ছবি সংগৃহীত

সুন্দরী এক কানাডিয়ান মেয়ের লিভ-টুগেদার

Ruhul Khan
লেখক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪, ১১:০৬
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪, ১১:০৬

কানাডাতে “লিভ-টুগেদার” মানে অনেকটা বাংলাদেশের বিয়ের মতই। একটা ছেলে আর একটা মেয়ের এক সাথে থাকা। কানাডাতে ছেলে-মেয়েরা কয়েক বছর লিভ-টুগেদার করে, তারপর সম্ভব হলে বিয়ে করে বা লিভ-টুগেদার পর্ব চালিয়ে যেতে থাকে। বিয়ে বা লিভ-টুগেদার যেটাই হউক, সেটার একটা বয়স আছে। প্রথমেই কানাডার ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়সের কথা বলছি। খুব মজার নিয়ম। একেক প্রদেশে (কানাডাতে মোট ১০টা প্রদেশ) একেক নিয়ম। আমি যে প্রদেশে থাকি তার নাম ব্রটিশ কলাম্বিয়া, যার রাজধানী ভিক্টোরিয়া। এখানে ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৯ বছর (আবার অন্টারিও প্রদেশে কিন্তু ১৮)। একটা ছেলের বয়স যেমন ১৯ হতে হবে, তেমনি একটা মেয়ের বয়সও ১৯ হতে হবে। বাংলাদেশের মত না। কানাডার সংবিধানের সেকশন ৯১(২৬) ধারা “Marriage and Divorce in Canada” অনুযায়ী এটাই এখানকার বিয়ের বিধান। তবে একটা কিন্তু আছে। একটা ছেলে বা মেয়ে ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে যদি তাদের অভিভাবকের লিখিত অনুমতি থাকে। তবে ১৬ বছরের নীচে বিয়ে অবৈধ। না বললেই নয়, ২০০৫ সন থেকে আবার “ছেলে-ছেলে” বা “মেয়ে-মেয়ে” বিয়ে বৈধ। এবার বলছি, আমার পাশের ফ্লাটের সুন্দরী শানিয়ার লিভ-টুগেদারের কাহিনী। কানাডাতে আমি থাকি তিন তলা বিল্ডিং-এর একটি ফ্লাটে। আমাদের বিল্ডিং এ মোট ১৪টা ফ্লাট, এবং কার-পার্কিং প্লেসও ১৪টা। মানে ১৪টা পরিবার থাকে। এই ১৪টা পরিবারের মোট জনসংখ্যা হলো মাত্র ১৬ জন। আসলে কানাডাতে মানুষ জন তেমন বাচ্চা-কাচ্চা নিতে চায় না। সবাই যেনো মেশিন, কারো এতোটুকু সময় নেই। একটা হিসাব দেয়া যাক, লেবাননের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে +৯.৭৩% সেখানে কানাডার হলো মাত্র +০.৭৬% (২০১৩ সনের হিসাব)। লোকাল হোয়াইট কানাডিয়ানদের বাচ্চা একেবারেই কম। ইরান, বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের বদৌলতে তাও এই পজিটিভ নাম্বার, অন্যথায় জার্মানির মত নেগেটিভ রেট (মাইনাস ০.১৮%) হতো, আমি নিশ্চিত। মজার কথা হলো, আমাদের ফ্লাটে শিশু আর গৃহপালিত পশু (যেমন কুকুর আর বিড়াল) নিষিদ্ধ। মানে হলো, শিশু আর গৃহপালিত পশু থাকলে এই ফ্লাট ভাড়া দেয়া হবে না। কারণটা হলো সবাই চাকুরী করে, সবাই চায় একটু নিরিবিলি পরিবেশ। ভাড়ার প্রথম দিনেই একটা ফর্দ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে, কি করা যাবে আর কি করা যাবে না। এক নম্বরেই আছে কোনো প্রকার শব্দ করা যাবে না। আমার ফ্লাট তিন তলায়। খুবই সুন্দর ছোট একটা ফ্লাট। এখানে টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, মাইক্রোওয়েভ, চেয়ার-টেবিল, থালা-বাসন, ওয়াইন গ্লাস সবই আছে। আমার ফ্লাটকে বলা হয় Two and Half, Fully Furnished Flat। মানে হলো- একটা বেড রুম, একটা ড্রয়িং রুম সাথে রান্নাঘর। আর বাথরুমকে ধরা হয় আধা রুম। এই হলো Two and Half এর ব্যাখ্যা। তবে বাথরুমটাই