কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

‘পাঞ্জাবি ছেঁড়ার’ মামলায় তারেকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ মে ২০১৯, ১৮:৩১
আপডেট: ০৫ মে ২০১৯, ১৮:৩১

(প্রিয়.কম) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ও দলটির মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের  বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

৫ মে, রবিবার এ মামলার শুনানি করে মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান এ আদেশ দেন। মামলার বাদী ‘বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের’ সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর জবানবন্দী রেকর্ড করে। পরে আদালত মামলাটি রাজধানীর বংশাল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

রবিবার দুপুরে এই আদালতে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী।

বাদী তার আর্জিতে দণ্ডবিধির ১০৯/৫০৬ /৩৮৩/৩৯৪/৫০৬-সহ ৩৪ ধারায় অভিযোগ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন। বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রওশন আরা শিকদার ডেইজি।

মামলার অপর চারজন বিবাদী হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রহুল কবির রিজভী আহমেদ।

বাদীর অভিযোগ, গত ৩০ এপ্রিল তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা একটি মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে সকাল সাতটায় রামপুরা থেকে বাসে করে রওনা হন। এরপর সকাল ৮টার দিকে তাঁতিবাজার মোড়ে নেমে হেঁটে আদালতের দিকে রওনা হলে পেছনে থাকা পাঁচজন বিএনপির কর্মী তার পাঞ্জাবি ধরে টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। তারা এ বি সিদ্দিকীকে বলেন, ‘তোকে পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না। কারণ তুই আমাদের মা ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছিস। তোর একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় আমাদের মা মুক্তি পাচ্ছে না। তাই তোকে আজ খুন করব। আমাদের বিএনপির তারেক রহমানের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন নেতাদের হুকুমে তোকে প্রস্তাব দিচ্ছি, এক মাসের মধ্যে মামলা তুলে নিবি। তা না করলে তোর পরিণতি ভয়ংকর হবে। এক মাসের জন্য তোকে মুক্ত করে দিলাম। যদি স্বেচ্ছায় মামলা তুলে না নিস তাহলে তোকে মরতে হবে। তোকে তোর সরকারও আমাদের হাত থেকে আর বাঁচাতে পারবে না। তোকে নুসরাতের মতো জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারব। যদি বাঁচতে চাস, কথাটি মনে রাখিস। আর যদি মামলা প্রত্যাহার না করিস তাহলে তোকে এমনভাবে খুন করব পৃথিবীর কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না।’

মামলার আর্জিতে এ বি সিদ্দিকী আরও বলেন, এসব কথা বলে দুর্বৃত্তরা তার মুজিব কোট খুলে নিয়ে যায় এবং বলেন, ‘তোর বাবার মার্কা মুজিব কোট খুলে নিয়ে গেলাম। শেখ মুজিবের জুলুমবাজ মুজিব কোট আর আমরা দেখতে চাই না। এই বলে আমার পকেটে থাকা ২ হাজার ২০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে বলে, কোনো চিল্লাফাল্লা করবি না, এদিক-ওদিক দেখবি না, সোজা আদালতের দিকে চলে যা। আমরা যা বলেছি, এই শর্ত ভঙ্গ করবি না। না হলে তোকে জাহান্নামে যেতে হবে, এটা যেন মনে থাকে।’

এ বি সিদ্দিকী আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আসামিদের আটক করে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল