ছবি সংগৃহীত

শৈশব কাল যেসব কারণে অন্যান্য বয়সের চেয়ে একটু আলাদা

farzana rinky
লেখক
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০১৪, ০৭:৫৮
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৪, ০৭:৫৮

মানুষের সারা জীবনে কয়েকটি কাল উপস্থিত হয়। যেমন শৈশব কাল, কৈশোর কাল, যৌবন কাল এবং বার্ধক্য। প্রতিটি কালেরই আলাদা কিছু গুরুত্ব রয়েছে মানব জীবনে। কিন্তু শৈশব কালটি কিছুটা আলাদা অন্যান্য যেকোনো কালের চেয়ে। শৈশব কাল শুরু হয় ৩/৪ বছর থেকে এবং শেষ হয় ১১/১২ বছর বয়সে। এসময় শিশুরা অনেক বেশি চঞ্চল হয়ে থাকে। আসুন জেনে নিই ঠিক কি কি কারণে শৈশব কাল অন্যান্য কালের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

১. বুদ্ধিমত্তা বিকাশের সময় :

শৈশব কালেই একজন মানুষের সামগ্রিক বুদ্ধিমত্তা বিকশিত হয়ে থাকে। এসময়ই বাচ্চাদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সচল হয় আর বুদ্ধিদীপ্তির বিভিন্ন দিক খুলতে থাকে। এ কারণেই দেখবেন শৈশব কালেই বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নীরিক্ষা চালায়। একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের মস্তিষ্ক যতটুকু গতিতে কাজ করে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি গতিতে শৈশবকালের একটা বাচ্চার মস্তিষ্ক কাজ করে।

২. মানসিক বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময় :

শৈশব কালই একজন মানুষের মানসিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময়ই বাচ্চারা ভালো মন্দের বিচার করতে শেখে, ন্যায় অন্যায় সম্পর্কে বুঝতে শেখে। এছাড়া সামগ্রিক জীবনের সম্পূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষাটি শুরু করে এই সময় থেকেই। এই সময়ই বিকাশিত হয় একটি বাচ্চার মানসিক গড়ন।

৩. স্মরণশক্তি বেশি থাকে :

এটা সর্বক্ষেত্রে পরীক্ষিত যে শৈশবকালেই একজন মানুষের স্মরণশক্তি অনেক বেশি থাকে। খেয়াল করে দেখবেন এ সময়ই বাচ্চারা মনে রাখতে পারে কোন জিনিস কোথায় রয়েছে। এই সময়ে মুখস্তবিদ্যা যতোটা প্রখর থাকে সেটি বয়স হয়ে গেলে আর থাকে না।

৪. সহানুভূতিশীল হিসেবে গড়ে ওঠার সময় :

শৈশবকাল এমন একটি কাল যে সময়ে সকল ধরনের আবেগ অনুভূতি একজন বাচ্চার মধ্যে গড়ে উঠতে থাকে। এসময়ই একজন বাচ্চার মাঝে অন্যের প্রতি সহানুভূতি গড়ে ওঠে। অন্যকে ভালোবাসতে শেখে এই সময়েই।

৫. নিজেকে আবিষ্কার করতে শেখে :

শৈশবকালে বাচ্চারা নিজেদেরকে আবিষ্কার করতে শেখে। তারা কি পারে, কি পারে না এই বিষয়ে ধারণা তৈরি করে ফেলে। ভালোলাগার বিষয়গুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পর্কেও নিজেকে যাচাই করতে শেখে।