ছবি সংগৃহীত

গর্ভাবস্থায় হতে পারে চোখের যে সমস্যাগুলো

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:২৬
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:২৬

গর্ভাবস্থায় নারীর শরীরে আসে অনেক বড় বড় সব পরিবর্তন। ওজন বৃদ্ধি, বমি ভাব, খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন, পায়ে পানি আসা সহ অনেক কিছুই আছে যা আমাদের সবার জানা। কিন্তু জানেন কি, গর্ভাবস্থায় নারীর চোখের কিছু সমস্যা হতে পারে? এসব সমস্যার কথা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আসুন দেখে নেই অনাকাঙ্ক্ষিত এসব সমস্যা কিভাবে ঘটতে পারে।

প্রিএক্ল্যাম্পশিয়া

একটি ঘটনায় জানা যায়, যেখানে ২৫ বছর বয়সি এক নারী প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হওয়ার ৩৬ সপ্তাহের মাথায় ঝাপসা দেখতে শুরু করেন এবং আলোর ঝলক দেখেন চোখের সামনে। চোখ পরীক্ষা করে জানা যায়, তার অপটিক নার্ভ ফুলে রয়েছে। আরেকটি পরীক্ষায় জানা যায়, সেই নারীর রক্তচাপ অতিরিক্ত বেশি। এর পাশাপাশি তার মুত্রে পাওয়া যায় অতিরিক্ত পরিমানে প্রোটিন। ডাক্তারদের মতে, তার এই সমস্যার কারণ হলো তীব্র প্রিএক্ল্যাম্পশিয়া। এই সমস্যাটি শুধুই গর্ভাবস্থায় হয় এবং এ সময়ে উচ্চ রক্তচাপ ও মুত্রে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে। প্রিএক্ল্যাম্পশিয়ার একমাত্র প্রতিকার হলো বাচ্চার ডেলিভারি করে ফেলা। এক্ষেত্রে বর্ণিত ঘটনার মহিলাটির সিজার অপারেশন করা হয়। তার একটি বাচ্চা ছেলে হয়। ওজন কম হলেও বাচ্চাটি ছিলো সুস্থ। তিন মাসের মাথায় সেই নারীর দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এই নারীর ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন ডক্টর জিল রাবিন। তাঁর মতে, দৃষ্টিশক্তির অবনতি হতে পারে প্রিএক্ল্যাম্পশিয়ার একটি উপসর্গ মাত্র। অন্যান্য উপসর্গের মাঝে রয়েছে প্রচণ্ড মাথাব্যাথা, পেটব্যাথা এবং হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া। এসব উপসর্গ হতে পারে খুব তীব্র বা একেবারেই মৃদু। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার তৃতীয় পর্যায়ের দিকে চোখে কোনো সমস্যা বুঝতে পারলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

চোখে রক্তক্ষরণ

আরেকটি ঘটনায় দেখা যায়, কানাডার এক গর্ভবতী নারী সকালে বমি করার পর চোখে একটা গাড় দাগ দেখতে পান। এ সময়ে তিনি ছিলেন ১১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তারি পরীক্ষার পর দেখা যায়, তার বাম চোখের একটি রগ ফেটে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। খুব জোর দিয়ে বমি করার কারণে এটা হয়ে থাকে। রক্তচাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় চোখের ভেতরের রগে চাপ লাগে, ফলে কোনো একটি রগ ফেটে যেতে পারে। এই রগ থেকে বের হওয়া রক্ত পরে চোখের ভেতরে আটকা পড়ে। খুব জোরে কাশি বা হাঁচি দেবার সময়েও অনেকের চখের রগ এভাবে ফেটে যেতে পারে। বেশিরভাগ সময় শরীর নিজেই এই ক্ষত পূরণ করে ফেলতে পারে। এই মহিলার ক্ষেত্রে, পাঁচ মাসের মাথায় তার এই ক্ষত পূরণ হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি করে এই রক্ত সরিয়ে ফেলার দরকার হতে পারে।