাশি বাস করেন এই দ্বীপে।

 

৯। সাপের দ্বীপ

ব্রাজিলের সাও পাওলোর উপকূলের একটি ছোট দ্বীপ ‘ইলা দ্যা কুইমাডা গ্র্যান্ডি’ দ্বীপকে সাপের  দ্বীপ বলা হয়। এখানে বিরল ও বিষাক্ত সাপেরা বাস করে।

সূত্র: লাইভ সায়েন্স

সম্পাদনা: রুমানা বৈশাখী