ছবি সংগৃহীত

নেইমারের মেরুদণ্ডে চোট ও ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচ নিয়ে ফেসবুকে ঝড়!

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০১৪, ১১:২৩
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪, ১১:২৩

(প্রিয়.কম) ব্রাজিল বিশ্বকাপ ২০১৪ এর প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর দুইটায় মুখোমুখি ব্রাজিল ও কলম্বিয়া। এই ম্যাচে ২-১ গোলের ব্যবধানে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। বিদায় নিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার আরেক দেশ কলম্বিয়া। এই ম্যাচে ব্রাজিলের মেসি বলে খ্যাত নেইমার ছিটকে পড়েছেন। কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার জুয়ান জুনিগা’র হাঁটু নেইমারের মেরুদণ্ডে আঘাত করে। এরপর মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছে ব্রাজিলের এই তরুণ খেলোয়াড়কে। শুধু এই ম্যাচই নয়, পুরো বিশ্বকাপেই আর মাঠে নামতে পারবেন না তিনি। এই ঘটনার পর ফুটবলপ্রেমীরা ব্যাপক খেপেছেন! আর ব্রাজিলের ভক্তদের কথা তো বলার প্রয়োজনই রাখে না। প্রিয় খেলোয়াড়ের এভাবে মাঠ প্রস্থান তারা কীভাবে সহ্য করবেন! অথচ এই ম্যাচে কিন্তু ব্রাজিলই বেশি ফাউল করেছে। আর এটি ঢাকা পড়ে গেছে কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার জুনিগার কারণে। ব্রাজিলের ফাউলের পরিমাণ ২৭, আর কলম্বিয়ার ২২। ফাউলের পরিমাণ যাই হোক, কলম্বিয়াকে ধুয়ে-মুছে ফেলছেন ব্রাজিলের সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যেন কলম্বিয়া ঝড় হচ্ছে! ফুটবল প্রেমী ও ব্রাজিল ভক্তদের দেওয়া কিছু স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো। Zahid Newaz Khan লিখেছেন,

