ছবি সংগৃহীত

মা বাবার সাথে ঝগড়াঝাঁটি এড়িয়ে চলুন ৫টি উপায়ে!

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৩, ১৫:১৮
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৩, ১৫:১৮

অনেক চেষ্টার পরেও মার সাথে আজকে ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে বেশ হইচই করে ফেলেছেন। এতো চেষ্টা করলেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে, কিন্তু কোনো ভাবেই পারলেন না। কিন্ত ঝগড়া করে ফেলার পর প্রচন্ড খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে সব দোষ আপনারই ছিলো, শুধু শুধু মায়ের সাথে চিৎকার করেছেন। ধুর, ভালো লাগছে না কিছুই! এমন পরিস্থিতিতে আপনি কিংবা আমি অনেক বারই পড়েছি। না চাওয়া সত্ত্বেও বাবা মার সাথে অহেতুক চ্যাঁচামেচি করেছি। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পেরেছি ভুলটা আসলে নিজেরই ছিলো তখন প্রচন্ড অনুশোচনায় ভোগা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না। বাবা মায়ের সাথে অনেক ব্যাপারেই মতের অমিল থাকতে পারে। কিন্তু সে জন্য মাথা গরম না করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কিছু উপায় অনুসরন করলে অহেতুক ঝগড়াঝাটির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় না। আসুন জেনে নেয়া যাক বাবা মায়ের সাথে ঝগড়া এড়ানোর ৫ টি উপায়।

আগে চিন্তা করুন পরে কথা বলুন

বাবা মায়ের সামনে কোনো বিষয় তুলে ধরার আগে কিংবা সম্মতি নিতে যাওয়ার আগে ভেবে নিন ব্যাপারটা ঠিক হচ্ছে কিনা। আপনার বাবা মা কি পছন্দ করে আর কি পছন্দ না করে সেটা আপনি ভালো করেই জানেন। তাই বাবা মায়ের পছন্দ নয় এমন বিষয় নিয়ে বাবা মায়ের কাছে না যাওয়াই ভালো। এছাড়াও আপনার বাবা মা যদি আপনার কোনো কথায় দ্বিমত পোষন করে কিংবা বাঁধা দেন তাহলে প্রথমেই মাথা গরম করবেন না। আগে ভাবুন বাবা মা যা বলেছেন ঠিক বলেছেন কিনা। কেন মানা করছেন সেটাও বুঝতে চেষ্টা করুন। এরপর আপনার কোনো যুক্তি থাকলে সেটা মাথা ঠান্ডা করে ধীরে সুস্থে তাঁদেরকে বোঝান। উত্তেজিত না হয়ে এসময়ে প্রতিটা শব্দ বলার আগে ভেবে নিন সেটা বলা ঠিক হচ্ছে কিনা।

১০ থেকে ১ গুনুন

প্রচন্ড মাথা গরম হয়ে গিয়েছে? ইচ্ছে করছে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে? চিৎকার না করে মনে মনে ১ থেকে ১০ গুনুন। প্রথম প্রথম হয়তো ১ থেকে ১০ গুনতে মনে থাকবে না। কিন্তু কয়েকবার মনে করে এই পদ্ধতি অনুসরন করতে পারলেই পরবর্তীতে অভ্যাস হয়ে যাবে। প্রথমে বড় একটি নিঃশ্বাস নিয়ে মনে মনে উল্টো দিন থেকে অর্থাৎ ১০ থেকে গোনা শুরু করুন। রাগ অনেকটাই কমে যাবে।

ধর্মীয় অনুশাসন মানুন

পৃথিবীর সব ধর্মেই বাবা মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করতে নিষেধ করা আছে। প্রতিটা ধর্মেই স্পষ্ট ভাবে বাবা মা কে সম্মান করা এবং তাদের সাথে নম্র আচরণ করার আদেশের পাশাপাশি তাঁদেরকে মূল্যায়ন না করার শাস্তিও বর্ননা করা আছে। তাই আপনি নিজ ধর্ম অনুসারে সেগুলো জেনে নিন এবং মন থেকে মানার প্রতিজ্ঞা করুন। পরের বার অতিরিক্ত রেগে গেলে সেগুলো মনে করার চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে বাবা মায়ের সাথে অহেতুক বারবার ঝগড়া করার অভ্যাসটা কমে যাবে।

ঠান্ডা পানি খান

রাগ কমাতে ঠান্ডা পানির জুড়ি নেই। কোন বিষয় নিয়ে যখন বাবা মায়ের সাথে ঝগড়া হওয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নিন। ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে শীতল অনুভূতি হয়। ফলে রাগ প্রশমিত হয়ে যায় অনেকটাই। বাবা মায়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে বেশি রেগে গেলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি তিন চুমুকে খেয়ে নিন। রাগ চলে যাবে এবং ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে অনেকটাই।

বাবা মায়ের মানসিক অবস্থা ভাবুন

বাবা মা যে কোনো বিষয়ে বাধা দিলে কিংবা আপত্তিকর কিছু বলে ফেললে হঠাৎ রেগে না গিয়ে প্রথমে ভাবুন তাঁরা কেমন পরিস্থিতিতে আছে। অনেক সময় আর্থিক সমস্যা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদির কারণে বাবা মা অনেক কিছুতে বাঁধা দেন। তাই অহেতুক চিৎকার না করে তাঁদেরকে বোঝার চেষ্টা করুন। তাহলে বাবা মায়ের সাথে ঝগড়াঝাঁটি হওয়া কমে যাবে একেবারেই।