.jpg)
ছবি সংগৃহীত
কীভাবে বুঝবেন প্রেমিকা আপনার সাথে ব্রেক আপ করতে চায়?
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৫৮
ভালোবাসার সম্পর্ক একতরফাভাবে কখনোই এগোয় না। সবকিছুতেই দুজনের সম্মতির প্রয়োজন হয়। দুজনের পাশাপাশি থেকে একে অপরকে বিশ্বাস করে, ভরসা করে ও সমর্থন করে ভালোবাসা আরও গভীর করে নেয়া যায়। সবাই নিজের ভালোবাসার সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চান। কেউই চান না তাদের সম্পর্ক একটি ঠুনকো কাচের মত ভেঙে যাক। কেউই প্রস্তুত থাকেন না অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক ভাঙনের জন্য। কিন্তু তারপরও সম্পর্ক ভাঙে, জীবনে আসে বিচ্ছেদ। অনেক কারণই থাকে যার কারনে ভালোবাসার সম্পর্কে ভাঙন আসতে পারে। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাঙনের ধাক্কা সামলে ওঠা অনেক বেশি কষ্টের। আচ্ছা, যদি আপনার ভালোবাসার নারীটি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চান? কীভাবে জানবেন তা? ভালোবাসার মানুষটির আচার আচরনের দিকে একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই কিন্তু সম্পর্ক ভাঙনের লক্ষণ দেখে নেয়া যায়। জেনে নিন যে লক্ষণ গুলোতে বুঝবেন প্রেমিকা আপনার সাথে ব্রেক আপ করতে চায়।

দূরে দূরে থাকা
ভালোবাসার সম্পর্কে দেখা করা,একসাথে সময় কাটানো স্বাভাবিক ব্যাপার। আর বিশেষ করে মেয়েদের কাছে এটা খুবই জরুরি ব্যাপার। কিন্তু যদি আপনি লক্ষ্য করেন প্রেমিকা আপনার কাছ থেকে আগের তুলনায় দূরে দূরে থাকেন বা বেশি সময় দাবী করেন না, তখন আপনি এটাকে লক্ষন হিসেবে ধরে নিতে পারেন। দেখা করতে না চাওয়া, শারীরিকভাবে দূরে থাকতে চাওয়া ব্রেকআপের প্রথম ধাপ।অন্যমনস্ক থাকা
যদি আপনারা দেখা করতে যান তবে প্রেমিকার দিকে ভালো করে লক্ষ্য করুন। দেখুন তিনি কী করছেন। যদি আপনাদের কথার মাঝে তিনি প্রায় সময়ই অন্যমনস্ক থাকেন তবে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। যদি তিনি সেখানে উপস্থিত থেকেই অনুপস্থিত থাকেন তবে আপনি একে ব্রেকআপের লক্ষণ হিসেবে ধরতে পারেন। এছাড়াও আপনার সাথে দেখা করতে আসার সময় তিনি অতীতের মত সুন্দর করে সেজে ভালো পোশাক পরে এসেছেন নাকি কোনোরকম দায়সারা পোশাকে এসেছেন,সেটাও লক্ষ্য করুন। কারণ মেয়েরা সবসময় পছন্দের পুরুষের সামনে নিজেকে সুন্দর দেখাতে চাইবে।কথা বলতে অনীহা প্রকাশ
সাধারনত মেয়েরা একটু বেশী কথা বলে। সারাদিনে কী কী হলো তা নিজের ভালোবাসার মানুষকে বলার জন্য অস্থির থাকেন অনেকেই। অনেক ধরনের কথা বার্তা, আবদার মেয়েদের সাধারণ প্রবৃত্তি। কিন্তু যদি আপনার প্রেমিকা আপনার কাছে থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তবে তিনি কথা বলতে চাইবেন না। ফোন দিলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে ফোন রাখার জন্য উঠেপড়ে লাগবেন। মোটকথা কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করবেন।অযথাই খিটখিট করা
সামান্য কারনেই খিটখিট করা একটি জরুরি লক্ষণ। যে সব ব্যাপার সে আগে ধরতেন না তা ধরে নিয়ে ঝগড়া বাধিয়ে কথা বলা বন্ধ করে ফেলার নতুন অভ্যাস দেখতে পাবেন তার মধ্যে। আপনি মজা করে কোন কথা বললেও তা সিরিয়াস ভাবে নিয়ে ফেললে হয়তো অনেকে ভাবেন মন মেজাজ খারাপের জন্য।