
ছবি সংগৃহীত
যে ১০টি কাজের জন্য আপনি হতে পারেন অন্যের বিরক্তির কারণ
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৭:১৩
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৭:১৩
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৭:১৩
(প্রিয়.কম) আচ্ছা, আপনি কীসে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হন? মানে, আপনার সামনে কেউ কোন কাজটি করলে আপনার বিরক্ত লাগে? সেই তালিকায় থাকতে পারে অনেক কিছুই। কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার কোনো অভ্যাস বা কাজের কারণে আপনি অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছেন কি না? কিছু কাজ আছে যা অন্যকে করতে দেখলে আপনা থেকেই ভ্রূ কুঁচকে ওঠে বিরক্তিতে। অন্যের বিরক্তির কারণ না হতে চাইলে বিরত থাকুন এই ১০টি কাজ করা থেকে।
১. বারবার মাথা চুলকানো
কিছু মনে না এলে বা মাথায় কিছু না ঢুকলে মাথা চুলকানো অনেকেরই অভ্যাস। আবার অনেকে খুশকি, উঁকুন বা মাথায় জমে থাকা ময়লার কারণেও মাথা চুলকান। আপনি ঠিক কী কারণে বারবার মাথা চুলকাচ্ছেন তা তো আপনার সামনের জনের জানার কথা নয়। তাই তিনি বিরক্ত হতেই পারেন!২. মেনুকার্ড থাকতেও বেয়ারাকে খাবারের দাম জিজ্ঞেস করা
টেবিলে খাবারে তালিকা এবং পাশে দাম লেখা থাকা সত্ত্বেও এই কাজটা অনেকেই করে থাকেন। এটা সত্যিই ভয়ানক বিরক্তিকর এবং একই সাথে বিব্রতকর। বারবার বেয়ারাকে ডেকে এনে খাবারের দাম জিজ্ঞেস করাটা 'ব্যাড ম্যানার্সে'র তালিকাতেও পড়ে বটে।৩. নাক খোঁটা
নাকের ভেতর আঙুল দিয়ে নাক চুলকানো বা নাক খোটা যে শুধু বিরক্তিকরই নয় পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকরও। এ কাজ জনসম্মুখে করা একেবারেই উচিত নয়। এটা অপরিচ্ছন্নতা এবং কুরুচির পরিচয় দেয়।৪. থুতু ছিটিয়ে কথা বলা
এটা একটা বাজে অভ্যাস। এটা সামনের লোকের মনে ঘৃণারও জন্ম দেয়। তবে অনেকের দাঁতে সমস্যা থাকলে (যেমন দাঁতের মাঝে বেশি ফাঁকা) বা কথা বলতে সমস্যা হলে (যেমন তোতলামি) কথা বলার সময় থুতু ছিটে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে কথা বলার সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।৫. ঢেঁকুর তোলা
ভালো খাবার খাওয়ার পর আয়েশ করে ঢেঁকুর তোলাটা আমাদের দেশে স্বাভাবিক হলেও পাশ্চাত্যে কিন্তু খুবই অশোভন কাজ। ঢেঁকুরের শব্দটা কিন্তু খুব একটা ভালো শোনায় না। বাইরে কোথাও খেতে গিয়ে এ কাজটি না করাই ভালো।৬. গা চুলকানো
ঘ্যাঁসঘ্যাঁস করে অনবরত গা চুলকায় কোন প্রাণীটি বলুন তো? ঠিক ধরেছেন, বাঁদর! আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না কেউ বিরক্ত হয়ে আপনাকে বাঁদরের সাথে তুলনা করুক! তাই কারো সামনে শরীরের বিভিন্ন জায়গা চুলকাবেন না।৭. বিনা কারণে ফিসফিসিয়ে কথা বলা
গোপন কোনো কথা বলতে গেলে আমরা সাধারণত কণ্ঠস্বর নীচু করে বা ফিসফিসিয়ে কথা বলেই থাকি। কিন্তু অনর্থক, অযথা ফিসফিসিয়ে কথা বললে বিরক্ত হবেন যে কেউ।৮. যেখানে সেখানে থুতু ফেলা
দাঁত ও মুখ ঠিকমতো পরিষ্কার রাখলে মুখে থুতু জমারই কথা না। তবে ঘৃণায় মুখে থুতু জমতে পারে। কিন্তু অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে একটু পরপর যেখানে সেখানে থুতু ফেলা। এই থুতু ফেলাটা যতটা না শারীরিক, তারচেয়ে বেশি মানসিক। এই বদঅভ্যাসটা বিরক্তিকর তো বটেই অস্বাস্থ্যকরও। এ অভ্যাস থাকলে পরিত্যাগ করুন।৯. পা টেনে হাঁটা
অনেকেই পা ঘষটে বা ছেঁচড়ে শব্দ করে হাঁটেন। এতে আশেপাশের মানুষ যার-পর-নাই বিরক্ত হতে পারে।১০. জোরে কথা বলা
বিশেষ করে ফোনে কথা বলার সময় মানুষের মধ্যে এই প্রবণতাটা বেশি দেখা যায়। আবার অনেকে অভ্যাসবশত অনেক জোরে কথা বলে থাকেন। যিনি জোরে কথা বলেন তিনি তা টেরও পান না যে কতটা জোরে কথা বলছেন তিনি। কথার গুরুত্ব বুঝে কণ্ঠস্বরের প্রয়োগ করুন। নয়তো আশেপাশের মানুষদের বিরক্ত করে মারবেন! তথ্যসূত্র: রুবেনা শারমিন, ব্যাড ম্যানার্স গুড ম্যানার্স, অপরাজিতা, ২০১৩ সানন্দার বিভিন্ন সংখ্যা
২৭ মিনিট আগে
৩২ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ৩৯ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ৪০ মিনিট আগে
২০ ঘণ্টা, ৪৬ মিনিট আগে
২২ ঘণ্টা, ৩৪ মিনিট আগে