সবচেয়ে সুন্দর আর আরামদায়ক। বাথরুমে রয়েছে ৮-১০টা ড্রয়ার আর সেগুলো ভরা সুন্দর সব টাওয়েল। বাথটাবটা কুসুম গরম পানিতে ভরে, শাওয়ার জেল দিয়ে শুয়ে থাকতে আর মিউজিক শুনতে কার না ভালো লাগে? যাই হউক, ভাড়া দিতে হয় ব্যাংকের মাধ্যমে, একেবারে মাসের এক তারিখ। একদিন দেরি করলেই ২০ ডলার করে জরিমানা। আমার বাসা ভাড়া ১০৫০ ডলার। আমার পাশের ফ্লাটে থাকে ২৪ বছর বয়সী সুন্দরী শানিয়া। বছর খানেক আগে গ্রেজুয়েশন শেষ করে চাকুরীতে যোগদান করেছে। আমার সাথে খুব কমই দেখা হয়। কোন দিন আমার রুমে কখনোই নক করেনি। সকালে দেখা হলে বলি, শুভ সকাল শানিয়া, কেমন আছো? আর রাতের বেলায় দেখা হলে বলি, শুভ রাত্রী শানিয়া, ভালো থেকো। শানিয়া সব সময়ই খুব খোলা-মেলা পোশাক পরে। কোনো মেয়ে যে, এতো সুন্দর হতে পারে তা শানিয়াকে না দেখলে বুঝতাম না। যাকে বলে বিধাতা নিজ হাতে বানিয়েছেন। সাধারণত, শানিয়া জিনস-এর ছোট সর্টজ আর ছয় ইঞ্চির মত টপস পরে। ওর কাপড়-চোপড়ের প্রশংসা আমাকে করতেই হবে। আর তাইতো, মাঝে মাঝেই একটু উঁকি-ঝুঁকি করি ওর বারান্দার দিকে। দেখতে মন চায়, কি কি কাপড়-চোপড় সুন্দরীটা শুকাতে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ড্রয়ারটা আমাকে সে সুযোগ কখনোই দেয়নি। মেয়েটার রুম মনে হয় খুব সুন্দর করে সাজানো। খুব ইচ্ছা হয়, কোনো একটা উছিলা নিয়ে একটু নক করে ওর রুমটা দেখার। কিন্তু সাহস হয় না। এখানে নিয়ম বড় কড়া। কোনো মেয়েকে উত্তক্ত করলে সাথে সাথে ছয় মাসের জেল আর ২০০০ ডলার জরিমানা। জেনে রাখা দরকার, কানাডা ক্রিমিনাল কোড ১৯৯১ (৬১-৬২) ধারা অনুযায়ী, কোনো মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করলে ২৫ বছরের জেল। এখানে সব আইনগুলো করা হয়েছে মেয়েদের অনুকূলে। আর তাই, যা হবার তাই হয়েছে। ছেলেরা আর “ছেলে” নেই, হয়েছে “ভেড়া”। বলা দরকার, কানাডাতে শুক্রবার থেকেই সাপ্তাহিক ছুটির মজা আরম্ভ হয়ে যায়। কানাডাতে শনিবার আর রবিবার হলো ছুটি। তাই শুক্রবার বিকেল থেকেই যার সাথে দেখা হয়, সেই জানতে চায় সাপ্তাহিক ছুটির পরিকল্পনা কি কি। মজার ব্যাপার হলো, এখানে সাপ্তাহিক ছুটি মানে এক বিরাট আনন্দ। কয়েক সপ্তাহ আগে, এক শুক্রবার বিকেলে শানিয়াকে বলেছিলাম: তোমাদের সাপ্তাহিক ছুটি সুন্দর হউক। কথাটা বলেই বিপদে পড়েছিলাম। শানিয়া আমাকে জানালো, তার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই। কানাডাতে কিন্তু বয়ফ্রেন্ড থাকা মানে “অলিখিত বিয়ে”। মানে, স্বামী-স্ত্রীর মতো একসাথে থাকতে পারবে। কানাডার মানুষ খুবই শান্তি-প্রিয় জাতি, কোনো ঝামেলায় জড়াতে চায় না। তাই বিয়ে প্রায় উঠেই গেছে সমাজ থেকে। ১৯৫০ সনের পর থেকে কানাডাতে বিয়ের গতি যে হারে কমেছে, ছাড়া-ছাড়ি সেই হারে বেড়েছে। বিয়েতে যেমন অনেক ঝামেলা, ছাড়া-ছাড়িতে আরো বেশী ঝামেলা। একটি ছেলে আর একটি মেয়ে এক সাথে থাকবে যতোদিন ভালো লাগে, এখানে বিশ্বাসটাই বড়। আমি শানিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম, কেনো তোমার বয়ফ্রেন্ড নেই? যেহেতু আমি বাংলাদেশের ছেলে, আমাদের আবার “অতি ভালো একটা গুণ” আছে। কোনো মেয়েকে পেলেই জিজ্ঞাসা করতে মন চায়, “আপনার কি বিয়ে