
ছবি সংগৃহীত
গভীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ১৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা!
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২৬
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২৬
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২৬
পেট ভরে নিঃশ্বাস কেন নিবেন?
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আমরা কেন নিই? কী অদ্ভুত প্রশ্ন! বেঁচে থাকার জন্য, এছাড়া আর কি? হ্যাঁ, উত্তরটি ভুল নয়। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় যে কিভাবে শ্বাস গ্রহণ করি আর কিভাবে ছাড়ি তা কী আমরা ভালোভাবে খেয়াল করেছি? আমাদের কেউই আসলে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্যাটার্ন সম্পর্কে দুইবার ভাবি না। শরীরের স্বাভাবিক নিয়মে অসচেতনভাবেই আমরা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের কাজ করছি। কিন্তু আমরা কি জানি সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য যা করা দরকার তা আমরা নিজেরাই সঠিক উপায়ে করছি কি না? সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা কত কিছুই না করছি, অথচ কত কাছেই সহজ, সুলভ একটি উপকরন আছে আমরা তার ব্যবহার করছি না। উপকরনটি হলো আমাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ক্রিয়া। প্রতিদিন বায়ুতে আমরা প্রায় ২১,৬০০বার নিঃশ্বাস নিই। পরিপূর্ণভাবে নিঃশ্বাস নেয়া শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য নয়, বরং ফুরফুরে মেজাজ এবং কাজের উদ্যম বজায় রাখতেও সাহায্য করে। আমরা যে কাজই করে থাকি না কেন আর যেভাবেই করি না কেন তা অনেকটাই নির্ভর করছে আমাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়াটির উপর। এটি আমাদের হৃদস্পন্দনকে নিয়ন্ত্রন করে, এনার্জি স্তর বৃদ্ধি করে এবং জীবনের প্রতি স্পৃহা তৈরির একটি প্রাকৃতিক উপায়।সঠিকভাবে শ্বাস নেয়ার অনুশীলনঃ

- - শুধু বুক পর্যন্ত নয়, নিঃশ্বাস টেনে নিন পেট পর্যন্ত। গভীরভাবে শ্বাস নেয়ার সময় বুকের তুলনায় পেট যেন ফুলে যায় বা উঁচু হয়ে যায়। এর ফলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পরার মত পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন আমরা গ্রহণ করতে পারি।
- - মুখ দিয়ে নয়, চেষ্টা করবেন নাক দিয়েই নিঃশ্বাস নিতে। শ্বাস-প্রশ্বাসের এই অনুশীলন হবে গভীর, ধীর স্থির এবং ছন্দময়। শ্বাস ব্যায়াম শুরু করার আগে আপনার নিজের পালস চেক করে নিতে পারেন, এটি আপনাকে আপনার শ্বাসের এই অনুশীলনের প্রভাব পরিমাপ করে একটি বেসলাইন সেট করতে সাহায্য করবে।
উপকারিতা সমূহ-
নিঃশ্বাস তো আমরা এমনিই নিচ্ছি, আলাদা করে অনুশীলন কেন করব? তাহলে আসুন জেনে নিই গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস আমাদের কি করে -
- ১)গভীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস দেহ থেকে অস্বস্তিকর অনুভুতি-আবেগকে সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
- ২)হজম ক্ষমতা বাড়ায়। পেট পর্যন্ত শ্বাস নেয়ার ফলে পাকস্থলী বেশি অক্সিজেন পেতে পারে এবং তার কার্যক্ষমতা বাড়ে।
- ৩)রক্তের মান বাড়ায়। গভীর নিঃশ্বাস দেহ থেকে সব কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেয় এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, ফলে রক্তের মান ভালো হয়।
