ছবি সংগৃহীত

ফিস্টুলা রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিকার

nusrat jahan champ
লেখক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৪, ১১:৪২
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৪, ১১:৪২

(প্রিয়.কম)ফিস্টুলা বা ভগন্দর পায়ুপথের একটি রোগ। রোগটির জন্ম হয় মলদ্বারের বিশেষ ধরনের সংক্রমণের কারণে। মলদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো গ্রন্থি রয়েছে। এগুলোর সংক্রমণের কারণে ফোঁড়া হয়। এক সময় এই ফোঁড়া পেকে যায় এবং ফেটে গিয়ে মলদ্বারের চতুর্দিকের কোনো এক স্থানের একটি ছিদ্র দিয়ে পুঁজ নির্গত হতে থাকে। মলদ্বারের আশেপাশের কোনো স্থানে এক বা একাধিক মুখ দিয়ে মাঝে মাঝে পুঁজ বের হয়ে আসাকে ফিস্টুলা বা ভগন্দর বলা হয়। মলদ্বারের ক্যান্সার এবং বৃহদান্ত্রের প্রদাহজনিত রোগেও ফিস্টুলা হয়ে থাকে। মলদ্বারের যক্ষ্মার কারণেও ফিস্টুলা হতে পারে।

ফিস্টুলার প্রকারভেদ

ফিস্টুলা সাধারণত দুটি পর্যায়ের হয়ে থাকে। একটি সাধারণ ফিস্টুলা, এটি মলদ্বারের মাংসপেশির খুব একটা গভীরে প্রবেশ করে না। ফলে এর চিকিত্‍সা তুলনামূলকভাবে সহজসাধ্য। আরেকটি হলো জটিল ফিস্টুলা। এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এটা নির্ভর করে এর শেকড় মলদ্বারের মাংসের কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে। এ পর্যায়ে চিকিত্‍সার প্রধান সমস্যা হচ্ছে সঠিকভাবে অপারেশন করতে ব্যর্থ হলে রোগী মল আটকে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।

ফিস্টুলার লক্ষণ

ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগের লক্ষণ মূলত তিনটি। ১. মলদ্বার ফুলে যাওয়া, ২. মলদ্বার ব্যথা হওয়া, ৩. পুঁজ বা আঠাল পদার্থ বের হওয়া। চিকিত্‍সা রোগ নির্ণয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। যেমন - ১. প্রক্টস্কপি, সিগময়ডস্কপি ২. কোলনস্কপি ৩. বেরিয়াম এক্স-রে ৪. ফিস্টুলো গ্রাম ৫. এনাল এন্ডোসনোগ্রাফি অনেক রোগীরই ফোঁড়া ফেটে গিয়ে পুঁজ বের হয়ে গেলে ব্যথা এবং ফোলা কমে যায়। সমস্যা একটানা না থাকার কারণে অনেকেই ভাবেন, হয়তো ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু মাস দুয়েকের ভেতর আবার সমস্যা দেখা দেয়। তাই সমস্যার প্রথমদিকেই চিকিত্‍সকের শরণাপন্ন হোন।