কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হরভজন সিং ও মোহাম্মদ ইউসুফ। ছবি: সংগৃহীত

একে অপরের দিকে কাঁটাচামচ হাতে তেড়ে গিয়েছিলেন হরভজন-ইউসুফ!

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০১৯, ১৩:২২
আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯, ১৩:২২

(প্রিয়.কম) ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলছিল। সেঞ্চুরিয়নে পাশাপাশি দুই টেবিলে বসে মধ্যাহ্নভোজ সারছিলেন হরভজন সিং-জাভাগাল শ্রীনাথ ও মোহাম্মদ ইউসুফ-শোয়েব আখতাররা। এ সময় খোঁচাখুঁচি চলছিল হরভজন -ইউসুফের মধ্যে।

এক পর্যায়ে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে বসেন ইউসুফ। পাল্টা জবাব দেন হরভজন। এ সময় পরিস্থিতি এতটাই গরম হয়ে যায় যে, একে অপরের দিকে কাঁটাচামচ হাতে তেড়ে গিয়েছিলেন হরভজন-ইউসুফ।

১৬ জুন, ওল্ড ট্রাফোর্ডে আরেকটি পাক-ভারত মহারণ। তার আগে ১৬ বছর আগের ঘটনা স্মরণ করলেন হরভজন সিং। ব্যক্তিগত জীবনের গল্প দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তাপ কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।

এ নিয়ে ভারতীয় স্পিনারের ভাষ্য, ‘দুপুরের খাবার সময় আমি যে টেবিলে বসেছিলাম, তার উল্টো দিকে বসেছিলেন ইউসুফ ও শোয়েব। আমরা পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলছিলাম। চলছিল খোঁচাখুঁচিও। এক পর্যায়ে হঠাৎ আমার ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন ইউসুফ। আমিও পাল্টা জবাব দিয়েছিলাম। কেউ কোনো কিছু আন্দাজ করার আগেই কাঁটাচামচ হাতে নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করতে চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়েছিলাম।’

বিষয়টি গড়াতে পারত অনেক দূর। কিন্তু তা না হওয়ার পেছনে কৃতিত্ব দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের উপস্থিতি। হরভজন জানিয়েছেন, রাহুল দ্রাবিড়-ওয়াসিম আকরামরা না থাকলে খুনোখুনিই হয়ে যেত সেদিন! এ নিয়ে হরভজন বলেন, ‘দ্রাবিড় ও শ্রীনাথ (জাভাগাল) আমাকে ঠেকিয়েছিলেন। ইউসুফকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ওয়াসিম (আকরাম) ভাই ও সাঈদ (আনোয়ার) ভাই।’

১৬ বছর পেরিয়ে গেছে। সেই আক্রমণাত্মক তেড়ে যাওয়ার গল্পটা পেছনে ফেলে এখন দুজন ভালো বন্ধু। তবে সেদিনের ঘটনায় এখন হরভজনের কণ্ঠে অনুশোচনা, ‘ইউসুফের সঙ্গে এখন দেখা হলে ওই মুহূর্তটার কথা ওঠে। দুজনেই বুঝি কত বড় ভুল করেছিলাম।’

প্রিয় খেলা/রুহুল