ছবি সংগৃহীত

যে ৫টি খাবার হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ!

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০৪:০০
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০৪:০০

ঘন্টার পর ঘন্টা টয়েলেটে বসে থেকেও পেট পরিষ্কার হয় না? মাঝে মাঝে কয়েকদিন পর্যন্ত পায়খানা বন্ধ থাকে? পায়খানা করতে এই ধরণের সমস্যা হলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে। কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। আর এই সমস্যা যাদের আছে তাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে সপ্তাহে অন্তত তিনবার পেট পরিষ্কার হয়ে পায়খানা না হলে, মলত্যাগের জন্য দীর্ঘ সময় লাগলে, তলপেট ও তার আশে পাশের অংশে যদি ব্যাথা অনুভূত হয় তাহলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী হতে পারে কিছু খাবার। আসুন জেনে নেয়া যাক ৫টি খাবারের কথা যেগুলো হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ।

চকলেট

চকলেট হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ। যারা চকলেট ভালোবাসেন তারা ভ্রু কুঁচকে তাকালেও এটাই সত্যি! চকলেটে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। জার্মানির একটি গবেষণায় দেখা যায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় সবারই খাবার তালিকার প্রধান একটি খাবার হলো চকলেট।

দুগ্ধজাত খাদ্য

যারা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে দুগ্ধজাত খাবার খান যেমন দুধ, পনির ইত্যাদি তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুধে উপস্থিত ল্যাকটোজ এর কারণে গ্যাস ও বমি ভাবও হতে পারে অনেকের। ইরানের একটি গবেষণায় ১ থেকে ১৩ বছরের শিশুদের উপর জরিপ করে দেখা গিয়েছে যে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের মধ্যে ৮০% জন শিশুই নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ করেছে।

লাল মাংস

গরু কিংবা খাসীর মাংস ভালোবাসেন? তাহলে জেনে নিন যে গরুর মাংস হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি কারণ। প্রোটিনের জন্য সামান্য পরিমাণে লাল মাংস খেলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এক দিনেই প্রচুর পরিমাণে মাংস খেলে ফেললে কোষ্টকাঠিন্য হয়ে যেতে পারে। তাই লাল মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

ভাজা পোড়া খাবার

খুব বেশি তেলে ভাজা পোড়া খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। এ ধরণের অতিরিক্ত তেলে ভাজা পোড়া খাবার যেমন, নানান রকম ফাস্টফুড, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, আলু পুরি, সিঙ্গারা, ডালপুরি ইত্যাদি খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর গতির হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এধরণের খাবার গুলো স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়াকে ব্যহত করে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত ভাজা পোড়া খাবার না খেলে সেদ্ধ কিংবা ঝোল করা খাবার খাওয়া ভালো।

চা/কফি

যারা সারাদিন প্রচুর পরিমাণে চা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যারা অতিরিক্ত চা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা অন্যদের চাইতে বেশি থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে চা কফি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।