হয়েছে? এখনো হয় নাই? কি সমস্যা আপনার?” কানাডার ছেলেদের এতো ভালো গুণ আছে কি না আমার জানা নেই। শানিয়া জানালো, বয়ফ্রেন্ড তো নিতেই চাই কিন্তু এক ঝামেলার কারণে নিতে পারছি না। আমি বললাম, কি ঝামেলা শানিয়া তোমার? ও জানালো, এখানে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের Starbucks Coffee Shop-এ কথা হবে। আমাকে ধন্যবাদ জানালো, ওর এই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমার চিন্তা দেখে। কানাডাতে কেউ আবার কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলে না। আমি জানালাম, আগামি সোমবার দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় আমরা দেখা করতে পারি। এখানে দুপুর ২.৩০ থেকে ৩.০০টা পর্যন্ত কফি ব্রেক। এখানে বলা দরকার, কানাডিয়ান মেয়েরা যেমন ভালো তেমন দুষ্টু। শানিয়া আমাকে বললো, তুমি আমার সমস্যা শুনতে চেয়েছো ভালো কিন্তু যদি সমস্যার কোনো সমাধান দিতে না পারো তাহলে কিন্তু পুরো বিলটা তোমাকে শোধ করতে হবে। সাহস করে শর্তটা মেনে নিলাম। ভাবলাম, এ আর এমন কি? শুধু তো কফির বিল!!! শানিয়া জানালো, শুধু কফি হলে চলবে না, সাথে নিতে হবে Butter Croissant আর Cinnamon Swirl Coffee Cake। এতো আইটেম? শানিয়া আমাকে স্মরণ করিয়ে দিলো, যদি তুমি আমার সমস্যার সমাধান দিতে পারো তাহলে বিলটা আমি দিব আর যদি দিতে না পারো তাহলে বিলটা তোমার। আমি ভাবলাম, হায় হায় এটা কেমন কথা!!! সোমবার দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় আমাদের দেখা হলো আমাদের ক্যাম্পাসের Starbucks Coffee এ। শানিয়া অর্ডার করলো আর আমাকে জানালো ওয়াদার কথা। আমি বললাম, এবার বলো তোমার কি সমস্যা? শানিয়া জানালো তিনটা ছেলে ওকে প্রস্তাব দিয়েছে, মানে গার্লফ্রেন্ড হওয়ার জন্য। শানিয়া ওই ছেলেদের সাথে বেশ কয়েকবার এক সাথে রাত্রীযাপনও করেছে। শানিয়ার তিনটা ছেলেকেই খুব পছন্দ। তিনটি ছেলেই দিবা-রাত্রীর সব পরীক্ষায় A+ পেয়েছে। এখন কি করবে বুঝতে পারছে না। তিনজনের একজন হলো মার্কিন, একজন জার্মান আর একজন ইরানী। এখানে বলে রাখা ভালো যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর ১৪৯ দেশের ছেলে-মেয়েদের পদচারনায় চির-যৌবন প্রাপ্ত। বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের (৯৩৭২ জন) মধ্যে ২৪% চাইনিজ, ২০% মার্কিন, ৯% ইরানী, ৭% ভারতীয়, ৩% জার্মান, ২% বৃটিশ আর বাংলাদেশীদের সংখ্যা হাতে গোনা। যাই হউক, মনে মনে ভাবলাম এটাতো বিরাট সমস্যা, একটা সমাধান আমি দিবোই। আমি শানিয়াকে জানালাম, তোমার দুই জন বয়ফ্রেন্ড নিতে কোনো আপত্তি আছে কি না? শানিয়া জানালো যদিও তিনটি ছেলেকেই তার পছন্দ তবে দুটি ছেলে হলেও চলবে। আমি বললাম, কোন সমস্যাই নেই, একটা সমাধান পেয়ে গেছি। তুমি ওই মার্কিন আর ইরানী দুই ছেলেকেই নিতে পারো, জার্মান ছেলেটা বাদ। শানিয়া গভীর চিন্তায় নিমগ্ন, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, তা না হয় হলো কিন্তু সময় কিভাবে বন্টন করবো? আমি বললাম, তোমার তো আবার ২৪ দিনে মাস (৬ দিন বাদ দেয়া হলো মেয়েদের বিশেষ সমস্যার কারনে)। তাই, যে ছেলে তোমার সাথে একদিন থাকতে চাইবে, তোমার সার্ভিস-চার্জ রেট হবে ৫০ ডলার। এখন