কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গণফোরামের অনুষ্ঠানে মোকাব্বির খানের উপস্থিতি অনেককে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ছবি: সংগৃহীত

গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিলে মূল মঞ্চে মোকাব্বির খান!

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০৪
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০৪

(প্রিয়.কম) দীর্ঘ আট বছর পর বিশেষ কাউন্সিলে বসেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। আর এই কাউন্সিলের মঞ্চে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা গেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খানকে।

২৬ এপ্রিল, শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শুরু হয়ে এই কাউন্সিল বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত চলে।

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন মোকাব্বির খান। দল ও জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাউকে কিছু না জানিয়ে শপথ নেওয়ায় তাকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। দলের প্রধান ড. কামাল হোসেন বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন। এমনকি শপথ নেওয়ার তিন দিন পর ৫ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি মোকাব্বির খানকে সেখান থেকে বের করে দেন। সে সময় কয়েকজন গণফোরাম নেতা জানিয়েছিলেন, তাকে বহিষ্কার করা হতে পারে।

ওই ঘটনার দেড় মাসের মাথায় ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার সকালে ড. কামালের সঙ্গেই কাউন্সিল ভেন্যুতে প্রবেশ করেন মোকাব্বির খান। দলের এই প্রেসিডিয়াম সদস্যের জায়গা হয় মূল মঞ্চেই। গণফোরামের আরেক শীর্ষ নেতা ড. রেজা কিবরিয়ার ডান পাশে বসেন তিনি।

শুধু মোকাব্বিরই নন, গত নির্বাচনে গণফোরামের বিজয়ী আরেক প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুরও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এ কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর মোকাব্বির খানকে শোকজ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মোকাব্বির খান উপস্থিত হন কাউন্সিল মঞ্চে। বসেন দলীয় সভাপতি ড. কামাল হোসেনের পাশে। এতে মঞ্চ ও সামনে বসা কাউন্সিলররা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মঞ্চে যারা বক্তৃতা দিয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই মোকাব্বির খানের সংসদে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে গণফোরামের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক কাউন্সিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মঞ্চ থেকে নেমে বেরিয়ে যান। পরে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন যে দ্বৈত নীতিতে দল চালাচ্ছেন, সেভাবে রাজনীতি চলে না।’

তার ভাষ্য, ‘ড. কামাল হোসেন সংসদে শপথ নেওয়ার কারণে মোকাব্বির খানকে তার চেম্বার থেকে বের করে দিয়ে নাটক করেছেন। তিনিই আবার তাকে সংসদে যেতে বলেছেন। একইভাবে দলীয় কাউন্সিলে মোকাব্বির খানকে আসার দাওয়াত দিয়েছেন তিনিই।’

‘দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত ছিল আজকের কাউন্সিলে মোকাব্বির খানকে বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু তাকে মঞ্চে বসতে দিয়ে ড. কামাল হোসেন ঠিক করেননি।’

দলের সংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক খান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কাউন্সিল অধিবেশনে মোকাব্বির খানকে কে দাওয়াত দিয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। তবে আমরা গত ২০ এপ্রিল দলীয় বৈঠকের পর মোকাব্বির খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তিনি এখন পর্যন্ত নোটিশের কোনো জবাব দেননি। তাকে মঞ্চে দেখে সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’

‘মঞ্চে তার বিরুদ্ধে তার সামনে যে ধরনের বক্তব্য এসেছে, লজ্জা থাকলে মাটি খুঁড়ে তখনই নিচে চলে যাওয়া উচিত ছিল।’

প্রিয় সংবাদ/আজাদ চৌধুরী