- ৪)দুশ্চিন্তা কমায়। ভেবে দেখুন তো দেহে তখন কি অনুভূতি হয় যখন আপনি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ, রাগান্বিত, ভীত বা মানসিক চাপে আছেন? দেখুন আপনার দেহে তখন টানভাব,পেশিগুলো শক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং নিঃশ্বাস অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। অনিয়মিত নিঃশ্বাসে আপনি প্রয়োজনীয় পরিমাণ অক্সিজেন পাচ্ছেন না, যা আপনার দেহ চাচ্ছে।
- ৫) মনকে প্রশান্ত করে ও চিন্তাভাবনার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে। সঠিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের ফলে অক্সিজেন মস্তিষ্ক পর্যন্ত যেতে পারে এবং দুশ্চিন্তার মাত্রা হ্রাস করতে পারে। কিভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছি সেদিকে মনোযোগ দিই, সে সময়ে দেহের কোথাও কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা লক্ষ্য করতে হবে। রিলাক্সেশনের মাধ্যমে আমরা এটি করতে পারি। যখন আমরা দেহকে শান্ত করতে পারব ,দেখা যাবে যে আগের তুলনায় নিঃশ্বাস এবং চিন্তার জগতে স্বচ্ছতা এসেছে।
- ৬)গভীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস দেহ থেকে ক্ষতিকারক ৭০% টক্সিন বের করে দিতে পারে। যদি আপনি সঠিকভাবে শ্বাস না নেন তাহলে টক্সিন ভেতরে রয়ে অন্যান্য সিস্টেমের উপর চাপ ফেলবে, যা ধীরে ধীরে দেহের অসুস্থতা ডেকে আনে।
- ৭) কম-বেশি গভীর নিঃশ্বাস প্রকৃতির নিজস্ব ওষুধ যা আমাদের মানসিক চাপ দূর করে ও ব্যথা কমিয়ে দেয়। সঠিক শ্বাস প্রক্রিয়া হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
- ৮) হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে
- ৯)পেশি বৃদ্ধি করে। ব্রেনে অক্সিজেন প্রবাহের মাধ্যমে দেহের পেশির পরিমাণ বাড়ায় ।
- ১০) দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করে। রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে অক্সিজেন রক্তের হিমোগ্লোবিন এর সংস্পর্শে আসে,এবং পুষ্টি এবং ভিটামিন বিপাকে সাহায্য করে।
- ১২) আমাদের posture কেমন অর্থাৎ কিভাবে বসছি, দাঁড়াচ্ছি, নড়াচড়া করছি তা নির্ভর করে আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়াটা কেমন হচ্ছে তার উপর।
- ১৩) নিয়মিত গভীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস রক্তচাপ কমায়।
- ১৪) আপনি যত গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নিবেন আপনার ফুসফুস আরও সুস্থ এবং শক্তিশালী হবে। যা শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখবে।
- ১৫) পূর্ণভাবে শ্বাস গ্রহন হার্টকে মজবুত রাখে। কারন গভীর নিঃশ্বাসের ফলে ফুসফুস আর বাতাস নিতে পারে যা রক্তের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে হার্টে পৌঁছায় ,ফলে দেহের অন্যান্য জায়গায় অক্সিজেন পাঠাতে হার্টের তেমন কোন কষ্ট হয় না ।
- ১৬) ওজন নিয়ন্ত্রনে প্ররোচিত করে। যদি আপনার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বাড়তি অক্সিজেন বাড়তি মেদ পুড়িয়ে ফেলে। আবার যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়,তাহলে বাড়তি অক্সিজেন বসে থাকা টিস্যু ও গ্রন্থিগুলোতে প্রবাহিত হয়ে একটিভ হতে সাহায্য করে।
- ১৭) এনারজি লেভেল এবং স্টামিনা বাড়ায়।
- ট্যাগ:
- লাইফ
২ ঘণ্টা, ৪১ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৪৩ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৪৪ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৪৭ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৪৯ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৪৪ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৪৭ মিনিট আগে
৮ ঘণ্টা, ৫৩ মিনিট আগে