কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেল। ছবি: সংগৃহীত

সারেগামাপার মঞ্চে শান্তনুর সুরে মৌলিক গান গাইবেন নোবেল (ভিডিও)

আশরাফ ইসলাম
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০১৯, ১২:৫২
আপডেট: ১০ জুন ২০১৯, ১২:৫২

(প্রিয়.কম) রিয়েলিটি শোতে সাধারণত স্বর্ণঝরা দিনের কালজয়ী গানকে নিজেদের ছাঁচে ফেলে প্রতিযোগীরা পরিবেশন করেন। তাই অনেকের মধ্যেই গানটা ঠিক হলো কিনা তা নিয়ে একটু সন্দেহ থেকে যায়। ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে এবার অবশ্য দুজন প্রতিযোগী গাইছেন দুটি মৌলিক গান। আর এই দুটি গানকে দর্শকশ্রোতারা বলতে পারবেন না এটা অমুকের গান। সারেগামাপাতে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

প্রথম মৌলিক গানটি ৯ জুন সারেগামার পর্বে শোনা গিয়েছে। কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতাকে সুরে বেঁধেছেন জনপ্রিয় সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। সেই গান গাইবেন কলকাতার গৌরব সরকার আর উত্তর চব্বিশ পরগনার অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। দ্বিতীয় গানটি শোনা যাবে ১৫ জুন। আর সেই গানটি গাইবেন ঢাকার ছেলে মাইনুল আহসান নোবেল।

অ্যাসিড আক্রান্ত নারীদের জীবন এবং তাদের লড়াইকে আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছে জি বাংলা। তাদের সংগ্রামের কথা সুরের মাধ্যমে জনতার কাছে পৌঁছে দিতেই এমন অভিনব প্রয়াস। নোবেলের গাওয়া গানটির সুরকার শান্তনু মৈত্র। কথা লিখেছেন শ্রীজাত। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

সারেগামাপার একজন বিচারক শান্তনু বলেন, ‘নোবেলের কথা চিন্তা করেই এই গানের জন্ম। নোবেল এখন নিজেকে সেই জায়গাতেই নিয়ে এসেছেন। যদিও পরিকল্পনা পরিচালক অভিজিতের। তিনি বলেছিলেন দুজন অ্যাসিড আক্রান্তের কথা। যারা নিজেদের অতীতকে সঙ্গী করে পথ হাঁটছেন অগ্নিকন্যার মতোই। চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সাহস জোগাচ্ছেন তাদের মতো নিপীড়িতদের। কথাটা শোনার পরেই রাজি হয়ে যাই। মনে হয়, এর থেকে বড় প্রতিবাদ আর কিছুই হতে পারে না।’

শ্রীজাত বলেছেন, ‘আমরা রোজই কোনো না কোনো প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাই। কিন্তু এদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের কাছে তা খুবই সামান্য। এদের লড়াইকে সম্মান জানাতেই আমার কলম ধরা।’

নোবেল এ বিষয়ে জানান, এর আগে অনুপম রায় ‘ভিঞ্চিদা’ ছবিতে তাকে দিয়ে প্লেব্যাক করিয়েছেন। এরপর শান্তনু তার জন্য সুর দিলেন। খুব ভাগ্যবান না হলে এমনটা হয় না। তার ভালো লাগছে এমন একটা বিষয়ের ওপর কাজ করতে পেরে।

নোবেল বলেন, ‘জি বাংলা আর সারেগামারার মঞ্চের কাছে ঋণী হয়ে রইলাম আজীবন।’

প্রিয় বিনোদন/রুহুল