ছবি সংগৃহীত

রক্তদানের নিয়ম কানুন

ফজলুল করিম রনি
লেখক
প্রকাশিত: ০২ মে ২০১৩, ১১:৫৬
আপডেট: ০২ মে ২০১৩, ১১:৫৬

অস্ত্রোপচার, দুর্ঘটনায় রক্তক্ষরণ, প্রসবকালীন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, রক্তের ক্যান্সার, রক্তশূন্যতা, হিমোফিলিয়া, থ্যালাসেমিয়া, ডেঙ্গুসহ রক্তের স্বল্পতাজনিত অন্যান্য যে কোনও রোগের চিকিৎসায় রোগীর শরীরে কৃত্রিম উপায়ে রক্ত সঞ্চালন করবার প্রয়োজন পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা সামনে এগিয়ে গেলেও রক্তের কোনও বিকল্প উপাদান আজতক তৈরি হয়নি। আর তাই সঠিক সময়ে রক্তের অভাবে প্রাণ নাশের ঘটনা এখনও বিরল নয়। রোগীকে কেবল রক্ত দিলেই হবে না, দিতে হবে রক্তের গ্রুপ মিলিয়ে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো যে “ও নেগেটিভ” হচ্ছে সার্বজনীন দাতা। অর্থাৎ এই গ্রুপের রক্ত অন্য যে কোনও গ্রুপের মানুষকে দেয়া যায়। কিন্তু “ও নেগেটিভ” নিজে অন্য কোনও গ্রুপের রক্ত গ্রহণ করতে পারে না। এবং প্রকৃতির কোনও এক অদ্ভুত খেয়ালে এই “ও নেগেটিভ” একটি দুষ্প্রাপ্য ব্লাড গ্রুপ। রক্ত সঞ্চালনের সময় যেমন অনেক কিছু বিবেচনায় রাখতে হয়, তেমনি রক্তদানের সময়েও বিবেচনা করতে হবে অনেক কিছু। কেবল রক্ত দান করতে চাইলেই হবে না, আপনি রক্ত দানের উপযুক্ত কিনা সেটিও জানতে হবে। আসুন, জেনে নেয়া যাক রক্তদানের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা। যোগ্যতা- ১. ১৮-৬০ বছর বয়সী যে কোনও সুস্থ ও নীরোগ মানুষ রক্ত দান করতে পারেন। ২. মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৫ কেজি এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৪৮ কেজির অধিক ওজনের যে কোনও মানুষ রক্তদান করতে পারেন অনায়াসে। ৩. প্রতি ৪ মাস অন্তর অন্তর এক ব্যাগ (৩৫০- ৪৫০ মিলি লিটার) রক্ত দান করা যায়। অযোগ্যতা- ১) যারা হেপাটাইটিস, এইডস, ম্যালেরিয়া বা অন্য কোন রক্তবাহিত রোগে ভুগছেন, তাদের রক্তদান করা উচিত না, কারণ সেই রক্ত রোগীকে নতুন রোগে আক্রান্ত করতে পারে। ২) কোন রোগের কারণে অ্যান্টিবায়োটিকজাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন, এরকম অবস্থায়ও রক্ত দেয়া উচিত নয়। ৩) মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন সময়ে, গর্ভবতী অবস্থায় ও সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ১ বছর পর পর্যন্ত রক্তদান করা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ৪) মাস ছয়েকের ভেতর বড় ধরণের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বা অপারেশন হয়েছে - এমন ব্যক্তিদেরও রক্ত দান করা উচিত নয়। যখন রক্তদান করা যায়- ১. রক্তদান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো সময় করা যায়। ২. ভরাপেটে খাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পরে রক্ত দেয়া ভালো। ৩. খালি পেটে না দিয়ে হালকা খাবার খেয়ে রক্ত দেয়া ভালো।