ওটা শুধু নেইমারের পিঠে হাঁটুর আঘাত না, বিশ্বকাপের পিঠেই ছুরি মেরেছে কলম্বিয়ান জঙ্গি জুনিগা।
তিনি অন্য এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,
কলম্বিয়ানরা আমাদের ময়মনসিংহে এরকম মাইরা-কাইটা খেললে, খেলার পর দর্শকরা ঠ্যাং সব হাতে ধরাইয়া দিতো।
Taimur Faruk Tusher লিখেছেন,
কলাম্বিয়ার মাইর দেইখাই যদি কান্নাকাটি করেন তাইলে জার্মানির সাথে কেমনে খেলবেন? আর নিজেদেরই বা এত শরিফ ভাবেন কেন- দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার প্রথম ৪৯ সেকেন্ডেই দুইবার ফাউল করে রেকর্ড গড়া দল ব্রাজিল।
Badol Khan লিখেছেন,
ব্রাজিল-কলম্বিয়ার ম্যাচে ফুটবলরা ফুটবল খেললো নাকি মাঠে পড়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতা করলো বুঝলাম না। খেলায় ব্রাজিল ফাউল করছে ৩১টি আর কলম্বিয়া ২৩টি। আর মঠে শুয়ে পড়েছে কম হলেও এই সংখ্যার তিনগুন...
জ.ই. মামুন লিখেছেন,
তবু আশা বেঁধে রাখি... কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার হুয়ান কামিলো জুনিগার জাতীয় জানোয়ারেরা যুগে যুগে জন্ম নেয় নেইমার, মেসি, ম্যারাডনা রোনালদোদের আঘাত করার জন্য। ওই দানবের আঘাতে মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্রাজিল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেন এবারের আসরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়, ব্রাজিল দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। ডিফেন্ডারের নামে এমন দস্যু মাঠে নামে কোন যোগ্যতায় সেটাই বুঝি না, আর স্পানিশ রেফারি ভালেসকো কারবালো কার্লোস এমন ঘটনাটা খেয়ালই করেননি। এমন খেলোয়াড় আর এমন রেফারি মাঠে নামানোর দরকার কি, ফিফাকে মনে হয় নতুন করে ভাবতে হবে। তবু ব্রাজিলেই ভরসা, নেইমারেই ভরসা। তুমি মাঠে না থাকলেও তোমার জন্যই আরো ভালো খেলবে ব্রাজি্ল। সেমি ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে যাবে, ফাইনাল জিতে বিশ্বকাপ তোমার হাতে তুলে দেবে তোমার টিম মেটরা। এই শুভ কামনা... তুমি দ্রুত সুস্থ্ হয়ে ওঠো Neymar Jr.
Isteaque Ahmed লিখেছেন,
কলম্বিয়া আলবদর টাইপ দল, পরাজয় জেনে চলে যাওয়ার আগে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে গেছে ...
Jyotika Jyoti লিখেছেন,
বাবা ‪#‎Rodriguez‬ তোমার কান্না আমারে খুব কষ্ট দেয়, কিন্তু তোমরা যদি বক্সিং না খেলে ফুটবল খেলতা তাইলে তোমাদের জন্য খারাপ লাগত। বক্সিং খেলে তো ফুটবল জেতা যায়না, তাইনা সোনা ? নেইমারের মত একটা বাচ্চা ছেলেকে তোমরা মাইরা হুতাইলসো! এত মাইর ফেস করেও কিভাবে খেলতে হয় তা দেখাইল ব্রাজিল ! আহারে David Luiz'র কি সুন্দর মাপের গোল!!!
Lutfor Rahman Himel লিখেছেন,
দুর্যোগে ‪#‎ব্রাজিল‬ মাফিয়া রাষ্ট্র কলম্বিয়া।।। ‪#‎কলম্বিয়া‬ একটি মাফিয়া রাষ্ট্র। যে দেশের একজন স্ট্রাইকারের ভুলের মাশুল দিতে হয় ছয় ছয়টি গুলিতে প্রাণ দিয়ে। সীমান্ত নিয়ন্ত্রন করে সরকার নয়, সেই মাদক-মাফিয়ারা। লাতিন আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রেণীবৈষম্যমূলক একটি সমাজ বিদ্যমান সেই দেশে। সেই মাফিয়া রাষ্ট্রের ফুটবলারদের মনও হয়তো মাফিয়া মানসিকতারই হবে। হয়েছেও তাই। আর তা চাক্ষুস করা গেল কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়া-ব্রাজিলের ম্যাচে। ব্রাজিলের উদীয়মান স্ট্রাইকার নেইমারের সাথে খেলতে নয়, যেন তাকে যে করেই হোক আঘাতে জর্জরিত করে মাঠের বাইরে পাঠানোই ছিল কলম্বিয়ানদের প্রথম কাজ। এ কাজে তারা যখন মনযোগি, তখন বিষয়টি বুঝতে পেরে ব্রাজিলের দলনেতা নিজেই উঠে গিয়ে নেইমারের কাজটি করে দিয়ে এলেন। সিলভা যখন দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন, মাফিয়ারা এবার তাকে ত্যক্ত করা শুরু করে। ফুটবলের মাঠে বেশিক্ষণ ধৈর্য্য ধরে রাখা কঠিন। তরুন সিলভাও পারেননি। এ অবস্থায় সামান্য এক ভুলের জন্য ভালো মানুষী সেজে (স্বাগতিকদেরও কার্ড দিতে ভয় পাই না, এমন ভাব) রেফারি দিয়ে দেন হলুদ কার্ড। অথচ এমন ভুলের জন্য মাফিয়াদের অন্তত একটি লাল আর এক ডজন হলুদ কার্ড দেয়া যেতো। সেমিতে নান্দনিক ফুটবলের ব্রাজিল। আরেক দর্শনীয় ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনাও চলে যাবে সেমিতে। কিন্তু ব্রাজিলের সামনে যে সেমি আসতেছে, সেটাতে আসলে নন্দন থাকবে না। দলের ডিফেন্সের নন্দন সিলভাকে পাওয়া যাবে না দুই হলুদ কার্ডের জন্য। আর নেইমারের আঘাতটা গুরুতর। তিনি কার্যত এ বিশ্বকাপ থেকে হারিয়ে গেলেন।
Rita Roy Mithu লিখেছেন,
নেইমারকে যেভাবে ফাউল করা হয়েছে, তা অখেলোয়ারোচিত, কাপুরুষোচিত এবং অন্যায়! যে যেই দলের সমর্থক হইনা কেন, অমানুষ তো নই, এই ধরণের অঘটনে কোনভাবেই খুশী হতে পারিনা। খেলোয়ারদের যেমন খেলোয়ারসুলভ আচরণ করা উচিত, সমর্থকদেরও সমর্থকোচিত আচরণ করা উচিত। ফুটবল খেলার মাঠের ৯০ মিনিটই তো একজন খেলোয়ারের জীবনের শেষ কথা নয়, খেলার মাঠের বাইরেও তার ২২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের জীবন আছে, খেলাকে উছিলা করে কারো জীবন তো তছনছ করে দেয়া ঠিক নয়। নেইমারের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। রাজনীতির মাঠও খেলার মাঠের মতই, আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে একপক্ষ আরেক পক্ষকে যেভাবে শারীরিক আক্রমণ করে (বিশেষ করে রগ কাটা, গুম করা, হত্যা করা----),মাঝে মাঝে নিজেকে মানুষ ভাবতেও কষ্ট হয়।
Nowbab Amin লিখেছেন,
:: ব্রাজিলের জয় হয়েছে ঠিক। এই জয়ের ফলে ব্রাজিল সেমিতে গেলো তাও ঠিক। কিন্তু আমি উচ্ছসিত নই। নেইমারের ইনজুরির কাছে এই জয় কিচ্ছু না। যদি এই তারকা পরের ম্যাচগুলো খেলতে না পারে তাহলে কি হবে। ছেলেটাকে কিভাবেই না মারলো।