কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পরে রেলওয়ে পুলিশ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তালশহর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ভিপি নুরের সঙ্গে কথা বলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসেন। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগের বাধায় ভিপি নুরের ইফতার মাহফিল পণ্ড

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০১৯, ২১:৪৭
আপডেট: ২৫ মে ২০১৯, ২১:৪৭

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজিত ইফতার মাহফিল পণ্ড করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের অংশগ্রহণের কথা ছিল।

২৫ মে, শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডের গ্র্যান্ড এ মালেক চায়নিজ রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামায়াত-শিবিরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোনো অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিপি নুরের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশি পাহারায় ভিপি নুর অনুষ্ঠানস্থলে গেলেও রেস্টুরেন্টে তালা দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

এর আগে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডের গ্র্যান্ডে মালেক চায়নিজ রেস্টুরেন্টে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা। এতে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে প্রধান অতিথি করা হয়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধ করে ইফতারের আয়োজন সম্পন্ন করার পর বিকেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ইফতার অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের প্রতিহত করারও ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।

ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিলেন ভিপি নুর। তবে ছাত্রলীগ ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার খবরে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভিপি নুুর ভ্রমণরত ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার অনুমতি দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে শনিবার বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিট থেকে ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া তালশহর রেলওয়ে স্টেশনে আটকে রাখা হয়। এতে চট্টলা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে। 

এদিকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ভিপি নুরকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়ায় শহরে উত্তেজনা দেখা দেয়। রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন। পরে রেলওয়ে পুলিশ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তালশহর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ভিপি নুরের সঙ্গে কথা বলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার মো. মাঈনুল হক জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে লাইন ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়নি। ফলে ট্রেনটি তালশহর রেলওয়ে স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ট্রেনটিকে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল/আজাদ চৌধুরী