কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৮৯ বলে রয়ের ১১৪ রানের ইনিংসটি জেসন রয়ের ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি। ছবি: সংগৃহীত

দেড় মাস বয়সী কন্যা হাসপাতালে, মাঠে বিধ্বংসী বাবা

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯, ১৭:০৯
আপডেট: ১৮ মে ২০১৯, ১৭:০৯

(প্রিয়.কম) ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ভেসে যায় বৃষ্টিতে। পরের তিন ওয়ানডেতে টানা জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ওয়ানডেতে ৩৪০ রানের পুঁজি নিয়েও ইংলিশদের সামনে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। ৩ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

শুক্রবার নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে পাকিস্তানের দেওয়া ৩৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার জেসন রয়। ৮৯ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ঝড়ো ইনিংসটি খেলার কিছুক্ষণ আগেই ব্যক্তিজীবনে বড় ঝড় পেরিয়ে আসেন জেসন রয়। কিন্তু একবারের জন্যও সেটা কাউকে বুঝতে দেননি তিনি!

সাত সপ্তাহ আগে পৃথিবীর আলো দেখেছে জেসন রয়ের কন্যা সন্তান। মেয়ের নাম রেখেছেন ইভারলি। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে ছোট্ট ইভারলি। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে—এমন আশঙ্কায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন জেসন রয় ও তার স্ত্রী। এরপর উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে কেটেছে তাদের সারা রাত।

কেবল তা-ই নয়, স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে সারা রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডের এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। সকালবেলা চিকিৎসকদের আশ্বাস শুনে ফেরেন টিম হোটেলে। সেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে মাঠে নেমে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানকে।

৮৯ বলে রয়ের ১১৪ রানের ইনিংসটি জেসন রয়ের ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘খুবই কঠিন একটা সকাল গেছে। আমার এবং আমার পরিবারের সারা জীবন মনে থাকবে এই দিনটা। আমার ছোট মেয়েটা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ল। তাকে নিয়ে রাত দেড়টায় হাসপাতালে ছুটতে হয়েছিল।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিকে সবচেয়ে কঠিনতম এবং আবেগময় উল্লেখ করে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘সকাল ৮.৩০ মিনিট পর্যন্ত আমাকে হাসপাতালেই থাকতে হয়েছে। সেখান থেকে হোটেলে ফিরে অল্প কিছুক্ষণ সময় পেয়েছিলাম ঘুমানোর জন্য। মাঠেও অল্প কিছুক্ষণ অনুশীলন করেছি মাত্র। আমার জীবনে এটা সবচেয়ে আবেগময় শতক ও কঠিনতম ম্যাচ।’

প্রিয় খেলা/আজাদ চৌধুরী