ওরাই ঠিক করবে কে কতদিন তোমার সার্ভিস নিবে। শানিয়া হাসতে হাসতে বললো, তাহলে তো তিনটা ছেলেকেই নিতে পারি। আমি জানালাম, এমন কাজ করতে যেও না। তিনটা ছেলে এক হলেই দুইটা দল হয়ে যাবে আর তোমার বিরুদ্ধে লাগবে। এক মার্কিন আর এক ইরানী জীবনেও একমত হতে পারবে না। আর তোমার বিরুদ্ধেও লাগতে যাবে না। শানিয়া হাসতে হাসতে বিলটা দিয়ে বললো, “বাংলাদেশী ছেলেরা তো বিরাট প্রতিভার অধিকারী, আমার এটা জানা ছিলো না”। আমি জানালাম, তুমি তো থাকো কানাডাতে, তুমি কি করে জানবে? আমাদের ছেলেরাই তো জানে না যে, ওরা কতো মেধাবী। এবার শানিয়া একটু লজ্জিত হয়ে বললো, আরো যে একটা নতুন সমস্যা বের হলো। আমি বললাম, ওয়াদা ছিলো আমি একটা সমস্যার সমাধান দিবো। আর আজকে আমার হাতে সময় নেই। তুমি তোমার সমস্যাটা আমাকে জানাতে পারো, আমি চিন্তা করে বলবো। শানিয়া জানালো, তাহলে সমস্যাটা কালকেই বলবো। আর আমার উপর নতুন শর্ত আরোপ করলো। শর্তটা হলো, যদি আমি এই সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারি তাহলে কালকে দুপুরে আমাকে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ার ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খাওয়াবে। তবে সমাধানটা ওর পছন্দ হতে হবে। আর যদি সমস্যার সমাধান না দিতে পারি তবে কিন্তু বিলটা আমাকেই দিতে হবে। আমি রাজী হয়ে গেলাম। পরেরদিন যথারীতি আমরা দুজনেই হাজির হলাম ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টে। মেনু দেখে শানিয়া অর্ডার করলো: রাইস, বাটার চিকেন, ফিস পাকোরা, মালাই কোফটা আর গোলাপ-জাম। মনে মনে ভাবছি, আজকে আমার খবর আছে। যাক, যা আছে কপালে, আমি অর্ডার দিলাম: গার্লিক নান, তন্দুরী চিকেন টিক্কা, চিলি চিকেন আর ফিরনী। শানিয়া জানালো, খাবার খেতে খেতে সে কথা বলবে। এই ফাঁকে আমি ওয়াশরুম সেরে আসলাম। আমাদের গরম গরম খাবার চলে এলো। শানিয়া বললো, আমি যদি বাচ্চা নিতে চাই তাহলে কি হবে? কে ওই বাচ্চার “বাবা” হবে আর কে “চাচা” হবে? আমি বললাম, জটিল সমস্যা, আমাকে একটু চিন্তা করতে দাও, একটু গরম মসলা জাতীয় খাবার খেয়ে নেই। শানিয়া কিছুটা সন্দিহান, মনে হয় আমি পারবো না। আমাকে বললো, না পারলে বিল দেয়ার জন্য তৈরী হয়ে যাও। আমি বললাম, দেখো শানিয়া, বাংলাদেশের ছেলেদের কাছে বিলটা বড় না, পরাজয়টা বড়। আমরা হেরে যেতে শিখি নাই। একটু অপেক্ষা করো। আমি রেষ্টুরেন্টের হোষ্টেস মালতিকে ডেকে দুইটা কাঁচামরিচ আনতে বললাম। মালতি জানালো, কাঁচামরিচ নেই, তবে শুকনা মরিচ আছে। আমি জানালাম, যা আছে তাই আনো। আমি শুকনা মরিচে এক কামড় দিতেই মাথাটা খুলে গেলো। আমি বললাম, পেয়ে গেছি তোমার প্রশ্নের উত্তর। শানিয়া আমাকে বললো, সমাধান পেলে তো চলবে না। আমার তো পছন্দ হতে হবে। কি তোমার সমাধান? আমি লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করে জানালাম, যে গোল করতে চাইবে সে খালি পায়ে খেলবে আর অন্যজন বুট জুতা পরে খেলবে। বিল বের করে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়লো শানিয়া... হা-হা-হা... “ইউ বাংলাদেশী নটি বয়”...হা-হা-হা-হা-হা ...। (রুহুল খান, ইউনিভার্সিটি অব বৃটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা)